খাদিজা মান্তর خدیجہ مستور | |
---|---|
জন্ম | বেড়ালী, ব্রিটিশ ভারত | ১১ ডিসেম্বর ১৯২৭
মৃত্যু | ২৫ জুলাই ১৯৮২ লন্ডন | (বয়স ৫৪)
জাতীয়তা | পাকিস্তানি |
পেশা | লেখক এবং ঔপন্যাসিক |
দাম্পত্য সঙ্গী | মালিক জহির-উদ-দ্বীন বাবর আওয়ান |
সন্তান | কিরণ ফয়াজ মালিক পারভেজ আলম আওয়ান |
খাদিজা মাস্তর (উর্দু: خدیجہ مستور; ১১ ডিসেম্বর ১৯২৭– ২৫ জুলাই ১৯৮২) ছিলেন একজন ছোট গল্প লেখক এবং উর্দু সাহিত্যে অত্যন্ত গণ্য করা হয় এমন উপন্যাসী।[১] তার আঙ্গান উপন্যাস উর্দু সাহিত্যে একটি সাহিত্যিক শ্রেষ্ঠ রচনা হিসাবে বিবেচিত হয়। এই উপন্যাস একটি টেলিভিশন নাটকেও তৈরি করা হয়েছে।[২][৩] তার ছোট বোন হাজরা মাশরুর ছিলেন একজন ছোট গল্প লেখক। সেই সাথে তার ছোট বোন একজন বিখ্যাত কবি এবং নাট্যকার এবং তার একটি ছোট ভাই আছেন যার নাম খালিদ আহমদ। খাদিজা সংবাদপত্রের বিভাগীয় লেখক।[৪][৫][৬][৭]
খাদিজার মাস্তর ডিসেম্বর ১৯২৭ সালের ১১ ডিসেম্বরে ভারতের বেরেলীতে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন সৈয়দ তাহুর আহমদ খান। তিনি ছিলেন ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে মেডিকেল চিকিৎসক। হৃদ রোগে আক্রান্ত হবার পরে তিনি মারা যান। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানের স্বাধীনতার পরে তিনি তার পরিবারের সাথে লহরে গিয়ে বসবাস স্থাপন করেন।[১]
তিনি ১৯৪২ সালে থেকে ছোট গল্প লিখতে শুরু করেন এবং তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি ছোট গল্প লেখা অবিরত রাখেন। তার লেখা ছোট গল্পের পাঁচটি বই এবং দুটি উপন্যাস এখন পর্যন্ত প্রকাশিত হয়েছে।[৫] তার গল্প সামাজিক এবং নৈতিক মূল্যের পাশাপাশি রাজনৈতিক উপর ভিত্তি করে লিখা হয়েছে। তার লেখা গল্পগুচ্ছ তার অভিজ্ঞতা এবং পর্যবেক্ষণ উপর ভিত্তি করে লেখা হয়েছে।[৬]
বাহাউদ্দিন জাকারিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে মুলতান সম্পর্কে গবেষণায় কাজ করেছেন। এগুলো ছিল খাদিজা মাস্তুরের জীবন ও সাহিত্যের অবদান।
(সাহিত্যের জন্য আদমজী পুরস্কার বিজয়ী)[৩]
২০১০ সালে পাকিস্তানের একাডেমির চেয়ারম্যান খাদিজা মাস্তুরের উপন্যাসে আঙ্গান প্রকাশ করেন। ফখর জামান বলেন, খাদিজা মাস্তুরের উপন্যাস আঙ্গান তার বড় সাহিত্য অর্জনের এক কর্ম বলে মনে করা হয়[২]।
তিনি একজন সাংবাদিককে বিয়ে করেন। তিনি যাকে বিয়ে করেন তার নাম মালিক জহির-উদ-দেইমান বাবর আওয়ান। তার সাথে বিয়ে করার পর তাদের দুই সন্তানের জন্ম হয়। একজনের নাম কিরণ ফয়জ ও আরেকজন মালিক পারভেজ আলম আওয়ান।[১]
খাদিজা মাস্তুর ২৫ জুলাই ১৯৮২ সালে ইংল্যান্ডের লন্ডনে মারা যান। তিনি ইংল্যান্ডে মারা গেলেও তাকে পাকিস্তানের লহোরে কবর দেওয়া হয়।[১]
২০০৫ সালে করাচি আর্টস কাউন্সিলের একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে তার বোন হাজরা মাসর প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। তার বোন (হাজরা) একজন উল্লেখযোগ্য লেখক। এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অন্য উল্লেখযোগ্য পণ্ডিত সাহার আনসারি। আনসারি বলেন, লেখক হিসাবে উভয় বোন তাদের নিজস্ব শৈলী এবং ঐতিহ্য প্রবর্তিত করেছেন। তিনি আরও বলেন, খাদিজা মাস্তুর কেবল চারদিকে লক্ষ্য করে বা তার চারিদেকের বস্তুগুলোর দিকে লক্ষ্য রেখে তার অভিজ্ঞতাগুলো লিখেন।[৬]