কোরি কলিমোর

কোরি কলিমোর
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
কোরি ডালানেলো কলিমোর
জন্ম (1977-12-21) ২১ ডিসেম্বর ১৯৭৭ (বয়স ৪৬)
বোসকোবেল্লে, সেন্ট পিটার, বার্বাডোস
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ২৩০)
৩ এপ্রিল ১৯৯৯ বনাম অস্ট্রেলিয়া
শেষ টেস্ট১৫ জুন ২০০৭ বনাম ইংল্যান্ড
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ৯৬)
১১ সেপ্টেম্বর ১৯৯৯ বনাম ভারত
শেষ ওডিআই২১ এপ্রিল ২০০৭ বনাম ইংল্যান্ড
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৯৮ – ২০০৯বার্বাডোস
২০০৩ওয়ারউইকশায়ার
২০০৮ – ২০১১সাসেক্স
বর্তমান -মিডলসেক্স
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ৩০ ৮৪ ১৩৪ ১৩১
রানের সংখ্যা ১৯৭ ১০৪ ৮১৯ ১৫১
ব্যাটিং গড় ৭.৮৮ ৫.৭৭ ৮.০২ ৬.০৪
১০০/৫০ ০/০ ০/০ ০/০ ০/০
সর্বোচ্চ রান ১৬* ১৩* ২৩ ১৩*
বল করেছে ৬,৩৩৭ ৪,০৭৪ ২২,৯৭০ ৬,১৩৯
উইকেট ৯৩ ৮৩ ৪০৬ ১৩৯
বোলিং গড় ৩২.৩০ ৩৫.২২ ২৬.৩৯ ৩১.৪৬
ইনিংসে ৫ উইকেট ১২
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৭/৫৭ ৫/৫১ ৭/৫৭ ৫/২৭
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৬/– ১২/– ৪৫/– ২০/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

কোরি ডালানেলো কলিমোর (ইংরেজি: Corey Collymore; জন্ম: ২১ ডিসেম্বর, ১৯৭৭) বার্বাডোসের বোসকোবেল্লে এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ১৯৯৯ থেকে ২০০৭ সময়কালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্যরূপে টেস্ট ও একদিনের আন্তর্জাতিকে খেলেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে বার্বাডোসের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। এছাড়াও, ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ওয়ারউইকশায়ার, সাসেক্স ও মিডলসেক্সের পক্ষে খেলেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিং করতেন কোরি কলিমোর

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

৩ এপ্রিল, ১৯৯৯ তারিখে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় কোরি কলিমোরের। এ সময় দলে নড়বড়ে অবস্থা বিরাজ করছিল ও প্রতিনিয়তই দলে পরিবর্তন দেখা যেতো। তিনি দলের সর্বাপেক্ষা অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বোলার হিসেবে দলের দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নিতেন। সঠিক স্থানে বলকে ফেলার অপূর্ব ক্ষমতা ছিল তার। তিনি প্রায়শঃই নতুন বল নিয়ে শৈশবের বন্ধু ফিদেল এডওয়ার্ডসের সাথে জুটি গড়তেন।

১৯৯৯ সাল থেকেই দলে আসা-যাওয়ার পালায় ব্যতিব্যস্ত থাকতেন। এরজন্য দূর্বল ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন ও হাঁড়ে ফাটলজনিত আঘাতে জর্জড়িত হওয়াই এর প্রধান কারণ ছিল। ২০০০ সালে ইংল্যান্ড সফর শেষে তার সুনাম ছড়িয়ে পড়লেও পুনরায় আঘাতের কবলে পড়েন।

দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি পুনরায় ২০০৩ সালে ক্রিকেট বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অন্যতম সদস্যরূপে মনোনীত হন। এর তিনি টেস্ট দলে পুনরায় আহুত হন ও সফরকারী শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট খেলেন। প্রথম টেস্টে পাঁচ উইকেট লাভের পর দ্বিতীয় টেস্টে নিজেকে মেলে ধরেন। ৭/৫৭ লাভ করে দলের সাত উইকেটের বিজয়ে প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন।

বোলিংয়ে পরিপক্কতা প্রদর্শন ও নিখুঁততা ২০০৬ সালে সফরকারী ভারত দলের বিপক্ষে লক্ষ্য করা যায়। ২.৩৩ গড়ে মিতব্যয়ী বোলিং করেন। এ সময় তিনি ৯০ মাইল বেগে বোলিং করতেন। তবে, আবারও পিঠের আঘাতে জর্জড়িত হন।

একদিনের আন্তর্জাতিক

[সম্পাদনা]

৭ জুলাই, ২০০১ তারিখে হারারে স্পোর্টস ক্লাবে ভারতের বিপক্ষে খেলেন। খেলায় তাকে ব্যাট করতে হয়নি। তবে ৪/৪৯ বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করিয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পেয়েছিলেন। খেলায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৬ রানে জয় পায়।[] একই বছরের ১১ ডিসেম্বর তারিখে কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ওডিআইয়ে নিজস্ব সেরা বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন। খেলায় তিনি ৫/৫১ পেয়েছিলেন। ঐ খেলায় তার দল ৪৯ রানে বিজয়ী হয়েছিল।[] এ খেলায়ও তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হয়েছিলেন।

২০১৪ সাল থেকে কোন স্তরের ক্রিকেটেই আর তাকে খেলতে দেখা যায়নি।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "2000-2001 Coca-Cola Cup (Zimbabwe) - Final - India v West Indies - Harare"HowStat। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০১৬ 
  2. "2001-2002 LG Abans Triangular Series - 3rd Match - Sri Lanka v West Indies - Colombo"HowStat। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০১৬ 

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]