ক্যারল লমবার্ড | |
---|---|
Carole Lombard | |
জন্ম | জেন অ্যালিস পিটার্স ৬ অক্টোবর ১৯০৮ ফোর্ট ওয়েন, ইন্ডিয়ানা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
মৃত্যু | ১৬ জানুয়ারি ১৯৪২ পোটসি পর্বত, নেভাডা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | (বয়স ৩৩)
মৃত্যুর কারণ | বিমান দুর্ঘটনা |
সমাধি | ফরেস্ট লন মেমোরিয়াল পার্ক, গ্লেনডেল, ক্যালিফোর্নিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
পেশা | অভিনেত্রী |
কর্মজীবন | ১৯২১–১৯৪২ |
দাম্পত্য সঙ্গী | উইলিয়াম পাওয়েল (বি. ১৯৩১; বিচ্ছেদ. ১৯৩৩) ক্লার্ক গেবল (বি. ১৯৩৯) |
ক্যারল লমবার্ড (জন্ম: জেন অ্যালিস পিটার্স; ৬ অক্টোবর ১৯০৮ - ১৬ জানুয়ারি ১৯৪২) ছিলেন একজন মার্কিন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। তিনি ১৯৩০-এর দশকে স্ক্রুবল হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্রে তার শক্তিধর ও প্রায়ই মূলধারার বাইরের চলচ্চিত্রে কাজের জন্য সর্বাধিক পরিচিত। তিনি ১৯৩০-এর দশকের শেষভাগে হলিউডের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক গ্রহীতা তারকা।
১৯৪২ সালে মাত্র ৩৩ বছর বয়সে এক বিমান দুর্ঘটনায় মারা গেলে লমবার্ডের কর্মজীবনের সমাপ্তি ঘটে। বর্তমান সাওময়ে তিনি স্ক্রুবল হাস্যরসাত্মক ধারার চলচ্চিত্রে ও মার্কিন হাস্যরসাত্মক ধারার চলচ্চিত্রের তার কাজের জন্য স্মরণীয়। তিনি আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউটের করা ধ্রুপদী হলিউড চলচ্চিত্রশিল্পের সেরা নারী তারকা তালিকায় ২৩তম স্থান অধিকার করেন।[১]
লমবার্ড ১৯০৮ সালের ৬ই অক্টোবর ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের ফোর্ট ওয়েনের ৭০৪ রকহিল স্ট্রিটে জন্মগ্রহণ করেন।[২] খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত হওয়ার সময় তার নাম রাখা হয় জেন অ্যালিস পিটার্স। তার পিতা ফ্রেডরিক ক্রিশ্চিয়ান পিটার্স (১৮৭৫-১৯৩৫) এবং মাতা এলিজাবেথ জেইন "বেসি" (নাইট) পিটার্স (১৮৭৬-১৯৪২)। তিনি তার পিতামাতার তৃতীয় সন্তান ও একমাত্র কন্যা। তার বড় দুই ভাই ফ্রেডরিক চার্লস (১৯০২-১৯৭৯) ও জন স্টুয়ার্ট (১৯০৬-১৯৫৬)।[৩] তারা খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন এবং একসাথে বেড়ে ওঠেন। লমবার্ডের পিতামাতা দুজনেই ধনাট্য পরিবার থেকে এসেছেন এবং তিনি জীবনের শুরুতে আরাম-আয়েশে জীবনযাপন করেন। তার জীবনীকার রবার্ট ম্যাটজেন যাকে "রূপার চামচ যুগ" বলে অভিহিত করেন।[৪] তার পিতামাতার বৈবাহিক সম্পর্কে ফাটল ধরতে শুরু করলে ১৯১৪ সালের অক্টোবর মাসে তার মাতা সন্তানদের নিয়ে লস অ্যাঞ্জেলেসে চলে যান।[৫] যদিও এই দম্পত্তির মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটেনি, তথাপি তারা স্থায়ীভাবে আলাদা হয়ে যান। তার পিতার আর্থিক সহায়তার জন্য তাদের জীবনধারণ নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে হয়নি। তারা লস অ্যাঞ্জেলেসের ভেনিস বুলেভারের নিকটবর্তী একটি অ্যাপার্টমেন্টে বসবাস করতেন।[৬]
তার জীবনীকার ওয়েস গেহরিং তাকে "স্বাধীনতচেতা টমবয়" বলে উল্লেখ করেন, কিশোরী লমবার্ড খেলাধুলার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলেন এবং চলচ্চিত্র দেখতে পছন্দ করতেন।[৭] ভার্জিল জুনিয়র হাই স্কুলে তিনি টেনিস, ভলিবল ও সাঁতারে অংশগ্রহণ করতেন এবং অ্যাথলেটিক্সে ট্রফি জয় করেন।[৫] ১২ বছর বয়সে তার এই শখ অপ্রত্যাশিতভাবে তাকে তার প্রথম পর্দায় কাজের সুযোগ এনে দেয়। বন্ধুদের সাথে বেসবল খেলারত অবস্থায় তিনি চলচ্চিত্র পরিচালক অ্যালান ডোয়ানের নজর কাড়েন। তিনি পরবর্তী কালে বলেন, "একটি দেখতে-সুন্দর ছোট টমবয়... অন্য বাচ্চাদের সাথে খেলা করছিল এবং বাকিদের চেয়ে ভালো বেসবল খেলছিল। এবং এই চলচ্চিত্রের জন্য আমার তার মত একজনকে দরকার ছিল।"[৮] তার মায়ের উৎসাহে লমবার্ড আ পারফেক্ট ক্রাইম (১৯২১) চলচ্চিত্রে একটি ছোট চরিত্রে অভিনয় করেন। তিনি দুইদিন সেটে ছিলেন,[৮] এবং মন্টে ব্লুর বোনের চরিত্রে অভিনয় করেন।[৯]