কৈশিক ক্রিয়া বা ক্যাপিলারি অ্যাকশন (একে ক্যাপিলারিটি, ক্যাপিলারি মোশন বা উইকিংও বলা হয়) হলো কোনো তরল এর সংকীর্ণ পথে প্রবাহিত হওয়ার ক্ষমতা। কৈশিক ক্রিয়ার জন্য কোন বল লাগে না; এমনকি বলের বিরুদ্ধেও কৈশিক ক্রিয়া দেখা যায়। রঙতুলিতে তরল উঠিয়ে আনার সময় এমনটা দেখা যায়। পাতলা টিউব বা ঝাঁঝরসদৃশ সুক্ষ্ণ বস্তু (যেমন কাগজ অথবা প্লাস্টার) এবং কিছু ঝাঁঝরবিহীন বস্তুতেও (যেমন: বালি) এই ঘটনা ঘটে থাকে। জৈবিক কোষে ও এটি দেখা যায়। তরল এবং ঘিরে থাকা কঠিন তলের মধ্যকার আন্ত:আণবিক বলের কারণে এটি ঘটে। নলের ব্যাস যথেষ্ট ক্ষুদ্র হলে তরল আর পাত্রের দেওয়ালের পৃষ্ঠটান এবং সংযুক্তি বলের সমন্বয়ে তরল ওপরে উঠে আসার ঘটনা পরিলক্ষিত হয়। [১]
প্রথমবারের মতো এই ঘটনাটি পর্যবেক্ষণ করতে যে সাধারণ যন্ত্রটি ব্যবহার করা হয়েছিলো তার নাম ক্যাপিলারি টিউব। উল্লম্ব এক কাচের নলের নিচের অংশ জলের মধ্যে রাখা হয়েছিলো, অবতল এক উপরিতল সৃষ্টি হয়েছিলো ওপরে। তরলের সঙ্গে পাত্রের দেওয়ালে সংযুক্তি বল কাজ করে তবে তরলের যথেষ্ট ভর থাকলে মধ্যাকর্ষণ বল আন্ত:আণবিক বলকে অতিক্রম করতে পারে। কিনারায় স্পর্শ করে থাকা স্পর্শতলের দৈর্ঘ্য কাচনলের ব্যাসার্ধের বর্গের সমানুপাতিক। কাজেই বৃহত্তম ব্যাসার্ধের চেয়ে ক্ষুদ্রতম ব্যাসার্ধের সরু নল তরলকে অধিক উচ্চতায় তুলতে সক্ষম হয়।
গাছপালায় কৈশিক ক্রিয়া উর্ধ্বপাতন প্রক্রিয়ায় ঘটে। তবে পাতায় এটা হয় ডিপ্রেশারাইজেশন এবং মূলসহ গাছের অন্যান্য অঙ্গের অসমোটিক প্রেশারের কারণে। [২]