ব্যক্তিগত তথ্য | |||
---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ক্রিস্তিয়ান তেয়ো হেরেরা | ||
জন্ম | ১১ আগস্ট ১৯৯১ | ||
জন্ম স্থান | সাবাদেল, স্পেন | ||
উচ্চতা | ১.৭৮ মিটার (৫ ফুট ১০ ইঞ্চি) | ||
মাঠে অবস্থান | ফরোয়ার্ড / উইঙ্গার | ||
ক্লাবের তথ্য | |||
বর্তমান দল | রিয়াল বেতিস | ||
জার্সি নম্বর | ১১ | ||
যুব পর্যায় | |||
১৯৯৯–২০০২ | কান রাল | ||
২০০২–২০০৮ | বার্সেলোনা | ||
২০০৭–২০০৮ | → দাম (ধার) | ||
২০০৮–২০০৯ | এসপানিওল | ||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | |||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) |
২০০৯ | এসপানিওল বি | ৫ | (১) |
২০১০–২০১২ | বার্সেলোনা বি | ৩৯ | (৯) |
২০১১–২০১৭ | বার্সেলোনা | ৫৯ | (১১) |
২০১৪–২০১৬ | পোর্তো | ৩৬ | (৭) |
২০১৬–২০১৭ | ফিওরেন্তিনা | ৫১ | (৬) |
২০১৭– | রিয়াল বেতিস | ৩২ | (৪) |
জাতীয় দল‡ | |||
২০১০ | স্পেন অনূর্ধ্ব ১৯ | ৩ | (০) |
২০১১ | স্পেন অনূর্ধ্ব ২০ | ৫ | (১) |
২০১২–২০১৩ | স্পেন অনূর্ধ্ব ২১ | ১২ | (২) |
২০১২ | স্পেন অনূর্ধ্ব ২৩ | ৬ | (০) |
২০১৩- | স্পেন | ১ | (০) |
২০১৩– | কাতালোনিয়া | ২ | (০) |
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে এবং ২০ মে ২০১৮ তারিখ অনুযায়ী সকল তথ্য সঠিক। ‡ জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা ১৪ আগস্ট ২০১৩ তারিখ অনুযায়ী সঠিক। |
ক্রিস্তিয়ান তেয়ো হেরেরা (জন্ম ১১ আগস্ট ১৯৯১) একজন স্পেনীয় ফুটবলার যিনি ফরোয়ার্ড বা উইঙ্গার হিসেবে স্পেনের দল রিয়াল বেতিস এ খেলেন।
তেয়ো কাতালোনিয়া অঙ্গরাজ্যের বার্সেলোনা প্রদেশের সাদাবেল শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিন ১১ বছর বয়সে সিএফ কান রালের হয়ে খেলা শুরু করেন এবং অল্প দিনের মধ্যেই বার্সেলোনায় চলে আসেন। বার্সেলোনা থেকে তাকে এক বছরের জন্য ধারে নেয় দাম।
২০০৮ সালে, তেয়োর চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে, তার সাথে চুক্তি করে আরসিডি ইস্প্যানিওল। ২০০৯–১০ মৌসুমে সিনিয়র দলে তার অভিষেক হয়। তিনি বি দলের হয়ে চারটি খেলায় অংশগ্রহণ করেন। ঐ মৌসুমে বি দলের তৃতীয় বিভাগে অবনমন ঘটে।
২০১০ সালে বার্সেলোনা বি দলে ফিরে আসেন তেয়ো। ২০১১ সালের ৯ নভেম্বর, বার্সেলোনার হয়ে তার অভিষেক হয়; কোপা দেল রে’র খেলায় এল’হসপিতালেতের বিপক্ষে তিনি পুরো ৯০ মিনিট খেলেন।[১] খেলায় বার্সেলোনা ০–১ ব্যবধানে জয় লাভ করে। দ্বিতীয় লেগে তিনি জোড়া গোল করেন এবং খেলায় বার্সেলোনা ৯–০ ব্যবধানে জয় লাভ করে।[২]
২০১২ সালের ২৮ জানুয়ারি, লা লিগায় তেয়োর প্রথম অভিষেক হয়। ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে খেলার ৭৫তম মিনিটে আর্দ্রিয়ানোর বদলি হিসেবে নামেন তিনি। খেলাটি ০–০ সমতায় শেষ হয়।[৩] ৪ ফেব্রুয়ারি, সোসিয়েদাদের বিপক্ষে মেসির পাস থেকে গোলের সূচনা করেন তেয়ো এবং তিনি পুরো ৯০ মিনিট খেলেন। খেলায় বার্সেলোনা ২–১ ব্যবধানে জয় লাভ করে।[৪]
২০১২ সালের ৭ মার্চ, চ্যাম্পিয়নস লিগে তেয়োর অভিষেক হয়। ক্যাম্প ন্যুতে বেয়ার লেভারকুজেনের বিপক্ষে ইনিয়েস্তার বদলি হিসেবে নামেন তিনি এবং দুই মিনিটের মধ্যেই একটি গোল করেন। সাত মিনিট পর তিনি আরো একটি গোল করে দলকে ৬–০ ব্যবধানে এগিয়ে নিয়ে যান। খেলায় বার্সেলোনা ৭–১ ব্যবধানে জয় লাভ করে।[৫]
যদিও প্রাথমিকভাবে তার ভবিষ্যত্ অনিশ্চয়তা দেখা দেয়,[৬][৭] তেয়ো নতুন ম্যানেজার টিটো ভিলানোভাকে সন্তুষ্ট করতে পেরেছিলেন এবং ২০১২–১৩ মৌসুমে দলের সদস্য হিসেবে থেকে যান। ২০১২ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর, চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বের খেলায় স্পার্তাক মস্কোর বিপক্ষে তিনি খেলার প্রথম গোলটি করেন এবং মেসির একটি গোলে সহায়তা করেন। খেলায় বার্সেলোনা ৩–১ ব্যবধানে জয় লাভ করে এবং তাকে ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত করা হয়।[৮]
২০১২ সালের ১৩ ডিসেম্বর, তেয়ো বার্সেলোনার সাথে নতুন চুক্তি সাক্ষর করেন। যার মেয়াদ ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত।[৯] এর নয় দিন পর ভায়াদোলিদের বিপক্ষে তিনি একটি গোল করেন। খেলায় বার্সেলোনা ৩–১ ব্যবধানে জয় লাভ করে।[১০]
২০১৩ সালের ৩০ মার্চ, সেল্তা ভিগোর বিপক্ষে লা লিগার খেলায় তেয়ো একটি গোল করেন এবং লিওনেল মেসির একটি গোলে সহায়তা করেন। খেলাটি ২–২ গোলে ড্র হয়।[১১]
২০১২ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে স্পেন দলের সদস্য ছিলেন তেয়ো। গ্রুপ পর্বের তিনটি খেলাতেই তিনি মাঠে নামেন। কিন্তু স্পেন গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয়।
২০১৩ সালের ১৪ আগস্ট, ইকুয়েডরের বিপক্ষ একটি প্রীতি খেলায় স্পেনের সিনিয়র দলে তেয়োর অভিষেক হয়। তিনি কাজরোলার একটি গোলে সহায়তা করেন। খেলায় স্পেন ২–০ গোলের ব্যবধানে জয় লাভ করে।[১২]
৫ অক্টোবর ২০১৩ অনুসারে।[১৩][১৪]
ক্লাব | মৌসুম | লীগ | কাপ | ইউরোপ | অন্যান্য [১৫] | মোট | |||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
উপস্থিতি | গোল | উপস্থিতি | গোল | উপস্থিতি | গোল | উপস্থিতি | গোল | উপস্থিতি | গোল | ||
এসপানিওল বি | ২০০৯–১০[১৬] | ৫ | ১ | — | ৫ | ১ | |||||
মোট | ৫ | ১ | — | ৫ | ১ | ||||||
বার্সেলোনা বি | ২০১০–১১ | ২৩ | ৪ | — | ২৩ | ৪ | |||||
২০১১–১২ | ১৬ | ৫ | — | ১৬ | ৫ | ||||||
মোট | ৩৯ | ৯ | — | ৩৯ | ৯ | ||||||
বার্সেলোনা | ২০১১–১২ | ১৫ | ৩ | ৪ | ২ | ৩ | ২ | ০ | ০ | ২২ | ৭ |
২০১২–১৩ | ২২ | ৭ | ৬ | ০ | ৪ | ১ | ২ | ০ | ৩৪ | ৮ | |
২০১৩–১৪ | ২২ | ১ | ৬ | ৩ | ২ | ১ | ০ | ০ | ৩০ | ৫ | |
মোট | ৫৯ | ১১ | ১৬ | ৫ | ৯ | ৪ | ২ | ০ | ৮৬ | ২০ | |
ক্যারিয়ারে সর্বমোট | ১০৩ | ২১ | ১৬ | ৫ | ৯ | ৪ | ২ | ০ | ১৩০ | ৩০ |
|তারিখ=
(সাহায্য)[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
|তারিখ=
(সাহায্য)