ক্ষিতীশরঞ্জন চক্রবর্তী

ক্ষিতীশরঞ্জন চক্রবর্তী
ক্ষিতীশরঞ্জন চক্রবর্তী
জন্ম(১৯১৬-০২-০১)১ ফেব্রুয়ারি ১৯১৬
মৃত্যু২৯ সেপ্টেম্বর ১৯৯৯(1999-09-29) (বয়স ৮৩)
পরিচিতির কারণ
  • ভারতে সার কারখানার উন্নয়ন
পুরস্কার
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন
কর্মক্ষেত্র
প্রতিষ্ঠানসমূহ
  • ফার্টিলাইজার কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া

ক্ষিতীশরঞ্জন চক্রবর্তী (১ ফেব্রুয়ারি ১৯১৬ - ২৯ সেপ্টেম্বর ১৯৯৪ []) ছিলেন একজন ভারতীয় প্রকৌশলী এবং সার বিজ্ঞানী

ক্ষিতীশরঞ্জন চক্রবর্তী ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দের ১ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তিনি রসায়ন বিজ্ঞানে এম.এসসি পাশ করে যুক্তরাজ্যে যান। লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজ অফ সায়েন্স থেকে পিএইচ ডি ডিগ্রি লাভ করেন। []

কর্মজীবন

[সম্পাদনা]

১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে তিনি বিহারের অধুনা ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ জেলার সিন্দ্রিতে অবস্থিত সরকারী ক্ষেত্রের ফার্টিলাইজার কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ায় যোগ দেন। রাসায়নিক সার উৎপাদনে অনেক কম খরচে দেশীয় পদ্ধতিতে তার উদ্যোগে উদ্ভাবিত অনুঘটক বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। অ্যাসিড স্লাজের আয়ন এক্সচেঞ্জ-এর তথা আয়ন বিনিময়ে উৎপন্ন উপাদানটির পেটেন্ট নেন। [] তিনি দুটি বিজ্ঞানের গ্রন্থ রচনা করেন।

  • সায়েন্স বেসড অন সিমেট্রি - (১ম খণ্ড) [] এবং
  • এনার্জি ফিল্ড অফ দ্য ইউনিভার্স অ্যান্ড অ্যাটম - (১ম খণ্ড)[]

তিনি ফার্টিলাইজার কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (FCI)-এর পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের প্রধান ছিলেন।[][] তিনি ফার্টিলাইজার কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের প্রতিষ্ঠা এবং ভারতে দেশীয় সার কারখানার উন্নয়নের জন্য তিনি বিশেষ কৃতিত্ব লাভ করেন।[]

পরবর্তীতে তিনি ভারত সরকারের কারিগরি পরামর্শ পরিষেবা তথা টেকনিক্যাল কনসালটেন্সি সার্ভিস সংক্রান্ত কমিটির সদস্য হন। [] ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে "ম্যানেজমেন্ট অফ অর্গানাইজেশন অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ' তথা শিল্প গবেষণা সংস্থার ব্যবস্থাপনার জন্য অনুষ্ঠিত 'ইন্দো-ইউএস ওয়ার্কশপ'-এ ভারতের প্রতিনিধি-সদস্য ছিলেন। []

সম্মাননা

[সম্পাদনা]

১৯৫৪ সালে ভারত সরকারের চতুর্থ সর্বোচ্চ ভারতীয় অসামরিক পুরস্কার পদ্মশ্রী দিয়ে তাকে সম্মান জানানো হয়।[১০] ঐ বছরই পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রথম চালু হয়। এই পুরস্কারের প্রথম প্রাপকদের মধ্যে তিনিও ছিলেন একজন।[১১]

১৯৬৮ সালে প্রকৌশল বিজ্ঞানে অবদানের জন্য তিনি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে শান্তি স্বরূপ ভটনাগর পুরস্কার পান। এই পুরস্কারটি ভারত সরকারের শীর্ষ সংস্থা বৈজ্ঞানিক ও শিল্প গবেষণা কাউন্সিল দ্বারা প্রদত্ত ভারতীয় বিজ্ঞানের সর্বোচ্চ পুরস্কারগুলির মধ্যে একটি।[১২]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, দ্বিতীয় খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, জানুয়ারি ২০১৯ পৃষ্ঠা ১০১,১০২ আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-২৯২-৬
  2. Ranjan Chakravorty Kshitish (মে ৭, ১৯৬৩)। "Process for preparation of an ionexchange material from the acid sludge resulting from sulphuric acid washing of crude light oils"Patent No. US3088924 A। United States Patent। 
  3. K. R. Chakravorty (১৯৭৭)। Science Based on Symmetry। Firma KLM। 
  4. K. R. Chakravorty (১৯৬৪)। Energy Field of the Universe and Atom। s.n. Roye, technical publications officer, P & D Division, Fertilizer Corporation of India। 
  5. Ward Morehouse (১৯৭১)। Science in India: Institution-building and the Organizational System for Research & Development। Popular Prakashan। পৃষ্ঠা 122–। আইএসবিএন 978-81-7154-501-8 
  6. Ignacy Sachs (২২ অক্টোবর ২০১৩)। Studies in Political Economy of Development। Elsevier। পৃষ্ঠা 213–। আইএসবিএন 978-1-4831-5816-7 
  7. "Brief Profile of the Awardee"। Shanti Swarup Bhatnagar Prize। ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ৩০, ২০২৩ 
  8. Virendra Kumar (১ ডিসেম্বর ১৯৮৮)। Committees and Commissions in India, 1947-73। Concept Publishing Company। পৃষ্ঠা 3–। আইএসবিএন 978-81-7022-209-5 
  9. Harrison Brown; Theresa Tellez (১৯৭৩)। National Academy of Sciences: International Development Programs of the Office of the Foreign Secretary : Summary and Analysis of Activities, 1961-1971। National Academies। পৃষ্ঠা 4–। NAP:14684। 
  10. "Padma Shri" (পিডিএফ)। Government of India। ২০১৬। ২০১৫-১০-১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। 
  11. "Notifications" (পিডিএফ)। Government of India। ২০১৬। 
  12. "View Bhatnagar Awardees"। Shanti Swarup Bhatnagar Prize। ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ১২, ২০১৬