ক্যাথরিন কিনার | |
---|---|
Catherine Keener | |
জন্ম | ক্যাথরিন অ্যান কিনার ২৩ মার্চ ১৯৫৯ |
মাতৃশিক্ষায়তন | হুইটন কলেজ |
পেশা | অভিনেত্রী |
কর্মজীবন | ১৯৮৬-বর্তমান |
দাম্পত্য সঙ্গী | ডেরমন্ট মালরনি (বি. ১৯৯০; বিচ্ছেদ. ২০০৭) |
সন্তান | ১ |
আত্মীয় | এলিজাবেথ কিনার (বোন) |
ক্যাথরিন অ্যান কিনার (ইংরেজি: Catherine Ann Keener; জন্ম: ২৩ মার্চ ১৯৫৯) হলেন একজন মার্কিন অভিনেত্রী। তিনি বিয়িং জন মালকভিচ (১৯৯৯) চলচ্চিত্র ম্যাক্সিন লন্ড ও ক্যাপোটি (২০০৫) চলচ্চিত্রে হারপার লি চরিত্রে অভিনয় করে দুইবার শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রীর জন্য একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।
কিনার অভিনীত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রসমূহ হল দ্য ফোর্টি-ইয়ার-ওল্ড ভার্জিন (২০০৫), ইনটু দ্য ওয়াইল্ড (২০০৭), সিনেকডোশ, নিউ ইয়র্ক (২০০৮), ও গেট আউট, সবকয়টি চলচ্চিত্র সমালোচকদের কাছ থেকে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া লাভ করে। কিনার পরিচালক নিকোল হলোফসেনারের মিউজ,[১] তিনি হলোফসেনারের প্রথম পাঁচটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।[২] এছাড়া তিনি পরিচালক টম ডিসিলোর প্রথম চারটি চলচ্চিত্রে ও স্পাইক জোন্সের তিনটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।[৩]
কিনার ১৯৫৯ সালের ২৩শে মার্চ ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মায়ামি শহরে এক রোমান ক্যাথলিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা জিম কিনার ফ্লোরিডার হিয়ালির একটি ম্যাট্রেস স্টোরের ব্যবস্থাপক ছিলেন এবং মাতা ইভলিন জ্যামিয়েল।[৪] তার পিতার দিক থেকে তিনি আইরিশ বংশোদ্ভূত ও মায়ের দিক থেকে লেবানীয় বংশোদ্ভূত।[৫] তিনি তার পিতামাতার পাঁচ সন্তানের মধ্যে তৃতীয়। তার বোন এলিজাবেথ কিনার একজন অভিনেত্রী।
কিনার হিয়ালি শহরে বেড়ে ওঠেন[৬] এবং ক্যাথলিক স্কুলে পড়াশোনা করেন।[৭] তিনি মঁসিয়র এডওয়ার্ড পেস হাই স্কুলে পড়াশোনা করেন। পরবর্তী কালে তিনি ম্যাসাচুসেট্সের নর্টনের হুইটন কলেজে আমেরিকান স্টাডিজ বিভাগে পড়াশোনা করেন এবং পরে থিয়েটার কোর্সে ভর্তি হন। কিনার অভিনীত প্রথম মঞ্চনাটক ছিল ওয়েন্ডি ওয়াসারস্টেইনের আনকমন উইমেন অ্যান্ড আদারস। তিনি ১৯৮৩ সালে হুইটন কলেজ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন।
কিনার জনি সুয়েড (১৯৯১) চলচ্চিত্রে প্রথম মুখ্য নারী চরিত্রে অভিনয় করেন সে সময়ে অখ্যাত ব্যাড পিটের বিপরীতে। এই ছবিতে তার কাজ সমাদৃত হয় এবং তিনি তার প্রথম ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্পিরিট পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। তিনি পরিচালক টম ডিসিলোর লিভিং ইন অবলিভিয়ন (১৯৯৫) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। পরের বছর নিকোল হলোফসেনার পরিচালিত কাল্ট-হাস্যরসাত্মক ওয়াকিং অ্যান্ড টকিং (১৯৯৬) চলচ্চিত্রে তার কাজের জন্য তিনি তার দ্বিতীয় ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্পিরিট পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।
কিনার স্পাইক জোন্স পরিচালিত বিয়িং জন মালকভিচ (১৯৯৯) চলচ্চিত্র ম্যাক্সিন লন্ড চরিত্রে অভিনয় করেন।[৪] এই কাজের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে অস্কার, গোল্ডেন গ্লোব ও স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন এবং স্যাটেলাইট পুরস্কার অর্জন করেন। ২০০১ সালে নিকোল হলোফসেনারের লাভলি অ্যান্ড অ্যামেজিং ছবিতে অভিনয় করে তিনি তার তৃতীয় ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্পিরিট পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। ২০০২ সালে তিনি এডওয়ার্ড নর্টনের সাথে অফ-ব্রডওয়ে মঞ্চে বার্ন দিস নাটকের পুনরুজ্জীবিতকরণে এবং ডেথ টু স্মুশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। একই বছর তিনি স্টিভেন সোডারবার্গের ফুল ফ্রন্টাল ও আল পাচিনোর সাথে সিমোন চলচ্চিত্রে কাজ করেন।
২০০৫ সালে তিনি সিডনি পোলাকের রাজনৈতিক থ্রিলার দি ইন্টারপ্রিটার ও ড্যানিয়েল ডে-লুইসের বিপরীতে দ্য ব্যালাড অব জ্যাক অ্যান্ড রোজ এবং দ্য ফোর্টি-ইয়ার-ওল্ড ভার্জিন চলচ্চিত্রে স্টিভ কারেলের প্রেমিকা জুড অ্যাপাটো চরিত্রে অভিনয় করেন। বেনেট মিলার পরিচালিত জীবনীমূলক ক্যাপোটি (২০০৫) চলচ্চিত্রে হারপার লি চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি বেশ কয়েকটি পুরস্কার ও মনোনয়ন লাভ করেন, তন্মধ্যে রয়েছে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে তার দ্বিতীয় অস্কারের মনোনয়ন,[৪] শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে বাফটা ও স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কারের মনোনয়ন। ২০০৬ সালে তিনি নিকোল হলোফসেনারের ফ্রেন্ডস উইথ মানি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।