Hoplobatrachus tigerinus | |
---|---|
কোলা বাঙ বা সোনা ব্যাঙ | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Animalia |
পর্ব: | Chordata |
উপপর্ব: | Vertebrata |
শ্রেণী: | Amphibia |
বর্গ: | Anura |
পরিবার: | Dicroglossidae |
গণ: | Hoplobatrachus |
প্রজাতি: | Hoplobatrachus tigerinus |
দ্বিপদী নাম | |
Hoplobatrachus tigerinus (Daudin, 1802) | |
প্রতিশব্দ | |
Rana tigerina |
কোলা ব্যাঙ (বৈজ্ঞানিক নাম: Hoplobatrachus tigerinus)[২][৩] (ইংরেজি: Bull frog বা Indian bull frog) বড় আকারের একটি অতি পরিচিত ব্যাঙ যা বাংলাদেশের সর্বত্রই দেখা যায়। এটি সোনা ব্যাঙ,হোলা ব্যাঙ বা ভাউয়া ব্যাঙ নামেও পরিচিত। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, মায়ানমার, পাকিস্তান, নেপাল ও আফগানিস্তানে এই ব্যাঙ দেখতে পাওয়া যায়।[১] এটি Dicroglossidae পরিবারের Hoplobatrachus গণের অর্ন্তগত।
কোলাব্যাঙ পৃষ্ঠভাগের রং বাদামি থেকে সবুজাভ বাদামি, অধিকাংশের চোয়ালের সুচালো অগ্রভাগ থেকে পশ্চাৎভাগ পর্যন্ত মেরুদন্ডের মাঝামাঝি বরাবর একটি সরু, হলুদাভ-সাদা বলয় এবং চোখের পিছন থেকে দুপায়ের সংযোগস্থল পর্যন্ত পৃষ্ঠদেশে পুরু একটি হলুদাভ-সাদা বলয় রয়েছে। পেট সাদা। প্রজনন মৌসুমে দেহ উজ্জ্বল হলুদ রং ধারণ করে। দেহের দৈর্ঘ্য ১৭ সেমি ও পা ২২ সেমি পর্যন্ত হতে পারে। খাদ্য হিসেবে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ব্যাঙের পা দেশের বাইরে রপ্তানি হতো। ১৯৮৮-৮৯ ও ১৯৯২-৯৩ সালে যথাক্রমে মোট ৩৩,০৭,২৮১ ও ১৫,৩২০ কেজি ব্যাঙের পা রপ্তানি করা হয়। ব্যাঙের পা রপ্তানি বর্তমানে নিষিদ্ধ। ব্যাঙ সর্বভুক, যদিও পোকামাকড় প্রধান খাদ্য।
পুরুষ কোলাব্যাঙ স্ত্রী কোলা ব্যাঙের চেয়ে ছোট হয় এবং উজ্জ্বল হলুদ বর্ণের হয়। প্রজনন মৌসুমে স্ত্রী ব্যাঙ কে আকর্ষণ করার জন্য পুরুষ ব্যাঙ ডাকাডাকি করে, সাধারণত গ্রাম অঞ্চলের ডোবা বা পুকুরে বৈশাখের মাঝামাঝি বা জৈষ্ঠের শুরুতে বৃষ্টি হলে এরা সেই পানিতে প্রজনন করে থাকে।
বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল ১ অনুযায়ী প্রজাতিটি সংরক্ষিত।[৪]