ক্যাজুপুট Melaleuca leucadendra | |
---|---|
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Plantae |
বিভাগ: | Tracheophyta |
শ্রেণী: | Magnoliopsida |
বর্গ: | Myrtales |
পরিবার: | Myrtaceae |
গণ: | Melaleuca |
প্রজাতি: | Melaleuca leucadendra |
দ্বিপদী নাম | |
Melaleuca leucadendra (L.) L. | |
প্রতিশব্দ[১] | |
তালিকা
|
ক্যাজুপুট বা কাজুপুট (বৈজ্ঞানিক নাম: Melaleuca leucadendra [২]ইংরেজি নাম: weeping paperbark, long-leaved paperbark বা white paperbark ) হচ্ছে Myrtaceae পরিবারের Melaleuca[৩] গণের ভেষজ উদ্ভিদ।[৪]
ক্যাজুপুট মাঝারি আকারের চিরসবুজ বৃক্ষ জাতীয় ভেষজ উদ্ভিদ। উচ্চতায় প্রায় ২০ মিটার অবধি হয়ে থাকে।এই গাছের বাকল পুরু ও সাদা রঙের। ক্যাজুপুট গাছের পাতা পর্যায়ক্রমে সাজানো থাকে। পাতা ৫ থেকে ১২ সেমি লম্বা হয়। তীব্রগন্ধযুক্ত এই সবুজ পাতাগুলো সরু।[৫][৬][৭]
গ্রীষ্ম ও বর্ষা ঋতুতে ডালের আগায় ঝুলন্ত ডাঁটায় ছোট ছোট সাদা ফুল ফোটে। এদের ফুল বোঁটাহীন হয়ে থাকে।ফুলের আকার ৮ থেকে ১৫ সেমি হয়। ফলের আকারও ছোট হয়। ফলের ভিতরে অনেক বীজ থাকে।
বীজ বা কলম থেকে নতুন চারার জন্ম হয়। তবে বীজ থেকে চারা সংগ্রহ অনেক কঠিন।এজন্য চারা তৈরির সময় বিশেষ ছত্রাকের সহায়তা প্রযোজন।
আদিবাসীরা এই গাছ থেকে ছাল ব্যবহার করে এবং জলরোধী হওয়ায় এটা দিয়ে কুঁড়েঘর তৈরি ভালো হয়। এটি ব্যবহৃত হয় মৃত দেহ মোড়ানোর জন্য। গাছের কাণ্ড ডিঙি তৈরিতে ব্যবহার করে।[৮]
এই প্রজাতি ব্রিসবেন-এর মতো গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে প্রায়শই পার্কে[৬] এবং রাস্তার পাশে লাগিয়ে থাকে। উপ-গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে সিডনির দক্ষিণে রাস্তার পাশের গাছ হিসাবে জন্মায়।[৯] রোদযুক্ত স্থান এই প্রজাতির পছন্দ। স্যাঁতস্যাঁতে, ছায়াযুক্ত বা জলাবদ্ধতা স্থানেও এই গাছে জন্মে।[১০] এটি হংকংয়ের রাস্তাতেও লাগানো হয়।[১১]
এই প্রজাতি থেকে প্রচুর পরিমাণে তেল নিষ্ক্রিয় করা যায়। এই তেল কেমোটাইপগুলি মিথাইল ইউজেনল এবং ই-মিথাইল আইসোইজেনল ভিত্তিক।[৭]