ক্লাব ক্রিকেট

ক্লাব ক্রিকেট মূলত অপেশাদার হলেও আনুষ্ঠানিক ক্রিকেট খেলার একটি রূপ বলে পরিচিত। খেলার এই প্রতিযোগিতাগুলি সাধারণত সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বা সন্ধ্যায় দলীয়ভাবে চালিত হয়। ক্রিকেটের আইন অনুসৃত হলেও এই খেলার ফর্ম্যাটে অনেক কিছু ভিন্নতা রয়েছে লক্ষ্য করা যায়। যেসব রাষ্ট্রে ক্লাব ক্রিকেট খেলা চলে সেগুলির মধ্যে প্রধান হল পাকিস্তান, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ড, বাংলাদেশ, নেপাল, জিম্বাবুয়ে, কেনিয়া, আয়ারল্যান্ড, ওয়েলস, স্কটল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, হংকং এবং ভারত এর কয়েকটি বড় শহর। ক্যারিবিয়ান, ইউরোপ, এশিয়া, আফ্রিকা এবং অস্ট্রালেসিয়ার মতো মূলধারার ক্রিকেট খেলিয়ে অঞ্চল থেকে অভিবাসীদের বিশাল সম্প্রদায় বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায় বসবাস করেন ব'লে এখন ঐ দুই দেশেই ক্লাব ক্রিকেট খেলা হয়।

ফর্ম্যাট

[সম্পাদনা]
ইংল্যান্ডের একটি সাধারণ ক্লাব ক্রিকেট ম্যাচ।
কিছু ক্লাব গেমে তিন দিনের খেলা হয়।
ইউটিউবে প্যাটম্যানস্পোর্ট

ক্লাব ক্রিকেট সাধারণত লীগ বা কাপ ফরম্যাটে খেলা হয়। খেলার সময়ের সীমাবদ্ধ থাকে সময় মেনে অথবা নির্দিষ্ট ওভার-সংখ্যার দ্বারা। বর্তমানে অল্প সাধারণ ঐতিহ্যবাহী ফর্ম্যাটে খেলা কেবল সময় দ্বারা সীমাবদ্ধ করা থাকে। খেলা সন্ধ্যার কয়েক ঘণ্টা থেকে তিন দিন পর্যন্ত দীর্ঘ হতে পারে।

ক্লাব ক্রিকেটে শনিবারের লিগ ক্রিকেট সবচেয়ে গুরুতর ফর্ম্যাট। খেলায় সাধারণত প্রতিটি দলের জন্য ৪০ থেকে ৬০ ওভারের মধ্যে সীমাবদ্ধ প্রতিযোগিতা থাকে। রান, উইকেট এবং ম্যাচটি "উইনিং ড্র" নাকি কোনও দলের সরাসরি জয় হয়েছে কিনা - তার উপর ভিত্তি করে বোনাস পয়েন্ট দেওয়া হয়। ক্রিকেটের এই ফর্ম্যাটটিতে অন্তর্ভুক্ত দলের খেলোয়াদের মধ্যে স্ট্যান্ডার্ড পৃথক পৃথক হয়। তাঁরা নিম্ন বিভাগে মাঝে-মধ্যের খেলোয়াড় থেকে সর্বোচ্চ লিগের পেশাদার এবং প্রাক্তন পেশাদার খেলোয়াড় হয়ে থাকেন।

বন্ধুত্বপূর্ণ ক্রিকেট প্রায়ই রবিবারে হয়। এই খেলাগুলি ঘোষণাপত্রের ক্রিকেট-অনুসারী আরও ঐতিহ্যবাহী ফর্ম্যাট অনুসরণ করে থাকে যেখানে পুরো ম্যাচের জন্য সময়সীমা বা ওভারের সংখ্যা - সাধারণত ৮০ থেকে ১২০ পর্যন্ত নির্ধারিত থাকে। তারপরে প্রথমে ব্যাটিং নেওয়া দলটি তাঁদের ইনিংসের ঘোষণা যথেষ্ট আগেভাগে করেন যাতে তাঁরা জয় ছিনিয়ে নিতে বিরোধী দলকে বল করে আউট করার পর্যাপ্ত সময় পান। এই ফর্ম্যাটের ক্রিকেটে বিস্তৃত বিভিন্নতা সাধারণত দেখা যায়। দ্বিতীয় ভাগের ব্যাটিং দল আক্রমণাত্মকভাবে মোট রান তাড়া করেন অথবা রক্ষণশীলভাবে ব্যাট করার চেষ্টা করেন এবং খেলাটি ড্র করে বাঁচান।

সান্ধ্য ক্রিকেট হ'ল ক্লাবের ক্রিকেটের সর্বনিম্ন আনুষ্ঠানিক ফর্ম্যাট এবং সেই পথে এই খেলায় অনেক নতুন নতুন খেলোয়াড়ের প্রবেশ ঘটে। এই প্রকার খেলার ২০-২০ সংস্করণ অনুসরণ করার প্রবণতা দেখা যায়। অতিরিক্ত সময় সাশ্রয়মূলক ব্যবস্থাসমূহের মধ্যে যেমন ৮-বলের ১৫ ওভার ব্যবহার করা এবং নো-বলে পুনরায় বল না করার ব্যবস্থা বিবেচনা (তখন স্ট্যান্ডার্ড ১ এর পরিবর্তে প্রতিটির জন্য ২ রান হিসাবে গণনা করা হয়) করা হয়। এই প্রকার সংস্করণটি অন্তর্ভুক্তির উপরও জোর দেয়। যেমন প্রতিটি বোলারকে ২ ওভারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখার মতো নিয়ম এবং ব্যাটসম্যান ২৫ রানে পৌঁছে যাওয়ার পরে অবসর নিয়ে সহ খেলোয়াড়দের খেলায় অংশ নিতে নিশ্চিত করা হয়।

সবশেষে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডে দু'দিনের ম্যাচ মাঝেমধ্যে শনিবার এবং রবিবার উভয় দিন অনুষ্ঠিত হয়। বিকল্পভাবে এক শনিবারে খেলার পরে পরবর্তী শনিবারে খেলা হয় (যদিও এক সপ্তাহ থেকে পরর্বতী সপ্তাহে পিচ এবং মাঠের অবস্থা পরিবর্তিত হয়ে কখনও কখনও খেলায় দুর্ভাগ্যজনক প্রভাব ফেলতে পারে)। এই ম্যাচগুলিতে সাধারণত প্রতি দলের জন্য দুটি ইনিংস বরাদ্দ থাকে।

স্ট্যান্ডার্ড

[সম্পাদনা]

বেশিরভাগ খেলোয়াড় অপেশাদার হলেও প্রায়ই ক্রিকেট ক্লাবগুলি পেশাদারদের প্রশিক্ষক ও খেলোয়াড় হিসাবে নিয়োগ করে। তাঁদের মধ্যে অনেকেই থাকেন প্রথম-শ্রেণীর বা টেস্ট ক্রিকেট খেলোয়াড়। এছাড়াও চোট সারিয়ে ফিরে আসার জন্য প্রথম শ্রেণির খেলোয়াড়রা মাঝে মাঝে ক্লাব স্তরে ম্যাচ অনুশীলনে উপস্থিত থাকেন। উদাহরণস্বরূপ, শোয়েব আখতার ২০০৬ সালে পাকিস্তানের ইংল্যান্ড সফরে বার্কসওয়েল সি.সি. তে ছিলেন। এই ক্লাব বার্মিংহাম লীগ এ সুপরিচিত। একইভাবে ২০১৮-১৯ মরসুমে অস্ট্রেলিয়ান জাতীয় ক্রিকেট দল থেকে সাসপেনশন চলাকালে স্টিভ স্মিথ এবং ডেভিড ওয়ার্নার সিডনি গ্রেড ক্রিকেট এ খেলতেন।[]


আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Zielinski, Caroline (নভেম্বর ১০, ২০১৮)। "Steve Smith, David Warner face off in Sydney grade cricket match"ABC News। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ২৭, ২০১৯ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]