জাপানের ইতিহাস |
---|
ধারাবাহিকের অংশ |
কোফুন যুগ (古墳時代 কোফুন্জিদাই) বলতে জাপানের ইতিহাসে আনুমানিক ২৫০ থেকে ৫৩৮ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত সময়কালকে বোঝায়। এটি য়ায়োই যুগের পরবর্তী যুগ। সমসাময়িক ধ্বংসাবশেষ থেকে যে বিশেষ প্রকার সমাধিস্তূপের চিহ্ন পাওয়া গেছে, তাদের নামানুসারে এই যুগের নামকরণ হয়েছে। কোফুন যুগ এবং তার পরবর্তী আসুকা যুগ দুটিকে অনেক সময়ে একত্রে য়ামাতো যুগ বলা হয়।
আসুকা যুগ থেকে কোফুন যুগকে পৃথক করা হয় সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যের নিরিখে। কোফুন যুগে জাপানে একটি সমৃদ্ধ শিন্তো সংস্কৃতির নিদর্শন পাওয়া গেছে যেগুলি বৌদ্ধধর্মের আবির্ভাব অপেক্ষা প্রাচীন।[১] রাজনৈতিক ক্ষেত্রে শক্তিশালী এক গোষ্ঠীর নেতা হনশুর পশ্চিমাংশ ও কিউশুর উত্তরার্ধ অধিকার করে জাপানের রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেন। তানেগাশিমায় প্রাপ্ত কোফুন সমাধিক্ষেত্র এবং য়াকুশিমায় প্রাপ্ত দুটি প্রাচীন শিন্তো মন্দিরের অবস্থান থেকে ধারণা করা হয় এই দ্বীপগুলি সম্ভবত য়ামাতো রাজ্যের দক্ষিণ সীমার নির্দেশক।[২] অন্যদিকে রাজ্যটির সম্ভাব্য উত্তর সীমা ছিল বর্তমান নিইগাতার তাইনাই অঞ্চল পর্যন্ত। এখান থেকে য়ামাতো রাজ্যের প্রশাসকদের ঘনিষ্ঠ জনৈক ব্যক্তির সমাধিস্তূপ আবিষ্কার হয়েছে।[৩]