বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ অতিমারীর সময়কালে 'মনস্তাত্বিক প্রভাব' অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মনোবিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন। বিশেষ করে মানুষের মধ্যে কোভিড-১৯ রোগে সংক্রমিত হওয়ার ভয়, কাছের মানুষ বা আপনজনের সংক্রমণের আশঙ্কা, নিজের মৃত্যুশঙ্কা বা জীবিকা নিয়ে অনিশ্চয়তা এবং আর্থিক সঙ্কটসহ এসব বহুবিধ কারণে মানুষের 'মনস্তাত্বিক প্রভাব' বৃদ্ধি পেয়েছে বলে তারা জানিয়েছেন।
কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত রোগী, ঘরবন্দী থাকা ব্যক্তিরা এবং জরুরি প্রয়োজনে যেসব পেশাজীবী ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন তারা সবচেয়ে বেশি মানসিক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন। এই অতিমারী চলাকালে মানসিক সংকট প্রায় শীর্ষে পৌঁছেছে এবং আতঙ্কগ্রস্ত, হতাশাগ্রস্থ হয়ে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। [১][২]
১৪ মে প্রকাশিত রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) এবং অস্ট্রেলিয়ার ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটির যৌথভাবে পরিচালিত একটি সমীক্ষায় জানা গেছে যে, অংশগ্রহণকারী উত্তরদাতাদের ৯১.৪% ই চলমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন আছেন। ৭২.৮% উত্তরদাতা অনিদ্রাজনিত সমস্যায় ভুগছেন। ৭১.৬% উত্তরদাতা বিরক্ত ও ক্ষুব্ধ ভাব প্রকাশ করেছেন। ৬৩.৫% উত্তরদাতা ভবিষ্যৎ নিয়ে তাদের হতাশা ও শঙ্কার কথা উল্লেখ করেছেন। ৬৮.২% উত্তরদাতা এই সঙ্কটে সামগ্রিকভাবে আতঙ্কিত আছেন এবং ৫৯.৪% উত্তরদাতা জানিয়েছেন যে, তাদের কাছে জীবন অর্থহীন হয়ে পড়েছে।[৩]