ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ক্লাইভ ভন রাইনেভেল্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | কেপ টাউন, দক্ষিণ আফ্রিকা ইউনিয়ন | ১৯ মার্চ ১৯২৮|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ২৯ জানুয়ারি ২০১৮ কেপ টাউন, দক্ষিণ আফ্রিকা | (বয়স ৮৯)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | লেগ ব্রেক গুগলি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | অল-রাউন্ডার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | জিমি ব্লাঙ্কেনবার্গ (কাকা); অ্যান্থনি ভন রাইনেভেল্ড (ভ্রাতা); ফিলিপ ভন রাইনেভেল্ড (পুত্র) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১৮০) | ৭ জুন ১৯৫১ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৮ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ |
ক্লাইভ বারেঞ্জ ভন রাইনেভেল্ড (ইংরেজি: Clive van Ryneveld; জন্ম: ১৯ মার্চ, ১৯২৮ - মৃত্যু: ২৯ জানুয়ারি, ২০১৮) কেপ টাউনে জন্মগ্রহণকারী দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৫১ থেকে ১৯৫৮ সময়কালে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে উনিশ টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ হয় তার।[১]
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি লেগ ব্রেক গুগলি বোলিং পারদর্শীতা দেখিয়েছেন। এছাড়াও, দক্ষিণ আফ্রিকা দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন ক্লাইভ ভন রাইনেভেল্ড।
ক্লাইভ ভন রাইনেভেল্ড ক্রিকেটের পাশাপাশি রাগবি ইউনিয়নের খেলায়ও অংশগ্রহণ করেছিলেন। ১৯৪৭, ১৯৪৮ ও ১৯৪৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলায় অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় আরএফসি’র প্রতিনিধিত্ব করেন। ইংল্যান্ড জাতীয় রাগবি ইউনিয়ন দলের সদস্যরূপে চারবার সেন্টারে খেলার সুযোগ পান। চারটি খেলার সবকটিই ১৯৪৯ সালে অনুষ্ঠিত পঞ্চ-দেশীয় চ্যাম্পিয়নশীপে খেলেছিলেন। ইংল্যান্ডের পক্ষে তিনটি গোল করেন। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একটি ও স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে তিনটি করেন। তবে, দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে কখনো রাগবি ইউনিয়নে অংশ নেননি।
স্পোর্টস২৪ তাঁর সম্পর্কে স্মরণীকা প্রকাশ করে। এতে তাঁকে দক্ষিণ আফ্রিকার অন্যতম সেরা সর্বক্রীড়ায় পারদর্শী ক্রীড়াব্যক্তিত্বরূপে তুলে ধরা হয়। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ক্রিকেটে প্রতিনিধিত্ব করার পাশাপাশি দলের অধিনায়কত্ব করেন। রোডস স্কলার হিসেবে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে ইংল্যান্ডের পক্ষে রাগবিতে অংশ নেন। এগুলোর পাশাপাশি সমভাবে দক্ষিণ আফ্রিকায় সমাজ গঠনের প্রচেষ্টার সাথেও জড়িত ছিলেন।[২]
ক্লাইভ ভন রাইনেভেল্ড সংক্ষিপ্তকালের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৫৭ সালে ইউনাইটেড পার্টির সদস্যরূপে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচিত হন। এ দলটি সরকার নিয়ন্ত্রিত ন্যাশনাল পার্টির বর্ণবাদ নীতির বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষীয় ছিল।
দুই বছর পর ১৯৫৯ সালে ক্লাইভ ভন রাইনেভেল্ড ও অন্য এগারো সংসদ সদস্য ইউনাইটেড পার্টি থেকে বেরিয়ে আসেন। তাঁরা প্রগেসিভ পার্টি গঠন করেন। দলটি বর্ণবাদের বিপক্ষে আরও রুখে দাঁড়ায়। দলটি ঐ সময়ে বেশ সাড়া জাগায়। ১৯৬১ সালের সাধারণ নির্বাচনে হেলেন সাজম্যান বাদে অন্য সকলেই প্রগেসিভ দলের সংসদ সদস্য পদে জয়লাভ করেছিলেন।
এরপর ক্লাইভ ভন রাইনেভেল্ড আইন পেশায় জড়িয়ে পড়েন। জীবনের শেষের দিনগুলোয় সস্ত্রীক ভেরিটিসহ কেপ টাউনে বসবাস করতে থাকেন। তাঁদের তিন সন্তান - মার্ক, ফিলিপ ও টিসা দক্ষিণ আফ্রিকায় অবস্থান করছেন। তাঁর কাকা জিমি ব্লাঙ্কেনবার্গ দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে এবং অপর ভ্রাতা অ্যান্থনি ভন রাইনেভেল্ড ও পুত্র ফিলিপ ভন রাইনেভেল্ড প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
২০১১ সালে ‘টুয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি অল-রাউন্ডার: রেমিনিসেন্সেস অ্যান্ড রিফ্লেকশন্স অব ক্লাইভ ভন রাইনেভেল্ড’ শীর্ষক গ্রন্থ প্রকাশ করেন।[৩]
৮৯ বছর বয়সে ২৯ জানুয়ারি, ২০১৮ তারিখে কেপ টাউনে নিজ বাসগৃহে তার দেহাবসান ঘটে। মৃত্যুকালে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার বয়োজ্যেষ্ঠ অধিনায়ক হিসেবে সম্মাননা পেয়ে আসছিলেন।