খাদিজা মুমতাজ | |
---|---|
জন্ম | ১৯৫৫ কাত্তুর, থ্রিসুর জেলা, কেরালা, ভারত |
পেশা | ডাক্তার, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক |
ভাষা | মালায়ালম |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান | সেন্ট জোসেফ কলেজ, ইরিনকালাক্কুদা কালিকুট মেডিকেল কলেজ |
সময়কাল | ২০০৪–বর্তমান |
উল্লেখযোগ্য রচনাবলি | বর্ষা, আথুরাম, মথরুকাম |
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার | কেরালা সাহিত্য একাডেমী পুরস্কার ২০১০ বর্ষা |
খাদিজা মুমতাজ (জন্মঃ ১৯৫৫) হলেন ভারতের কেরালা রাজ্য থেকে আগত একজন মালায়ালম লেখক। তিনি পেশায় একজন মেডিক্যাল ডাক্তার এবং তার ২য় উপন্যাস "বর্ষা" এর জন্য কেরালা সাহিত্য অঙ্গনে অত্যন্ত সুপরিচিত একজন লেখক হিসেবে মর্যাদা লাভ করেন। যার স্বীকৃতিস্বরুপ তিনি ২০১০ সালের কেরালা সাহিত্য একাডেমী পুরস্কার জিতে নেন।
খাদিজা থ্রুিসুর জেলার কাত্তুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইরিনজালুক্কুদা এর সেন্ট জোসেফ কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন এবং "কালিকুট মেডিকেল কলেজ" থেকে এমবিবিএস ডিগ্রী অর্জন করেন। এরপর তিনি স্ত্রীরোগবিদ্যা বিষয়ে মাস্টার ডিগ্রি অর্জন এবং একজন রেজিস্টার্ড চিকিৎসক হিসেবে স্ত্রীরোগবিদ্যা এবং ধাত্রীবিদ্যার অধ্যাপক হিসেবে "কালিকুট মেডিকেল কলেজ"-এ কাজ করে আসছেন। খাদিজার সেবামূলক কাজের কঠোর পরিশ্রম শেষে কালিকুট মেডিকেল কলেজ থেকে তার বদলীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি ২০১৩ সালের জুনে সরকারি চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণের জন্য আবেদন করেন।[১]
খাদিজা মুমতাজ ডঃ এম কে আব্দুল হামিদ এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এই সুখী দম্পতির ঘরে দুইজন পুত্র সন্তান রয়েছে। একজন হলেন প্রসুন এম. কে. ও অপরজন হলেন নাবিল এম. কে।
মুমতাজ সর্বপ্রথম "সাপ্তাহিক চন্দ্রিকা" নামক একটি পত্রিকায় একটি ধারাবাহিক উপন্যাস হিসেবে "আথমাথিরথাংগালি মুনগিনভারন্নু" নামে প্রকাশের মাধ্যমে তার সাহিত্য কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে ২০০৪ সালে এটি পুর্ণাঙ্গবাবে একটি বই আকারে বের করা হয়েছে। মুমতাজের ২০০৭ সালের উপন্যাস বর্ষা প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে পৌছান এবং জনপ্রিয়তা ও সাফল্যতার সাথে তার খ্যাতিও বেড়ে যায়।[২][৩] এটি ২০১০ সালের কেরালার সবচেয়ে সম্মাজনক পুরস্কার "কেরালা সাহিত্য একাডেমী পুরস্কার" লাভ করে।[৪] মুমতাজের পরবর্তী উপন্যাস "আথুরাম" ১২তম কচি আন্তর্জাতিক বই মেলায় ২০১১ সালের ২৮ জানুয়ারি তারিখে প্রকাশিত হয়।[৫] এই উপন্যাসটিতেও তিনি সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করতে সক্ষম হন।