ক্রিস্টিন স্কট টমাস | |
---|---|
Kristin Scott Thomas | |
জন্ম | |
জাতীয়তা | ইংরেজ-ফরাসি |
পেশা | অভিনেত্রী |
কর্মজীবন | ১৯৮৪-বর্তমান |
দাম্পত্য সঙ্গী | ফ্রঁসোয়া অলিভেন (বি. ১৯৮৭; বিচ্ছেদ. ২০০৫) |
সন্তান | ৩ |
আত্মীয় | সেরেনা স্কট টমাস (বোন) |
ডেম ক্রিস্টিন অ্যান স্কট টমাস[১] ডিবিই (জন্ম ২৪ মে ১৯৬০) হলেন একজন ইংরেজ-ফরাসি অভিনেত্রী।[২] পাঁচটি বাফটা পুরস্কার ও পাঁচটি লরন্স অলিভিয়ে পুরস্কারের মনোনীত টমাস ফোর ওয়েডিংস অ্যান্ড আ ফিউনারেল (১৯৯৪) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেত্রী বিভাগে বাফটা পুরস্কার এবং ২০০৮ সালে রয়্যাল কোর্টে দ্য সিগাল নাটকে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে অলিভিয়ে পুরস্কার অর্জন করেন। তিনি দি ইংলিশ পেশন্ট (১৯৯৬) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।
স্কট টমাস ১৯৬০ সালের ২৪শে মে কর্নওয়ালের রেড্রুথে জন্মগ্রহণ করেন। তার মাতা ডেবরা (বিবাহপূর্ব হার্লব্যাট) হংকং ও আফ্রিকায় বেড়ে ওঠেন এবং নাট্যতত্ত্ব বিষয়ে পড়াশোনা করেন।[৩] তার পিতা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিমন স্কট টমাস ছিলেন রয়্যাল নেভির ফ্লিট এয়ার আর্মের পাইলট। ক্রিস্টিনের যখন পাঁচ বছর বয়স তখন তিনি একটি বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান।[৪][৫] তার ছোট বোন সেরেনা স্কট টমাস একজন অভিনেত্রী। তার চাচা অ্যাডমিরাল স্যার রিচার্ড টমাস,[৬] এবং তার প্র-প্র-পিতামহের ভাই অভিযাত্রী ক্যাপ্টেন স্কট।[৭]
স্কট টমাসের প্রথম আলোচিত কাজ হল ইভলিন ওয়াহের আ হ্যান্ডফুল অব ডাস্ট (১৯৮৮) চলচ্চিত্রে ব্রেন্ডা লাস্ট চরিত্রে অভিনয়। এই কাজের জন্য তিনি সেরা উদীয়মান নবাগত বিভাগে ইভনিং স্ট্যান্ডার্ড ব্রিটিশ চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। এরপর তিনি হিউ গ্র্যান্টের বিপরীতে বিটার মুন (১৯৯২) ও ফোর ওয়েডিংস অ্যান্ড আ ফিউনারেল (১৯৯৪) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। দ্বিতীয় চলচ্চিত্রে তার অভিনয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেত্রী বিভাগে বাফটা পুরস্কার লাভ করেন।
১৯৯৬ সালে তিনি দি ইংলিশ পেশন্ট চলচ্চিত্রে তার অভিনীত ক্যাথরিন ক্লিফটন চরিত্রটির জন্য ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করেন। এই কাজের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কার, বাফটা পুরস্কার, সেরা নাট্য চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার এবং সেরা চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিভাগে স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। এরপর তিনি রবার্ট রেডফোর্ডের বিপরীতে দ্য হর্স হুইসপারার্স এবং হ্যারিসন ফোর্ডের বিপরীতে র্যান্ডম হার্টস চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।
২০০৬ সালে তিনি গিয়োম কানে পরিচালিত ফরাসি চলচ্চিত্র ন্য ল্য দি আ পের্সন (Ne le dis à personne, আক্ষরিক অর্থে "কাউকে বোলো না") চলচ্চিত্রে এলেন চরিত্রে অভিনয় করেন। ২০০৮ সালে রয়্যাল কোর্টে দ্য সিগাল নাটকে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে অলিভিয়ে পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া একই বছর তিনি ইল ই আ লোঁতঁ ক্য জ্য তেম (Il y a longtemps que je t'aime, আক্ষরিক অর্থে "বহুদিন ধরে তোমাকে ভালবাসি") চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে বাফটা ও গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। ২০০৯ সালে তিনি লিভিং চলচ্চিত্রে তিনি অন্য একজনের জন্য স্বামীকে ছেড়ে যাওয়া স্ত্রী চরিত্রে অভিনয় করেন।