ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ক্যাটরিনা মেরি কিনান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ক্রাইস্টচার্চ, ক্যান্টারবারি, নিউজিল্যান্ড | ২৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৭১|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম-ফাস্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক | ৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৫ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৫ জুলাই ১৯৯৬ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক | ১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৫ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২৩ ডিসেম্বর ২০০০ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ক্যান্টারবারি | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো, ১ মার্চ ২০১৭ |
ক্যাটরিনা মেরি কিনান (ইংরেজি: Katrina Keenan; জন্ম: ২৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭১) ক্রাইস্টচার্চের ক্যান্টারবারিতে জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা নিউজিল্যান্ডীয় প্রমিলা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ক্যান্টারবারি ম্যাজিশিয়ান্সের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি মিডিয়াম-ফাস্ট বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও ডানহাতে নিচের সারিতে ব্যাটিং করতেন ক্যাটরিনা কিনান।
৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৫ তারিখে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক ঘটে। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে পাঁচটিমাত্র টেস্টে অংশ নিতে পেরেছেন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিজস্ব সেরা বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন ৬/৭৩।[১] সে তুলনায় ওডিআই খেলেছেন বেশি। ৫৪টি ওডিআইয়ে ৩৪৮ রান তুলেন। ১৬.৮২ গড়ে ৭০ উইকেট দখল করেন তিনি। ১২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৬ তারিখে ভারতের বিপক্ষে ওডিআই অভিষেক হয় তার।
১৯৯৭ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত ক্রিকেট বিশ্বকাপের খেলায় সর্বাধিক ১৩ উইকেট দখল করেন তিনি।[২] চূড়ান্ত খেলায় নিউজিল্যান্ড দল টসে জয়ী হয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ব্যাট করতে নামে। ক্যাটরিনা যখন মাত্র পাঁচ রানে আউট হন, তখন দলের সংগ্রহ ছিল মাত্র ৪৯/৩। ডেবি হকলি’র দায়িত্বশীল ৭৯ রানের কল্যাণে দল ৪৯.৩ ওভারে মাত্র ১৬৪ রান তুলতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে বোলিংয়ে নেমে তিনি নির্ধারিত ১০ ওভার বোলিং করে ২/২৩ লাভ করলেও অস্ট্রেলিয়ার জয়ে বাঁধার প্রাচীর গড়ে তুলতে পারেনি।
২০০০ সালের মহিলা ক্রিকেট বিশ্বকাপে দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। এমিলি ড্রুমের অধিনায়কত্বে নিউজিল্যান্ড দল প্রথমবারের মতো শিরোপা জয় করে। এ প্রতিযোগিতায় তিনি ১২ উইকেট পান। সেরা বোলিং করেন ৩/১৬।
২৩ ডিসেম্বর, ২০০০ তারিখে লিঙ্কনের বার্ট সাটক্লিফ ওভালে নিউজিল্যান্ড নাটকীয়ভাবে ৪ রানে জয় পেয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা পায়। প্রতিপক্ষীয় খেলোয়াড় বেলিন্ডা ক্লার্কের ৯১ রান স্বত্ত্বেও নিউজিল্যান্ডের বিজয় রথকে আটকানো যায়নি। তিনি ১০ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নেন। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন ক্লার নিকোলসন ও র্যাচেল পুলার। প্রত্যেকেই দুই উইকেট পেলেও কিনানের বোলিংয়ে রান-রেটে ব্যাপক প্রভাববিস্তার করেছিল।[৩]
ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর নেয়ার পর ২০১০ সালের এশিয়ান গেমসে জাপানের কোচ নিযুক্ত হন তিনি।