ক্যাথরিন হেলমন্ড | |
---|---|
Katherine Helmond | |
![]() ১৯৮৯ সালে প্রাইমটাইম এমি পুরস্কার আয়োজনে হেলমন্ড | |
জন্ম | ক্যাথরিন মারি হেলমন্ড ৫ জুলাই ১৯২৯ গালভেস্টন, টেক্সাস, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
মৃত্যু | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ লস অ্যাঞ্জেলেস, ক্যালিফোর্নিয়া, যুক্তরাষ্ট্র | (বয়স ৮৯)
মৃত্যুর কারণ | আলৎসহাইমারের রোগ |
জাতীয়তা | মার্কিন |
পেশা | অভিনেত্রী, পরিচালক |
কর্মজীবন | ১৯৫৫-বর্তমান |
দাম্পত্য সঙ্গী | জর্জ এন. মার্টিন (বি. ১৯৫৭; বিচ্ছেদ. ১৯৬২) ডেভিড ক্রিশ্চিয়ান (বি. ১৯৬২) |
পুরস্কার | গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার (২ বার) |
ক্যাথরিন মারি হেলমন্ড (ইংরেজি: Katherine Marie Helmond; ৫ জুলাই ১৯২৯ - ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯) হলেন একজন মার্কিন অভিনেত্রী ও পরিচালক। পাঁচ দশক সময় ধরে তার টেলিভিশন অভিনয় জীবনে তিনি এবিসি চ্যানেলের সোপ অপেরা সিটকম সোপ (১৯৭৭-১৯৮১)-এ জেসিকা টেট চরিত্রে এবং হুজ দ্য বস? (১৯৮৪-১৯৯২)-এ মোনা রবিনসন চরিত্রে অভিনয়ের জন্য সুপরিচিত।[১] সোপ-এ অভিনয়ের জন্য তিনি ১৯৮০ সালে একটি শ্রেষ্ঠ হাস্যরসাত্মক টিভি ধারাবাহিক অভিনেত্রী বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার লাভ করেন[২] এবং ১৯৭৮-১৯৮১ পর্যন্ত টানা চারবার হাস্যরসাত্মক ধারাবাহিকে শ্রেষ্ঠ কেন্দ্রীয় অভিনেত্রী বিভাগে প্রাইমটাইম এমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। হুজ দ্য বস?-এ তার কাজের জন্য তিনি ১৯৮৯ সালে একটি সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার লাভ করেন এবং ১৯৮৮ ও ১৯৮৯ সালে দুইবার হাস্যরসাত্মক ধারাবাহিকে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে প্রাইমটাইম এমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।
হেলমন্ড ১৯৮৮ সালে লেডি ইন হোয়াইট চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে স্যাটার্ন পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। ১৯৯০-এর দশকে তিনি কোচ (১৯৯৫-১৯৯৭) ধারাবাহিক ডরিস শেরম্যান ও এভরিবডি লাভস রেমন্ড (১৯৯৬-২০০৪) ধারাবাহিক লইস হুইলান চরিত্রে অভিনয় করেন। পাশাপাশি তাকে কয়েকটি আলাপচারিতা অনুষ্ঠান ও বিচিত্রানুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে দেখা যায়।
হেলমন্ড ১৯২৯ সালের ৫ই জুলাই জন্মগ্রহণ করেন। তার মাতা থেলমা (বিবাহপূর্ব ম্যালোন; ১৩ মে ১৯১০ - ১০ অক্টোবর ১৯৮১) এবং পিতা জোসেফ পি. হেলমন্ড (১১ মার্চ ১৯০৪ - ৩১ জানুয়ারি ১৯৮৩)। তিনি তার পিতামাতার একমাত্র সন্তান। তিনি তার মাতা ও মাতামহীর নিকট বেড়ে ওঠেন, তারা দুজনেই ক্যাথলিক ধর্মে বিশ্বাসী ছিলেন।[৩]
হেলমন্ড ক্যাথলিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন এবং বিদ্যালয়ের নাটকে অভিনয় করেন। তিনি এক সেমিস্টার দক্ষিণ ক্যারোলিনার গ্রিনভিলের বস জোন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন এবং এর চলচ্চিত্র ওয়াইন অব মর্নিং-এ অভিনয় করেন।[৩]
হেলমন্ডের মঞ্চে অভিষেক ঘটে অ্যাজ ইউ লাইক ইট নাটক দিয়ে, এরপর তিনি ১৯৫৫ সাল থেকে নিউ ইয়র্ক সিটিতে কাজ শুরু করেন।[৩] তিনি তিন মৌসুম ক্যাটস্কিলে একটি গ্রীষ্মকালীন মঞ্চদলও পরিচালনা করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্চনাটকে অভিনয় শিখাতেন। তার টেলিভিশনে অভিষেক ঘটে ১৯৬২ সালে, কিন্তু ১৯৭০-এর দশকের পূর্ব পর্যন্ত তিনি বড় কোন চরিত্রে কাজ পাননি।[৩] ১৯৭০-এর দশকে তিনি টেলিভিশনের পাশাপাশি মঞ্চে অভিনয়ও চালিয়ে যান এবং ব্রডওয়ে মঞ্চে ইউজিন ওনিলের দ্য গ্রেট গড ব্রাউন (১৯৭৩) মঞ্চনাটকে অভিনয় করে একটি টনি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। তার অন্যান্য ব্রডওয়ে মঞ্চনাটক হল প্রাইভেট লাইভস, ডন জুয়ান ও মিক্সেড ইমোশন্স।[৪]
হেলমন্ড ১৯৭৫ সালে ঐতিহাসিক রহস্যধর্মী টেলিভিশন চলচ্চিত্র দ্য লেজেন্ড অব লিজি বোর্ডেন চলচ্চিত্রে এমা বোর্ডেন চরিত্রে অভিনয় করেন।[৩] পরের বছর তাকে জিন ইভান্সের সাথে সিবিএসের রোমাঞ্চকর ধারাবাহিক স্পেন্সার্স পাইলটস-এ একটি পর্বে দেখা যায়। একই বছর তিনি ফ্যামিলি প্লট (১৯৭৬) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।
তিনি এবিসি চ্যানেলের সোপ অপেরা সিটকম সোপ (১৯৭৭-১৯৮১)-এ জেসিকা টেট চরিত্রে অভিনয়ের জন্য খ্যাতি অর্জন করেন।[৩] তিনি এই ধারাবাহিকে অভিনয় করে ১৯৮০ সালে শ্রেষ্ঠ হাস্যরসাত্মক টিভি ধারাবাহিক অভিনেত্রী বিভাগে একটি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার লাভ করেন এবং ১৯৭৮-১৯৮১ পর্যন্ত টানা চারবার হাস্যরসাত্মক ধারাবাহিকে শ্রেষ্ঠ কেন্দ্রীয় অভিনেত্রী বিভাগে প্রাইমটাইম এমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। এই সময়ে তিনি টাইম ব্যান্ডিটস (১৯৮১) ও ব্রাজিল (১৯৮৫) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ব্রাজিল চলচ্চিত্রে তাকে জনাথন প্রাইসের মায়ের চরিত্রে দেখা যায়। ১৯৮৩ সালে তিনি আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউটের পরিচালনা কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
১৯৮৪-১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনি এবিসির সিটকম হুজ দ্য বস? ধারাবাহিকে মোনা রবিনসন চরিত্রে অভিনয় করেন।[৩] এই ধারাবাহিকে তার কাজের জন্য তিনি ১৯৮৯ সালে একটি সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার লাভ করেন এবং ১৯৮৮ ও ১৯৮৯ সালে দুইবার হাস্যরসাত্মক ধারাবাহিকে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে প্রাইমটাইম এমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।
১৯৫৭ সালে হেলমন্ড জর্জ এন. মার্টিনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৬২ সালে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। একই বছর তিনি ডেভিড ক্রিশ্চিয়ানের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তারা লস অ্যাঞ্জেলেস, নিউ ইয়র্ক সিটি, লং আইল্যান্ড ও লন্ডনে বসবাস করতেন।[৫]
হেলমন্ড ২০১৯ সালের ২৩শে ফেব্রুয়ারি ৮৩ বছর বয়সে লস অ্যাঞ্জেলেসে তার নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি আলৎসহাইমারের রোগের জটিলতায় ভুগছিলেন।[৬] তার মৃত্যুর খবর এক সপ্তাহ পর পাওয়া যায়।[৭]