ক্রিস্টোফার ওয়াকেন | |
---|---|
Christopher Walken | |
জন্ম | রোনাল্ড ওয়াকেন ৩১ মার্চ ১৯৪৩[১] |
অন্যান্য নাম | রনি ওয়াকেন, ক্রিস ওয়াকেন |
মাতৃশিক্ষায়তন | হফস্ট্রা বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | অভিনেতা, নৃত্যশিল্পী |
কর্মজীবন | ১৯৫২–বর্তমান |
দাম্পত্য সঙ্গী | জর্জিয়ানে থন (বি. ১৯৬৯) |
ক্রিস্টোফার ওয়াকেন (ইংরেজি: Christopher Walken; জন্ম: রোনাল্ড ওয়াকেন, ৩১শে মার্চ, ১৯৪৩) হলেন একজন মার্কিন অভিনেতা ও নৃত্যশিল্পী। তিনি পর্দা ও মঞ্চ দুই মাধ্যমেই অভিনয় করেন।[২] তিনি শতাধিক চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন নাটকে কাজ করেছেন। কাজের স্বীকৃতস্বরূপ তিনি একটি একাডেমি পুরস্কার, একটি বাফটা পুরস্কার ও একটি স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কার লাভ করেছেন।
১৯৭০-এর দশকে তিনি সমালোচকদের দ্বারা সমাদৃত অ্যানি হল (১৯৭৭) ও দ্য ডিয়ার হান্টার (১৯৭৮) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। দ্য ডিয়ার হান্টার ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন এবং বাফটা পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। ওয়াকেন অভিনীত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রসমূহ হল দ্য ডগ্স অব ওয়ার (১৯৮০), দ্য ডেড জোন (১৯৮৩), আ ভিউ টু আ কিল (১৯৮৫), ব্যাটম্যান রিটার্নস (১৯৯২), ট্রু রোম্যান্স (১৯৯৩), পাল্প ফিকশন (১৯৯৪), স্লিপি হলো (১৯৯৯), ক্যাচ মি ইফ ইউ ক্যান (২০০২), হেয়ারস্প্রে (২০০৭), সেভেন সাইকোপ্যাথস্ (২০১২) ও দ্য জাঙ্গল বুক (২০১৬)। ক্যাচ মি ইফ ইউ ক্যান ছবিতে ফ্রাংক আবিগনেল সিনিয়র চরিত্রে তার কাজের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতা বিভাগে বাফটা পুরস্কার ও স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কার লাভ করেন।
ওয়াকেনের চলচ্চিত্রসমূহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি আয় করে।[৩] তিনি শেকসপিয়ারীয় নাটক হ্যামলেট, ম্যাকবেথ, রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট ও করিওলানাস-এ কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন। তিনি স্যাটারডে নাইট লাইভ অনুষ্ঠানের জনপ্রিয় উপস্থাপক। তিনি সাতবার এই অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। ২০০১ সালে তিনি চলচ্চিত্র পরিচালক ও পাণ্ডুলিপিকার হিসেবে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র পপকর্ন শ্রিম্প নির্মাণ করেন। এছাড়া তিনি ১৯৯৫ সালে তার আদর্শ এলভিস প্রেসলি সম্পর্কিত একটি নাটক হিম রচনা করেন এবং এতে অভিনয় করেন।[৪]
ওয়াকেন ১৯৪৩ সালের ৩১শে মার্চ নিউ ইয়র্কের কুইন্সের অ্যাস্টোরিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার জন্মনাম রোনাল্ড ওয়াকেন, যা রোনাল্ড কলম্যানের সম্মানার্থে রাখা হয়েছিল। তার মাতা রোজালি (জন্মনাম: রাসেল, ১৬ মে ১৯০৭ - ২৬ মার্চ ২০১০) স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো থেকে অভিবাসিত হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আসেন, এবং তার পিতা পল ওয়াকেন (৫ অক্টোবর ১৯০৩ - ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০০১) জার্মানির হর্স্ট থেকে অভিবাসিত হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আসেন।[৫][৬] তার পিতা অ্যাস্টোরিয়ায় ওয়াকেন্স বেকারির মালিক ছিলেন এবং নিজেই তা পরিচালনা করতেন।[৭][৮] ওয়াকেন মেথডিস্ট ধর্মাবলম্বী।[৯]