কৌশলগত বাজারজাতকরণ হলো বাজারজাতকরণের এমন একটি প্রক্রিয়া, যদ্বারা বিভিন্নরকম কৌশল উন্নয়ন করে পরিবর্তনশীল বাজার অবস্থায় কোম্পানীর সম্পদ, সামর্থ্য ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বৈচিত্র্যায়নের মাধ্যমে কীভাবে আলাদা অবস্থান গ্রহণ করা যায়, তার রূপরেখা তৈরি করে। অর্থাৎ কৌশলগত বাজারজাতকরণ হলো সম্ভাব্য অথবা প্রকৃত বাজারের প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা খুঁজে বের করা ও সম্পদের বণ্টন নিশ্চিতকরত তা সে সুবিধা গ্রহণ করা।[১] কৌশলগত বাজারজাতকরণে যেসকল কৌশল উন্নয়ন করা হয় সেগুলো হলো: পণ্য কৌশল, মূল্য কৌশল, বণ্টন কৌশল এবং প্রসার কৌশল।
|
কৌশলগত বাজারজাতকরণ একটি সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করে:
ধাপ ১: কৌশলগত অবস্থা বিশ্লেষণ: একটি প্রতিষ্ঠান যখন বাজার উপযোগী বাজারজাতকরণ কৌশল গ্রহণের উদ্যোগ নেয়, তখন কয়েকটি বিষয়কে বিবেচনা করা জরুরি। যথা:
ধাপ ২: বাজার কৌশলের নকশা প্রণয়ন: কৌশলগত বাজারজাতকরণে কৌশলের নকশা প্রণয়ন সবচেয়ে বেশি জরুরি। কারণ এই নকশার ভিত্তিতেই কৌশলগত বাজারজাতকরণের রূপরেখা নিশ্চিত হবে। এক্ষেত্রে করণীয় কাজগুলো হলো:
ধাপ ৩: বাজারমুখী কার্যক্রম উন্নয়ন: বাজারমুখী কার্যক্রম উন্নয়ন বেশ জটিল এবং এপর্যায়ে বাজারজাতকারী বাজার অবস্থান গ্রহণে বিভিন্ন কৌশল গ্রহণ করে থাকেন। শুরুতেই পণ্য কৌশল গ্রহণ করতে হয়। পণ্য কৌশল নির্ধারণ করে তা বণ্টনের কৌশল নির্ধারণ করতে হয়। বণ্টন কৌশল অবশ্যই সহজতর উপায়ে বণ্টনকে নিশ্চিত করবে। এরপর পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করতে হয়। পণ্যের মূল্য নির্ধারণ কৌশলে অবশ্যই মানসম্মত কিন্তু ক্রেতা-উপযোগী মূল্য নির্ধারণ করতে হয়। এই পণ্যটি লক্ষ্য-বাজারে যথোপযুক্ততায় পৌঁছে দিতে প্রসার কৌশল গ্রহণ করা হয়। অর্থাৎ সামগ্রিকভাবে ক্রেতার নিকট ব্র্যান্ডকে গ্রহণযোগ্য করে তোলার কৌশল গ্রহণ করা হয়।
ধাপ ৪: বাজারমুখী কৌশল প্রয়োগ ও ব্যবস্থাপনা: বাজারমুখী কৌশল প্রণীত হবার পর তা থেকে প্রতিষ্ঠান সুফল পায় যখন তা প্রয়োগ ও পরিচালনা সম্ভব হয়। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানকে দুটো বিষয় লক্ষ্য রাখতে হয়:
এই যাবতীয় পদক্ষেপ অনুসরণের মাধ্যমে কোম্পানী তার প্রতিযোগিতা মোকাবেলা করে সাফল্যের সাথে বাজারজাতকরণ সম্পন্ন করতে পারে।
মার্কেটিং