খাম্বে রাজ্য ખંભાત | |||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
মুঘল ভারত ব্রিটিশ ভারত দেশীয় রাজ্য | |||||||||
১৭৩০–১৯৪৮ | |||||||||
খেড়া এজেন্সির খাম্বে রাজ্য | |||||||||
আয়তন | |||||||||
• ১৯০১ | ৯০৬ বর্গকিলোমিটার (৩৫০ বর্গমাইল) | ||||||||
জনসংখ্যা | |||||||||
• ১৯০১ | ৭৫,১২২ | ||||||||
সরকার | |||||||||
• নীতিবাক্য | "দার বাবি ফারহাত" (এটি আনন্দের প্রবেশদ্বার) | ||||||||
ইতিহাস | |||||||||
• প্রতিষ্ঠিত | ১৭৩০ | ||||||||
১৯৪৮ | |||||||||
| |||||||||
এই নিবন্ধটি একটি প্রকাশন থেকে অন্তর্ভুক্ত পাঠ্য যা বর্তমানে পাবলিক ডোমেইনে: চিসাম, হিউ, সম্পাদক (১৯১১)। "Cambay"। ব্রিটিশ বিশ্বকোষ (১১তম সংস্করণ)। কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস। |
খাম্বে রাজ্য, (যা খাম্বাৎ বা খাম্ভাত নামেও পরিচিত), ছিলো ব্রিটিশ শাসিত ভারতে অবস্থিত একটি ১১ টি তোপ সেলামী সম্মানপ্রাপ্ত দেশীয় রাজ্য, যা বর্তমানে ভারতের অন্তর্গত৷ রাজ্যটির সদর ও প্রশাসনিক দপ্তর ছিল খাম্বাৎ শহরে, যা বর্তমান গুজরাত রাজ্যের আনন্দ জেলায় অবস্থিত। রাজ্যটির উত্তর দিকে ছিলো ব্রিটিশ ভারতের খেড়া জেলা এবং দক্ষিণ দিকে ছিলো খাম্বাৎ উপসাগর৷
বোম্বে প্রেসিডেন্সির গুজরাজ বিভাগের খেড়া এজেন্সির একমাত্র রাজ্য ছিলো এটি, যা পরে ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে বরোদা এবং গুজরাত রাজ্য এজেন্সি ও আরো পরে ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে বরোদা, পশ্চিম ভারত ও গুজরাত রাজ্য এজেন্সির অংশীভূত করা হয়৷[১]
মুঘল সাম্রাজ্যের অন্তিম পূর্ববর্তী নবাবের শাসনাধীন গুজরাতের শেষ মুঘল গভর্নর ছিলেন প্রথম মির্জা জাফর মুমিন খান৷ তিনি মুঘলদের সদস্যপদ ত্যাগ করে ১৭৩০ খ্রিস্টাব্দে এই রাজ্যের পত্তন ঘটান৷ ১৭৪২ খ্রিস্টাব্দে প্রথম মির্জা জাফর মুমিন খান খাম্বের গভর্নর ও তার ভগিনীপতি নিজাম খানকে হত্যা করে তার স্থানে নিজেকে খাম্বের(খাম্বাত) শাসক বলে প্রতিষ্ঠিত করেন৷
১৭৮০ খ্রিস্টাব্দে জেনারেল গোডার্ড রিচার্ডসের তৎপরায় ব্রিটিশ সরকার খাম্বে দখল করে৷ কিন্তু ১৭৮৩ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ সরকার রাজ্যটিকে মারাঠাদের দান করেন৷ ১৮০২ খ্রিস্টাব্দে বেসিনের সন্ধি স্বাক্ষরের মাধ্যমে মারাঠার পেশোয়া ১৮০৩ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশদের হস্তগত হয়৷[২] ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে রাজ্যটি ব্রিটিশ করদ রাজ্যে পরিণত হয়৷ ১৯০১ খ্রিস্টাব্দে রাজ্যে প্রথম রেলপথ বসে৷[৩] ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে ভারতের স্বাধীনতা লাভের পর খাম্বে রাজ্যের শাসক ভারতীয় অধিরাজ্যে যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করে একীভূতকরণের দলিল স্বাক্ষর করলে ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দের ১০ই জুন তারিখে রাজ্যটিকে ভারতের বম্বে রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করা হয়৷[৪]
খাম্বে দেশীয় রাজ্যের শাসকগণ নবাব উপাধিতে ভূষিত হতেন৷[৫]