ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ক্লদ প্যাজেট কার্টার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ডারবান, নাটাল উপনিবেশ | ২৩ এপ্রিল ১৮৮১|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ৮ নভেম্বর ১৯৫২ ডারবান, দক্ষিণ আফ্রিকা | (বয়স ৭১)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৭৯) | ১০ জুন ১৯১২ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৬ আগস্ট ১৯২৪ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৮৯৭/৯৮ - ১৯০৭/০৮, ১০১২/১৩ - ১৯২৩/২৪ | নাটাল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯১০/১১ | ট্রান্সভাল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২১ আগস্ট, ২০১৯ |
ক্লদ প্যাজেট কার্টার (ইংরেজি: Claude Carter; জন্ম: ২৩ এপ্রিল, ১৮৮১ - মৃত্যু: ৮ নভেম্বর, ১৯৫২) কোয়াজুলু-নাটাল প্রদেশের ডারবান এলাকায় জন্মগ্রহণকারী দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯১২ থেকে ১৯২৪ সময়কালে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।[১][২]
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে নাটাল ও গটেং দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে কার্যকরী ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করেছেন ক্লদ কার্টার।
ডারবান বয়েজ মডেল স্কুলে অধ্যয়ন করেছেন। বিদ্যালয় জীবন ত্যাগ করার পর ১৬ বছর বয়সে নাটালের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেন। ১৮৯৮ সাল থেকে ১৯২৩ সাল পর্যন্ত দলটিতে খেলেন। তন্মধ্যে, ১৯১০-১১ মৌসুমে ট্রান্সভালের পক্ষে খেলেছিলেন তিনি। [৩]
১৮৯৭-৯৮ মৌসুম থেকে ১৯২৩-২৪ মৌসুম পর্যন্ত ক্লদ কার্টারের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। সর্বমোট ২৬ বছরে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে সমুজ্জ্বল ছিলেন। তন্মধ্যে, অভিষেক ঘটা ১৮৯৭-৯৮ মৌসুমে ট্রান্সভালের বিপক্ষে ৫/১৭ বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে ম্যাটিং উইকেটে সর্বাপেক্ষা বিপজ্জ্বনক বামহাতি স্লো বোলারের স্বীকৃতি পেয়ে আসছেন। নাটালের পক্ষে ১৬.৫০ গড়ে ১৫৫ উইকেট পান। এ সংগ্রহের তুলনায় কেবলমাত্র চারজন বোলার - ই. পি. নুপেন, জে ওয়াডিংটন, জে. এইচ. সিনক্লেয়ার ও জে. পি. ম্যাকনালি এগিয়েছিলেন। ১৯২১ সালে স্বর্ণালী সময় অতিবাহিত করেন তিনি। জেএল কক্সের সাথে বোলিং অপরিবর্তিত অবস্থায় ১১-৫-১১-৬ বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান। ফলশ্রুতিতে বর্ডার দল মাত্র ২৩ রানে গুটিয়ে যেতে বাধ্য হয়। এ সংগ্রহটি অদ্যাবধি কারি কাপের সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহরূপে বিবেচিত হয়ে আসছে।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দশটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন ক্লদ কার্টার। ১০ জুন, ১৯১২ তারিখে লর্ডসে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১৬ আগস্ট, ১৯২৪ তারিখে ওভালে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
১৯১২ ও ১৯২৪ সালে দুইবার দক্ষিণ আফ্রিকার সদস্যরূপে ইংল্যান্ড গমন করেছিলেন।[৪] ১৯১২ সালের ত্রি-দেশীয় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। এইচ. ডব্লিউ. টেলরের নেতৃত্বাধীন দক্ষিণ আফ্রিকা দলের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড গমন করেন। এ সফরে ১৯.৮৬ গড়ে ৬৫ উইকেট নিয়ে দলে শীর্ষস্থান দখল করেন। এ সফর শেষে ইংল্যান্ডে ফিরে যান ও কর্নওয়ালের পক্ষে পেশাদারী পর্যায়ে খেলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার কিছুদিন পূর্বে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রত্যাবর্তন করেন।
তৎকালে দক্ষিণ আফ্রিকা দল বেশ দূর্বলমানের ছিল। অংশগ্রহণকৃত দশ টেস্টের কোনটিতেই জয়ের সন্ধান পায়নি তার দল। সাতটি ইংল্যান্ড ও বাদ-বাকি তিনটি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলেন। তবে, ম্যাটিং উইকেটে ব্যক্তিগতভাবে সফলতার স্বাক্ষর রেখেছিলেন। দুইবার ইনিংসে ছয়-উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। ১৯১৩-১৪ মৌসুমে ডারবানে সফরকারী ইংল্যান্ড এবং আট বছর বাদে জোহেন্সবার্গে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এ সাফল্য পান। ১৯২১-২২ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া দল দক্ষিণ আফ্রিকায় পদার্পণ করে। ২১.৯৩ গড়ে ১৫ উইকেট নিয়ে স্বাগতিক দলের শীর্ষস্থানীয় বোলারে পরিণত হয়েছিলেন তিনি।[৫] টেস্ট খেলাগুলোয় ২৪.৭৮ গড়ে ২৮ উইকেট পান।
১৯২৫ ও ১৯২৬ সালে দুই বছরে লোয়ার হাউজের পক্ষে ল্যাঙ্কাশায়ার লীগে ক্রিকেট খেলেছেন। ১৯৩০ ও ১৯৩৫ সালে মাইনর কাউন্টিজ চ্যাম্পিয়নশীপ প্রতিযোগিতায় কর্নওয়ালের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
৮ নভেম্বর, ১৯৫২ তারিখে ৭১ বছর বয়সে নাটালের ডারবান এলাকায় ক্লদ কার্টারের দেহাবসান ঘটে।