খাদ্যভীতি

খাবারের প্রতি অনিহা বা অরুচি এবং মানব শরীরের অবস্থা।

খাদ্য ভীতি (ইংরেজি: Cibophobia) ,লাতিন শব্দ“ cibus”, বাংলা অর্থ ‘খাদ্য’ থেকে উদ্ভূত।‌ এই ভীতিতে ভোগা মানুষরা খাদ্যে ভয় করে কারণ তারা এটিকে স্বাস্হ্যসম্মত বা রুচিসম্মত মনে করেনা অথবা পূর্বের কোন খাদ্যে বাজে অভিজ্ঞতার কারণেও তাঁরা সে খাদ্যে ভয় পায়।[]

লক্ষণ

[সম্পাদনা]
  • উচ্চ রক্তচাপ,
  • ঝিমুনি ও খিঁচুনি,
  • হৃৎস্পন্দন কমে যাওয়া,
  • শুকনো ও মলাট মুখ,
  • পেটে মোচড় দেয়া,
  • বমিভাব অথবা বমি করা,
  • বেশি কথা বলা অথবা হঠাৎ থেমে যাওয়া,
  • হালকা পেটব্যাথা করা,
  • মাথা ব্যথা প্রভৃতি।[]

প্রভাবক

[সম্পাদনা]

ভৌগোলিক অবস্থান ভেদে মানুষের খাদ্যাভাস ভিন্ন হয় তাই এক অঞ্চলের রন্ধন প্রণালীর প্রতি অন্য অঞ্চলের মানুষের খাদ্য ভীতি হয়।

আধ সিদ্ধ বা আধপোড়া খাদ্য অনেক মানুষের হজম হয়না বলে পেট খারাপ হয়। তাই রকম খাদ্যের প্রতি তাদের মনে তাদের খাদ্য ভীতি জন্মায়। ক্যান ও প্যাকেট জাতীয় খাদ্যে খাবার সতেজ রাখতে অনেক ফরমালিন , নাইট্রোজেন সহ বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে। যার কারণে এসবে মানুষের মনে খাদ্যভীতি জন্মায়।

দ্রুত পচনশীল খাদ্য যেমন: মেয়নেজ জাতীয় খাবার,দুধ,সবজি ও ফল, মাছ-মাংস এসবে মানুষের খাদ্য ভীতি হয়। তাঁরা মনে করে এগুলো ইতিমধ্যেই ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণু জন্মেছে এবং এটি অনুপযোগী।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]