কোররাদো জিনি (Corrado Gini) | |
---|---|
জন্ম | |
মৃত্যু | ১৩ মার্চ ১৯৬৫ | (বয়স ৮০)
নাগরিকত্ব | ইতালীয় |
মাতৃশিক্ষায়তন | বোলোনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় |
পরিচিতির কারণ | জিনি সহগ |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | |
প্রতিষ্ঠানসমূহ |
কোররাদো জিনি (ইতালীয়: Corrado Gini, ২৩শে মে, ১৮৮৪ – ১৩ই মার্চ, ১৯৬৫) একজন ইতালীয় পরিসংখ্যানবিদ, জনতত্ত্ববিদ ও সমাজবিজ্ঞানী ছিলেন, যিনি জিনি সহগ নামক ধারণাটির জনক হিসেবে সুপরিচিত; এই ধারণাটি দিয়ে কোনও সমাজে আয়ের বৈষম্য পরিমাপ করা যায়। জিনি জৈববাদের প্রবক্তা ছিলেন এবং সেটিকে জাতিসমূহের উপরে প্রয়োগ করেন।[১]
জিনি ১৮৮৪ সালের ২৩শে মে ইতালির ত্রেভিজো প্রদেশের মত্তা দি লিভেনৎসা নামক শহরে একটি পুরাতন জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বোলোনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদে ভর্তি হন, যেখানে তিনি আইনের পাশাপাশি গণিত, অর্থনীতি ও জীববিজ্ঞান অধ্যয়ন করেন।
জিনির বৈজ্ঞানিক গবেষণাকর্মগুলি দুইটি দিকে পরিচালিত হয়: সামাজিক বিজ্ঞান ও পরিসংখ্যান। তাঁর আগ্রহ পরিসংখ্যানবিদ্যার রৌপ দিকগুলির মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং যে সূত্রগুলি জীববৈজ্ঞানিক ও সামাজিক ঘটনাবলীকে শাসন করে, সেগুলির ব্যাপারেও তিনি আগ্রহী ছিলেন।
জিনির প্রথম প্রকাশিত কর্মটির নাম ছিল ইল সেসসো দাল পুনতো দি ভিস্তা স্তাতিস্তিকো (১৯০৮)। এই গ্রন্থে জিনি জন্মের সময় লিঙ্গের অনুপাতের একটি বিস্তারিত পর্যালোচনা পেশ করেন; তিনি পূর্বের তত্ত্বগুলির আলোচনা করেন এবং তাঁর নতুন তাত্ত্বিক অনুমানটি কীভাবে পরিসংখ্যানিক উপাত্তের সাথে খাপ খায় সেটি আলোচনা করেন। বিশেষ করে তাঁর কাজে এই ব্যাপারটির ব্যাপারে সাক্ষ্যপ্রমাণ প্রদান করা হয় যে কোনও নবজাতকের লিঙ্গ কী হবে, তার প্রবণতা কিছুটা হলেও জন্মগত উত্তরাধিকার সূত্রে অর্জিত হয়।
১৯১০ সালে জিনি কাইলিয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের প্রধান পদে নিয়োগ করেন ও পরবর্তীতে ১৯১৩ সালে পাদুয়া বিশ্ববিদ্যালয়েও একই পদে আসীন হন।
তিনি ১৯২০ সালে মেত্রন নামক পরিসংখ্যান বিষয়ক গবেষণা সাময়িকীটি প্রকাশ করেন এবং মৃত্যু পর্যন্ত সেটি পরিচালনা করেন। এই সাময়িকীটিতে কেবলমাত্র ব্যবহারিক প্রয়োগবিশিষ্ট নিবন্ধ গৃহীত হত।[২]
১৯২৫ সালে জিনি রোমের সাপিয়েনৎসা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। সেখানে তিনি সমাজবিজ্ঞানের ওপরে একটি বক্তৃতামূলক পাঠক্রম প্রতিষ্ঠা করেন ও অবসরের আগ পর্যন্ত সেটি বজায় রাখেন। অধিকন্তু তিনি ১৯২৮ সালে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিসংখ্যান বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন ও ১৯৩৬ সালে পরিসংখ্যানিক, জনতাত্ত্বিক ও আহিয়ালকারী (বীমার কিস্তি গণনার বিশেষজ্ঞ ক্ষেত্র) বিজ্ঞানসমূহের অনুষদটি প্রতিষ্ঠা করেন।
জিনি নিচের সম্মাননামূলক ডক্টরেট উপাধিগুলি অর্জন করেন: