কোলকালি হল ভারতের কেরালা রাজ্যের মালাবার অঞ্চলের স্থানীয় জনজাতিদের দ্বারা সম্পাদিত একটি লোকশিল্প বা লোকনৃত্য। [১] এটি দলগত নৃত্যের পর্যায়ভুক্ত অর্থাৎ একের বেশি শিল্পী এই লোকনৃত্যে অংশগ্রহন করতে পারে।
নৃত্যশিল্পীরা একটি বৃত্তাকার সমূহ গঠন করে তাদের নৃত্য পরিবেশন করে। নাচের সময় তারা ছোট লাঠিতে আঘাত করে শব্দ উৎপন্ন করে এবং নাচের বিশেষ পদক্ষেপনের সাথে তাল বজায় রাখে। [২] নৃত্য উপস্থাপনার অগ্রগতির সাথে সাথে বৃত্তটি প্রসারিত এবং সংকুচিত হতে থাকে ও সঙ্গীত শিল্পীর গান ক্রমশ উচ্চমাত্রায় উঠতে থাকে। এভাবেই এই নৃত্যের উপস্থাপনা তার শেষ পর্যায়ে পৌঁছায়। [১]
বর্তমান কোলকালি কেরালা স্কুল কলোলসাভমের একটি জনপ্রিয় অনুষ্ঠান। এটি এশিয়ার বৃহত্তম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হিসাবে বিবেচিত হয়। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ও বিদেশ থেকে উতসাহী দর্শক এই অনুষ্ঠান দেখতে আসেন।
কোলকালির প্রধানত দুটি শৈলীতে বিভক্ত। সেই দুটি বিভাগের নাম যথাক্রমে, প্রকৃত কোলকালি এবং থেক্কান কোলাদি।
প্রকৃত কোলকালি বিভিন্ন বিভাগ যেমন থাচোলিকালি, রাজসুয়ম ইত্যাদি নিয়ে গঠিত। প্রকৃত কোলকালি প্রায় বিলুপ্তির পথে চলে গেছে।
কেরালা রাজ্যের কোল্লসাভম অনুষ্ঠানগুলিতে উপস্থাপনার জন্য থেক্কান কোলাদির এখনও প্রচলন আছে।
কেরালার অনেক ঐতিহ্যবাহী নৃত্য যেমন কথাকলি, ভেলাকালি, পুরক্কালি, থাচোলিকালি, কোলকালি ইত্যাদির মধ্যে কালারিপায়াত্তু -এর উপাদান আছে। কথাকলির প্রাথমিক কিছু অঙ্গ সঞ্চালন কালারিপায়াত্তু থেকে ধার করা। কোলকালিতেও কালারিপায়াত্তু -এর বিশেষ প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।
এই শিল্পের উৎপত্তির সূত্র প্রাচীনকালে খুঁজে পাওয়া যায় যখন কেরালায় সমরকলা কালারিপায়াত্তু -এর প্রচলন ছিল।