ক্যাপোটি | |
---|---|
![]() Theatrical release poster | |
পরিচালক | বেনেট মিলার |
প্রযোজক | |
চিত্রনাট্যকার | ড্যান ফুটারম্যান |
শ্রেষ্ঠাংশে | |
সুরকার | মাইকেল ড্যানা |
চিত্রগ্রাহক | অ্যাডাম কিমেল |
সম্পাদক | ক্রিস্টোফার টেলেফসেন |
প্রযোজনা কোম্পানি |
|
পরিবেশক | সনি পিকচার্স ক্লাসিকস মেট্রো গোল্ডউইন মেয়ার |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১১৪ মিনিট |
দেশ | যুক্তরাষ্ট্র কানাডা[১] |
ভাষা | ইংরেজি |
নির্মাণব্যয় | $৭ মিলিয়ন [২] |
আয় | $৫০ মিলিয়ন[২] |
ক্যাপোটি ২০০৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ও বিখ্যাত লেখক ট্রুম্যান ক্যাপোটির উপর নির্মিত একটি জীবনীধর্মী চলচ্চিত্র। বেনেট মিলার ছবিটি পরিচালনা করেছেন। ১৯৬৬ সালে প্রকাশিত ক্যাপোটির বাস্তব কাহিনীমূলক বা নন-ফিকশন গ্রন্থ ইন কোল্ড ব্লাড-এ বর্ণিত ঘটনা এ ছবিতে চিত্রায়িত হয়েছে। ফিলিপ সিমোর হফম্যান ক্যাপোটি চরিত্রে অসাধারণ অভিনয়ের জন্য সমালোচকদের প্রশংসা লাভ করেন। এজন্য তিনি অস্কার-সহ বিভিন্ন পুরস্কার লাভ করেন। জেরাল্ড ক্লার্কের ১৯৮৮ সালের গ্রন্থ ক্যাপোটি অবলম্বনে ছবিটি নির্মিত হয়েছে। প্রধানত ২০০৪ সালের শরতে ম্যানিটোবায় ছবিটির দৃশ্য ধারণ করা হয়। [৩] ২০০৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ক্যাপোটির জন্মদিনে ছবিটি মুক্তি পায়।
১৯৫৯ সালে ক্যান্সাস অঙ্গরাজ্যে ক্লাটার পরিবারের মৃতদেহ আবিষ্কৃত হয়। নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকা পড়ার সময় লেখক ট্রুম্যান ক্যাপোটি এ হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে অবগত হন। এর বর্ণনা পড়ে উত্তেজিত হয়ে তিনি দ্য নিউ ইয়র্কার ম্যাগাজিনের সম্পাদক উইলিয়াম শনকে বলেন, তিনি এই বিয়োগান্ত ঘটনা নিয়ে গবেষণা করবেন।
ক্যাপোটি ক্যান্সাসের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন। তার সঙ্গে আছেন শৈশবের বান্ধবী নেলি হার্পার লি। তিনি ক্লাটার পরিবারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের সাক্ষাৎকার নিতে চান। নেলি তাকে সহযোগিতা করবেন। অ্যালভিন ডিউয়ি ক্যান্সাস তদন্ত ব্যুরোর কর্মকর্তা এ মামলাটি সমাধানের দায়িত্ব পেয়েছেন। ক্যাপোটিকে তিনি প্রথমে পাত্তাই দেন না। কিন্তু ডিউয়ির স্ত্রী মেরি ক্যাপোটির লেখার একজন ভক্ত। তিনি তার স্বামীকে ক্যাপোটি ও লি-কে নৈশভোজের আমন্ত্রণের অনুরোধ জানান।
ক্যাপোটির চলচ্চিত্রবিষয়ক গল্প মেরিকে বিমোহিত করে। একসময় তার স্বামীরও ক্যাপোটির প্রতি মন গলতে শুরু করে। একসময় তিনি হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যক্তিদের আলোকচিত্র ক্যাপোটিকে দেখতে দেন। যখন খুনের সন্দেহভাজন অপরাধী পেরি স্মিথ ও রিচার্ড ডিক হ্যাকক ধরা পড়ে, তখন ডিউয়ি, লি আর ক্যাপোটি রাতের খাবার খাচ্ছিলেন। অভিযুক্তদের যে কারাগারে রাখা হয়েছে, সেখানে ক্যাপোটি তোষামোদি, ঘুষ প্রদান ও মানবচরিত্রের অন্তর্দৃষ্টির বিশ্লেষণের মাধ্যমে সহজেই পৌঁছে যায়।
ক্যাপোটি পেরি স্মিথের সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলেন। তিনি উইলিয়াম শনকে বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের গল্প নিয়ে তিনি একটি পূর্ণাঙ্গ বই লিখতে চান। ওয়ার্ডেন মার্শাল ক্রাচকে ঘুষ দিয়ে তিনি নিয়মিত অপরাধীদের সান্নিধ্যে আসতে থাকেন।
ক্যাপোটি স্মিথ ও তার জীবন সম্পর্কে জেনে সমস্ত সময় অতিবাহিত করেন। কিন্তু মাঝখানে এক বছর তিনি স্পেন ও মরক্কো গিয়ে বইয়ের প্রথম তিন অংশ লিখেন। তার সাথে ছিলেন সহচর জ্যাক ডানফি।