কোয়ার্ক তারা হলো এক প্রকার কমপ্যাক্ট এবং এক্সটিক তারা যাদের কেন্দ্রের অত্যন্ত উচ্চ তাপমাত্রা এবং চাপ নিউক্লিয়নকে কোয়ার্ক পদার্থ (পদার্থের একটি অবস্থা যা কোয়ার্কের সমন্বয়ে গঠিত) গঠনে বাধ্য করে।
কিছু বিশাল তারা তাদের জীবনচক্রের শেষে মহাকর্ষীয় পতনের মধ্যে দিয়ে নিউট্রন তারায় পরিণত হয় যেটির প্রত্যক্ষ পর্যবেক্ষণ ও তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা করা হয়েছে। নিউট্রন তারার অভ্যন্তরে চরম তাপমাত্রা এবং চাপের মধ্যে নিউট্রনগুলি সাধারণত একটি অবক্ষয় চাপ দ্বারা পৃথক থাকে যা তারাটিকে স্থিতিশীল করে এবং আরও মহাকর্ষীয় পতনকে বাধা দান করে। তবে এটি বিশ্লেষণ করা হয়েছে যে আরও তীব্র তাপমাত্রা এবং চাপের অধীনে নিউট্রনগুলি তাদের অবক্ষয় চাপকে অতিক্রম করে এবং নিউট্রনগুলি তাদের গাঠনিক উপাদান কোয়ার্কে পরিণত হতে বাধ্য হয়, যার ফলে উৎপন্ন ঘন কোয়ার্কের ওপর ভিত্তি করে কোয়ার্ক পদার্থের একটি অতি-ঘন দশা তৈরি হয়। এই অবস্থায়, কোয়ার্কগুলির মধ্যে একটি নতুন অবক্ষয় চাপ এবং এর পাশাপাশি তীব্র তড়িচ্চুম্বক শক্তির উদ্ভব হবে যা মহাকর্ষীয় পতনকে বাধা দেবে বলে মনে করা হয়।
১০ এপ্রিল ২০০২ সালে চন্দ্র এক্স-রশ্মি মানমন্দির কর্তৃক প্রকাশিত পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে, আরএক্স জে১৮৫৬.৫-৩৭৫৪ এবং ৩সি ৫৮ নামক দুটি বস্তু কোয়ার্ক তারার অভ্যর্থী হিসাবে প্রস্তাবিত হয়। প্রথমটি নিউট্রন তারার প্রত্যাশিত ভরের চেয়ে অনেক কম ভর ও বেশি ঘনত্ব সম্পন্ন এবং দ্বিতীয়টি বেশি শীতল বলে মনে হয়েছিল যা প্রকাশ করে যে তারাদুটি নিউট্রোনিয়ামের চেয়েও ঘন উপাদানের সমন্বয়ে তৈরী। যাইহোক, এই পর্যবেক্ষণগুলি গবেষকদের কাছে সন্দেহপ্রবণ মনে হয়। তারা বলেন যে, ফলাফলটি চূড়ান্ত নয়। আরও বিশ্লেষণের পরে, আরএক্স জে১৮৫৬.৫-৩৭৫৪ কে কোয়ার্ক তারার অভ্যর্থীদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়।[২]