ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ক্যাথরিন লরেন ফিটজপ্যাট্রিক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়া | ৪ মার্চ ১৯৬৮|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট বোলিং | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১২১) | ২ ফেব্রুয়ারি ১৯৯১ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৭১) | ২৪ জুলাই ১৯৯৩ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৬ জুন ২০১৯ |
ক্যাথরিন লরেন ফিটজপ্যাট্রিক (ইংরেজি: Cathryn Fitzpatrick; জন্ম: ৪ মার্চ, ১৯৬৮) মেলবোর্নে জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা ও সাবেক অস্ট্রেলীয় প্রমিলা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯১ থেকে ২০০৬ সময়কালে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
ঘরোয়া অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে ভিক্টোরিয়ান স্পিরিটের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতে ফাস্ট বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে কার্যকারী ব্যাটিং করেছেন ক্যাথরিন ফিটজপ্যাট্রিক।
ঘরোয়া ক্রিকেটে ভিক্টোরিয়ান স্পিরিটের পক্ষে ১০৩টি খেলায় অংশ নেন। ১৯৯১ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে অভিষেক হয় তার। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ১৩ টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন ক্যাথরিন ফিটজপ্যাট্রিক। ২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯১ তারিখে অ্যাডিলেডে সফরকারী ভারতের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় তার। ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ তারিখে একই দলের বিপক্ষে একই মাঠে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন।
টেস্টে ১৬.৮৮ গড়ে ১৫২ রান তুলেছেন। তন্মধ্যে, একটি অর্ধ-শতরানের ইনিংস ছিল। ১৯.১১ গড়ে ৬০টি টেস্ট উইকেট পেয়েছেন। তার তুলনায় কেবলমাত্র আরেকজন অস্ট্রেলীয় মহিলা ক্রিকেটার অধিকসংখ্যক টেস্ট উইকেট লাভের অধিকারী। ১০৯টি একদিনের আন্তর্জাতিক খেলায় অংশ নিয়ে ১৬.৫৯ গড়ে ৬৫১ রান এবং ১৬.৭৯ গড়ে ১৮০ উইকেট তুলে নিয়েছেন। ওডিআই উইকেট লাভের দিক দিয়ে যে-কোন মহিলা ক্রিকেটারের পক্ষে সর্বোচ্চ। পরবর্তীতে, মে, ২০১৭ সালে ভারতের ঝুলন গোস্বামী তার রেকর্ড ভঙ্গ করেন। ১৯৯৭ ও ২০০৫ সালের মহিলাদের ক্রিকেট বিশ্বকাপের শিরোপা বিজয়ী অস্ট্রেলিয়া দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন।
২০০৪ সালে অস্ট্রেলিয়ান ইন্টারন্যাশনাল বর্ষসেরা মহিলা ক্রিকেটার পুরস্কারে ভূষিত হন। ২০১৯ সালে ডিন জোন্স ও বিলি মারডকের সাথে একত্রে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত হন।[১]
মার্চ, ২০০৭ সালে আন্তর্জাতিক ও রাজ্য ক্রিকেট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবসর গ্রহণের কথা ঘোষণা করেন তিনি। এরপর তিনি কোচিং জগতের দিকে ধাবিত হন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণের দুই মাস পর মে, ২০০৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রধান কোচ হিসেবে যোগদান করেন। ১৩ মার্চ, ২০১৫ তারিখে এ দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দেয়া হয়।
ক্রিকেটের বাইরে তিনি ‘লিটল ব্রিটেন’ পছন্দ করেন। এএফএলে ক্যাঙ্গারুজ দলের সমর্থক। খেলাবিহীন অবস্থায় মহিলা ডাককর্মী হিসেবে কাজ করেন।
বিশ্বের সর্বাপেক্ষা দ্রুতগতিসম্পন্ন মহিলা পেস বোলারের স্বীকৃতি পেয়েছেন। ঘণ্টায় ১২৫ কিলোমিটার গতিবেগে বোলিং করেছেন তিনি। ১৬ বছরের অধিক সময় বিশ্বের দ্রুতগতিসম্পন্ন বোলার ছিলেন। দুইবার ঘণ্টায় ৭৫ মাইল বেগে বোলিং করার রেকর্ড গড়েন। খেলার উত্তরণকল্পে অনেকাংশে বিখ্যাত ক্রিকেটার গ্লেন ম্যাকগ্রা’র বোলিং ভঙ্গীমা অনুসরণ করেছিলেন।
টেস্টে ১.৯১ গড়ে ও একদিনের আন্তর্জাতিকে ৩.০১ গড়ে ওভার প্রতি রান দিয়েছেন। অসম্ভব পরিশ্রম করে জুন, ২০০৫ সালে প্রথম প্রমিলা বোলার হিসেবে ১৫০টি ওডিআই উইকেট পান। এছাড়াও, ১০০ ওডিআই খেলায় অংশগ্রহণের মাইলফলক স্পর্শ করেন। অক্টোব, ২০০৬ সালে রোজ বোল সিরিজে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এ কীর্তি গড়েন। ঐ মাসেই প্রথমবারের মতো আইসিসি বর্ষসেরা মহিলা খেলোয়াড়ের সংক্ষিপ্ত তালিকায় তাকে রাখা হয়েছিল। তবে, দলীয় সঙ্গী কারেন রোল্টন এ মর্যাদার অধিকারী হন।
মহিলাদের ওডিআইয়ের ইতিহাসে বয়োঃজ্যেষ্ঠ হিসেবে পাঁচ-উইকেট লাভের অধিকারী হন। এ সময় তার বয়স ছিল ৩৭ বছর ৩৫৮দিন।[২]