ধরন | Aktiebolag |
---|---|
শিল্প | Automotive |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৯৯৪[১] |
প্রতিষ্ঠাতা | Christian von Koenigsegg |
সদরদপ্তর | , |
বাণিজ্য অঞ্চল | Worldwide |
প্রধান ব্যক্তি | Christian von Koenigsegg (CEO) Halldora von Koenigsegg (COO) |
পণ্যসমূহ | Sports cars Engineering Consultations |
মালিক | Christian von Koenigsegg |
কর্মীসংখ্যা | ~200 (November 2018)[২] |
ওয়েবসাইট | koenigsegg.com |
ক্যোনিগসেগ অটোমোটিভ (সুইডিশ ভাষায়: ˈkøːnɪɡsɛɡ) একটি সুইডিশ মোটরগাড়ি নির্মাতা কোম্পানি। কোম্পানিটি উন্নতমানের স্পোর্টস গাড়ি তৈরি করে। ২০০৯ এর মার্চে ফোর্বস ক্যোনিগসেগের CCXR মডেলের গাড়িকে ইতিহাসের সবচেয়ে সুন্দর দশটি গাড়ির মধ্যে একটি বলে স্বীকৃতি দেয়।[৩]
ক্যোনিগসেগ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৪ সালে সুইডেনে। ক্রিশ্চিয়ান ফন ক্যোনিগসেগ নামের এক ব্যক্তি বিশ্বমানের উন্নত গাড়ি তৈরির লক্ষ্যে এটি প্রতিষ্ঠা করেন। বহু বছরের প্রচেষ্টা কোম্পানিটি সর্বপ্রথম ২০০২ সালে আইনগতভাবে বৈধ গাড়ি তৈরি করে। ক্যোনিগসেগ সুইডেনের শেয়ার বাজারে অনিবন্ধিত একটি মুক্ত পাবলিক কোম্পানি। এর প্রায় ৯০জন শেয়ার গ্রহীতা রয়েছে। ক্রিশ্চিয়ান ফন কোনিগসেগ এর প্রধান নির্বাহী এবং একজন শেয়ার গ্রহীতা।
২০০৬ সালে ক্যোনিগসেগ CCX নামের গাড়ি তৈরি শুরু করে। এটির ইঞ্জিন কোনিগসেগের কারখানায় কেবল ঐ গাড়ির জন্যই বিশেষভাবে তৈরি করা হয়। গাড়িটি বেশিরভাগ দেশেই আইনগতভাবে রাস্তায় চলার উপযোগী। সুপারগাড়ি নির্মাণ ছাড়াও কোনিগসেগ পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি উন্নয়নে কাজ করে। এক্ষেত্রে কোম্পানিটির প্রথম প্রয়াস CCXR মডেলের গাড়ি। বর্তমানে ক্যোনিগসেগ Agera-R মডেলের গাড়ি তৈরি করছে। ইলেকট্রনিক গাড়ি তৈরিতেও কোনিগসেগ কাজ করছে। ২০১০ এর ডিসেম্বরে ক্যোনিগসেগ Agera বিবিসি টপ গিয়ার হাইপারকার অফ দ্য ইয়ার এ্যাওয়ার্ড অর্জন করে।
ক্রিশ্চিয়ান ফন ক্যোনিগসেগ ক্যোনিগসেগের প্রাথমিক ডিজাইন করেন। তিনি তাঁর স্কেচ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইনার ডেভিড ক্র্যাফোর্ড এর কাছে নিয়ে যান। ডেভিড ডিজাইনটার তৈরি করে তা নিরোক্ষা করেন। এই মডেলটা পরবর্তিতে বড় আকারে তৈরি করা হয় এবং এর অনুসরণেই ক্যোনিগসেগের প্রথম গাড়ি ১৯৯৬ সালে নির্মিত হয়। পরের বছরগুলিতে এই ডিজাইনটির উপর ব্যাপক গবেষণা করা হয় এবং এর উপর ভিত্তি করে আরো কয়েকটি ডিজাইন প্রস্তুত করা হয়।
ক্রিশ্চিয়ান ফন ক্যোনিগসেগ নরওয়েতে নির্মিত পিঞ্চক্লিফ গ্র্যান্ড প্রিক্স নামের একটি অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র দেখে সর্বপ্রথম গাড়ি তৈরির ব্যাপারে উৎসাহী হন। তিনি ২৫ বছর বয়সে তাঁর প্রথম ব্যবসারিক উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তিনি অ্যালপ্রাজ নামের একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন স্টকহোমে। এই কোম্পানি ইউরোপ থেকে উন্নয়নশীল দেশগুলিতে খাদ্য রপ্তানি করত। এই ব্যবসার মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে তিনি ক্যোনিগসে অটোমোটিভ প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে ক্যোনিগসেগ কোম্পানি সুইডেনের ওলোফস্ট্রম শহরে ছিল। ১৯৯৭ সালে কোম্পানির আরো বেশি স্থান ও সুযোগ-সুবিধা দরকার হওয়ায় তিনি একে অ্যাঙেলহোমের কাছে স্থানান্তরিত করেন। ২০০৩ এর ২২ ফেব্রুয়ারি এই কোম্পানির একটি কারখানায় আগুন লাগে এবং সেটি ক্ষতিওগ্রস্থ হয়। ২০০৩ এর পরে যুদ্ধবিমান হ্যাঙ্গার এবং একটি অফিসকে ক্যোনিগসেগ কোম্পানির কারখানায় রুপান্তরি করা হয়। অ্যাঙেলহোম বিমানবন্দরের কাছে হওয়ায় গ্রাহকরা বিমানবন্দরে নেমেই কোনিগসেগ কারখানায় আসতে পারেন। বিমানবন্দরের মিলিটারি রানওয়ে ক্যোনিগসেগের প্রস্তুতকৃত গাড়ি পরীক্ষামূলকভাবে চালিয়ে দেখা হয়।
১৯৯৬ সালে ক্যোনিগসেগ CC মডেলের একটি গাড়ি তৈরি করে। এটিই ক্যোনিগসেগের প্রথম তৈরি গাড়ী। এই গাড়িটি পুরো দেহ কার্বন ফাইবারে তৈরি। ২০০০ সালের প্যারিস মটোর শ-তে প্রথম এই গাড়ি প্রদর্শিত হয়। ২০০২ সালে জেনেভা অটো শ-তে ক্যোনিগসে লাল রঙের CC8S মডেলের একটি গাড়ি বিক্রি করে। ঐবছরে আরো চারটি গাড়ি তৈরি করে কোনিগসেগ। এশিয়াতে ক্যোনিগসেগ স্থাপিত হয় ২০০২ সালে এবং ঐবছর সিউল অটো শো-তে ক্যোনিগসেগের গাড়ি প্রদর্শিত হয়। ২০০৪ সালে জেনেভা অটো শ-তে কোনিগসেগ তাঁর CCR মডেলের গাড়ি প্রদর্শন করে। এখন পর্যন্ত এই মডেলের মাত্র ১৪টি গাড়ি তৈরি হয়েছে।
২০০৬ সালে ক্যোনিগসেগ CCX মডেলের গাড়ি তৈরি করে। এটি বিশ্বের প্রায় সব দেশের রাস্তায় চলার উপযোগী গাড়ির নিয়মনীতি মেনে তৈরি করা হয়। ফলে নিরাপত্তা ও বিভিন্ন দেশের নির্ধারিত মান অর্জনের জন্যে এই গাড়িটিকে বহু পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। ক্যোনিগসেগ এই গাড়ির জন্য তাদের নিজস্ব ইঞ্জিন বিশেষভাবে তৈরি করে। ২০০৭ সালে ক্যোনিগসেগ CCX মডেলের উন্নত সংস্করণ CCXR তৈরি করে। এর বিশেষত্ব হল এই গাড়িটি জীবাশ্ম জ্বালানি দিয়ে চলে। এটি এমনভাবে প্রস্তুত করা হয় যাতে এটি সাধারণ গ্যাস এবং ইথানল, বা উভয়ের মিশ্রণে চলতে পারে। বর্তমানে প্রচলিত অন্যান্য জ্বালানির তুলনায় ইথানল উচ্চমানের অক্টেন রেটিংবিশিষ্ট এবং ইঞ্জিনে এটি কম তাপ সৃষ্টি করে; ফলে ইঞ্জিনের দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।