ক্রিকেট বল শক্ত ও গোলাকৃতির বল হিসেবে ক্রিকেট খেলায় ব্যবহার করা হয়। পুরুষদের ক্রিকেটে বলের ওজন ৫.৫ থেকে ৫.৭৫ আউন্স এবং এর পরিধি ৮+১৩⁄১৬ ইঞ্চি (২২.৩৮ সেমি) থেকে ৯ ইঞ্চি (২২.৮৬ সেমি) হয়ে থাকে। সাধারণত বলটি লাল রঙের হয়ে থাকে। তবে খেলার অবস্থার উপর নির্ভর করে এটি সাদা রঙেরও হতে পারে। চামড়ার আবরণে ও ক্রিকেটের আইন অনুসরণ করে বল প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলো প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটের উপযোগী বল প্রস্তুত করে থাকে। ফিল্ডিংয়ে অবস্থানকারী দলের মূল চালিকা শক্তি হচ্ছে বোলার, বল, পিচ। বলের প্রকৃতির উপর নির্ভর করে ব্যাটসম্যান রান কিংবা বাউন্ডারিতে বল ফেলে চার/ছক্কা সংগ্রহ করে। অন্যদিকে বোলারের বোলিং ভঙ্গীমার উপর বল নির্দিষ্ট লক্ষ্যে গমন করে।
টেস্ট ক্রিকেট, পেশাদার ঘরোয়া ক্রিকেটে সনাতনী পন্থায় লাল বল ব্যবহার করা হয়। একদিনের আন্তর্জাতিকে বিশেষ করে ফ্লাডলাইটে দৃশ্যমান হবার জন্য সাদা এবং ২০১০ সাল থেকে খেলোয়াড়দের সাদা পোশাক পরিধানের কারণে গোলাপী বল ব্যবহৃত হচ্ছে।[২] প্রশিক্ষণকালে সাদা, লাল ও গোলাপী বলসহ টেনিস বল ব্যবহার করা হয়ে থাকে। খেলা চলাকালে উত্তম মানের বল ব্যবহৃত হয়। তবে এ বলে আঘাতপ্রাপ্তির সমূহ সম্ভাবনা থাকে। ফলশ্রুতিতে বলের আঘাত থেকে রক্ষা পাবার লক্ষ্যে প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জামাদি ব্যবহারের প্রচলন রয়েছে। ক্রিকেটের আইনের বাইরে বলে ক্ষতের সৃষ্টি করে খেলার ফলাফল ভিন্ন করার চেষ্টা বল টেম্পারিং নামে পরিচিত যা বেশ বিতর্কের সৃষ্টি করে।
প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের প্রকৃতির উপর বলের অবস্থা নির্ভরশীল। সাদা কুকাবুরা বল একদিনের আন্তর্জাতিক ও টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে এবং লাল কোকাবুরা বল ১০টি টেস্টখেলুড়ে দেশগুলোর জাতীয় দল ব্যবহার করে।[৩] তন্মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ড দল ডিউক এবং ভারতে এসজি বল ব্যবহৃত হয়।[৩]