ক্লাউস মারিয়া ব্রানডাউয়া | |
---|---|
Klaus Maria Brandauer | |
![]() ২০১২ সালে ভিয়েনালে ব্রানডাউয়া | |
জন্ম | ক্লাউস গেয়র্গ স্টেং ২২ জুন ১৯৪৩ বাড অসি, স্টাইরিয়া, অস্ট্রিয়া |
জাতীয়তা | অস্ট্রীয় |
পেশা | অভিনেতা, পরিচালক |
কর্মজীবন | ১৯৬২-বর্তমান |
দাম্পত্য সঙ্গী | কারিন ব্রানডাউয়া (বি. ১৯৬৩; মৃ. ১৯৯২) নাটালি ক্রেন (বি. ২০০৭) |
সন্তান | ১ |
ক্লাউস মারিয়া ব্রানডাউয়া (; জন্ম: ২২শে জুন ১৯৪৩) হলেন একজন অস্ট্রীয় অভিনেতা ও পরিচালক। এছাড়া তিনি মাক্স রাইনহার্ট সেমিনারের অধ্যাপক। ব্রানডাউয়া মেফিস্টো (১৯৮১), নেভার সে নেভার অ্যাগেইন (১৯৮৩), আউট অব আফ্রিকা (১৯৮৫), হানুসেন (১৯৮৮), বার্নিং সিক্রেট (১৯৮৮), ইন্ট্রোডিউসিং ডরোথি ড্যান্ড্রিজ (১৯৯৯), ও দ্য স্ট্রেঞ্জ কেস অব ভিলহেল্ম রাইখ (২০১৩) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিতি অর্জন করেন। আউট অব আফ্রিকা চলচ্চিত্রে ব্রর ফন ব্লিক্সেন-ফিনেকে চরিত্রে অভিনয় করে তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন এবং সেরা পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার অর্জন করেন।
ব্রানডাউয়া ১৯৪৩ সালের ২২শে জুন অস্ট্রিয়ার বাড অসি শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার প্রকৃত নাম ক্লাউস গেয়র্গ স্টেং। তার পিতা গেয়র্গ স্টেং ছিলেন একজন বেসামরিক কর্মকর্তা এবং তার মাতা মারিয়া ব্রানডাউয়া ছিলেন একজন চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন পরিচালক।[১] তার পিতা জার্মান এবং মাতা অস্ট্রীয়।[২] ব্রানডাউয়া তার মায়ের নামের প্রথমাংশ তার পেশাদার নামের শেষাংশ হিসেবে গ্রহণ করেন। তিনি অস্ট্রিয়া, সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স ও জার্মানিতে বেড়ে ওঠেন। তিনি স্টুটগার্ডের ইউনিভার্সিটি অব মিউজিক অ্যান্ড পারফর্মিং আর্টস বিষয়ে পড়াশুনা করেন।[২]
ব্রানডাউয়া ১৯৬২ সালে মঞ্চনাটকে অভিনয় দিয়ে তার কর্মজীবন শুরু করেন। কয়েকটি মঞ্চনাটক ও টেলিভিশন নাটকের অভিনয়ের পর তিনি ইঙ্গো প্রেমিঞ্জারের ইংরেজি ভাষার সালৎজবুর্গ কানেকশন (১৯৭২) দিয়ে চলচ্চিত্রে আবির্ভূত হন। ১৯৭৫ সালে তিনি ডেরিক টেলিভিশন ধারাবাহিকের দ্বিতীয় মৌসুমের ফান্ডহাউস নামক পর্বে অভিনয় করেন। ইস্টভান ৎজাবোর পুরস্কার বিজয়ী মেফিস্টো (১৯৮১) চলচ্চিত্র দিয়ে তার আন্তর্জাতিক কর্মজীবন শুরু হয়। পরবর্তীতে তিনি জেমস বন্ড ধারাবাহিকের থান্ডারবল (১৯৬৫) চলচ্চিত্রের পুনর্নির্মাণ নেভার সে নেভার অ্যাগেইন (১৯৮৩)-এ ম্যাক্সিমিলিয়ান লার্গো চরিত্রে অভিনয় করেন। চলচ্চিত্র সমালোচক রজার ইবার্ট তার অভিনয় সম্পর্কে বলেন, "এই চলচ্চিত্রে একটি বিষয় হল এতে মানবীয় উপাদানের চেয়ে বেশি কিছু ছিল এবং তা লার্গো চরিত্রে অভিনয় করা ক্লাউস মারিয়া ব্রানডাউয়ার থেকে এসেছে। ব্রানডাউয়া অসাধারণ অভিনেতা এবং তিনি খলনায়কের নির্দিষ্ট ছাঁচে অভিনয় করেননি। তার পরিবর্তে তিনি তীব্রতা ও মুগ্ধতা নিয়ে এসেছেন।"[৩]
তিনি ১৯৮৫ সালে আউট অব আফ্রিকা চলচ্চিত্রে মেরিল স্ট্রিপ ও রবার্ট রেডফোর্ডের সাথে অভিনয় করেন। এই চলচ্চিত্রে ব্রর ফন ব্লিক্সেন-ফিনেকে চরিত্রে অভিনয় করে তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন এবং সেরা পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া তিনি হানুসেন (১৯৮৮), বার্নিং সিক্রেট (১৯৮৮), ইন্ট্রোডিউসিং ডরোথি ড্যান্ড্রিজ (১৯৯৯), ও দ্য স্ট্রেঞ্জ কেস অব ভিলহেল্ম রাইখ (২০১৩) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিতি অর্জন করেন।