খালেদ হোসেইনি | |
---|---|
জন্ম | খালেদ হোসেইনি মার্চ ৪, ১৯৬৫ কাবুল, আফগানিস্তান |
পেশা | ঔপন্যাসিক, চিকিৎসক |
নাগরিকত্ব | মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
শিক্ষা | সান্তা ক্লারা ইউনিভার্সিটি (স্নাতক) ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফর্নিয়া, সান দিয়েগো (স্নাতকোত্তর) |
সময়কাল | ২০০৩-বর্তমান |
ধরন | কথাসাহিত্য |
বিষয় | উপন্যাস |
উল্লেখযোগ্য রচনা | দ্য কাইট রানার (2003)
এ থাউজেন্ড স্প্লেন্ডিড সান্স (2007) এন্ড দ্য মাউনটেন্স ইকোড (2013) |
দাম্পত্যসঙ্গী | রয়া হোসেইনি |
ওয়েবসাইট | |
https://khaledhosseini.com/ |
খালেদ হোসেইনি (/ˈhɑːlɛd
হোসেইনির জন্ম বর্তমান আফগানিস্তানের কাবুল শহরে। তাঁর বাবা পেশার সূত্রে বিদেশমন্ত্রকের সাথে যুক্ত ছিলেন। হোসেইনির যখন এগারো বছর বয়স, তখন তিনি পরিবারের সাথে ফ্রান্স চলে যান। চার বছর পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হোসেইনি পরিবার asylum এর আবেদন করে এবং পরবর্তীকালে খালেদ হোসেইনি আমেরিকান নাগরিকত্ত লাভ করেন। এরপরে ২০০১ সালে ছত্রিশ বছর বয়েসে হোসেইনি প্রথমবার আফগানিস্তানে প্রত্যাবর্তন করেন। ফিরে আসার এই অভিজ্ঞতাকে তিনি নিজদেশে পর্যটক হওয়ার সাথে তুলনা করেছেন। নানান সাক্ষাৎকারে তিনি স্বীকার করেছেন যে সোভিয়েত আক্রমণ এবং তার পরবর্তী যুদ্ধের আগেই দেশ থেকে চলে যাওয়ায় অনেক কঠিন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি তাঁকে হতে হয়নি এবং সেজন্য তিনি মাঝেমাঝে survivor's guilt অনুভব করেন।
হোসেইনির সকল উপন্যাস বাণিজ্যিক সাফল্য লাভ করে। দ্য কাইট রানার ১০১ সপ্তাহ The New York Times Best Seller list এ স্থান অর্জন করে; চার সপ্তাহ এই তালিকায় সর্বপ্রথম ছিল এই উপন্যাস। একই তালিকায় ১০৩ সপ্তাহ থাকে A Thousand Splendid Suns (২০০৭) (১৫ সপ্তাহ প্রথম স্থানে) এবং ৩৩ সপ্তাহ থাকে And the Mountains Echoed (২০১৩)।
হোসেইনির জন্ম ১৯৬৫ সালের ৪ঠা মার্চ, আফগানিস্তানের কাবুল শহরে। ৫ ভাইবোনের মধ্যে তিনিই সকলের বড়। মা ও বাবা দুজনেই হেরাত অঞ্চল থেকে। বাবা ছিলেন আফগানিস্তানের বিদেশমন্ত্রকের সাথে যুক্ত এবং মা ছিলেন এক উচ্চবিদ্যালয়ে পার্শিয়ান ভাষার শিক্ষিকা। হোসেইনি মন্তব্য করেছেন যে তিনি পাশতুন এবং তাজিক, দুই ethnicity -র লোক।[৩] তাঁর মায়ের পরিবার পাশতুনদের মোহাম্মাদজাই উপজাতির অন্তর্ভুক্ত বলে অনুমান করা যায়। [৪] হোসেইনি বলেছেন যে তিনি সম্ভ্রমের মধ্যেই বড় হয়েছেন। শৈশবের আট বছর তিনি কাটান কাবুলের মধ্যবিত্ত উজির আকবর খান পাড়ায়। [৫] তাঁর এমন কোনো ঘটনা মনে নেই যেখানে বোন রায়াকে মেয়ে বলে বৈষম্যের শিকার হতে হয়েছে। কাবুল নিজেই একটি "ক্রমবর্ধমান, সমৃদ্ধ, আন্তর্জাতিক শহর" ছিল যেখানে তিনি নিয়মিত বেশ কয়েকজন খুড়তুতো ভাইদের সাথে ঘুড়ি উড়াতেন। [৬]
১৯৭০ সালে, হোসেইনি এবং তাঁর পরিবার ইরানে চলে আসেন যেখানে তাঁর বাবা তেহরানে আফগানিস্তান দূতাবাসের জন্য কাজ করছিলেন। ১৯৭৩ সালে হোসেইনি পরিবার কাবুলে ফিরে আসে এবং সেখানেই জুলাই মাসে জন্মগ্রহণ করে তাঁর ছোট ভাই । ১৯৭৬ সালে, হোসেইনির যখন এগারো বছর বয়স, তখন তিনি পরিবারের সাথে ফ্রান্স চলে যান। [৭] তাঁরা আফগানিস্তানে ফিরে আসতে পারেননি কারণ ১৯৭৮ সালের এপ্রিল মাসে হয় সৌর বিপ্লব, যেখানে পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি অফ আফগানিস্তান (পিডিপিএ) ক্ষমতা দখল করে। ১৯৮০ সালে, সোভিয়েত-আফগান যুদ্ধ শুরুর কিছুদিন পর তাঁরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেন এবং ক্যালিফোর্নিয়ার সান হোসে শহরে বসবাস শুরু করেন। খালেদ হোসেইনির তখন ১৫ বছর বয়স এবং ইংরেজি ভাষায় তিনি পারদর্শী ছিলেননা।
দেশের অরাজকতা থেকে দূরে থাকলেও হোসেইনি পরিবার তাঁদের আত্মীয় এবং পরিচিতদের যেসকল কঠিন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হচ্ছিলো, সেই সম্পর্কে অবগত ছিলেন। খালেদ ব্যাখ্যা করেন:
কাবুলে আমাদের অনেক আত্মীয় এবং বন্ধুবান্ধব ছিলেন। ৭৬ এর কমিউনিস্ট বিপ্লব ৭৩ এর ঘটনার থেকেও অনেক রক্তক্ষয়ী ছিল। বহু মানুষকে খুন করা হয়, বহু মানুষ কে বন্দি করা হয়। আগের শাসনব্যবস্থা বা রাজপরিবারের সঙ্গে কোনো ভাবে যুক্ত থাকা প্রায় সকলকেই খুন, বন্দি বা নিখোঁজ করে দেয়া হয়। আমরা প্রায় খবর পেতাম যে আমাদের পরিচিত বন্ধুবান্ধব বা আত্মীয় পরিজনের কেউ খুন হয়েছেন বা নিখোঁজ হয়ে গেছেন, এবং তাঁদের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। আমার স্ত্রীর এক আত্মীয় কাবুলের এক বিখ্যাত সংগীতশিল্পী এবং সুরকার ছিলেন। কমিউনিস্ট শক্তির প্রতি তাঁর বিরোধিতা সম্বন্ধে তিনি লোকালুকি করেননি, এবং তাই একদিন তিনি নিখোঁজ হয়ে যান। আমরা আজ অবধি তাঁর কোনো খবর পাইনি।
কাবুলে আমাদের অনেক আত্মীয় এবং বন্ধুবান্ধব ছিলেন। ৭৬ এর কমিউনিস্ট বিপ্লব ৭৩ এর ঘটনার থেকেও অনেক রক্তক্ষয়ী ছিল। বহু মানুষকে খুন করা হয়, বহু মানুষ কে বন্দি করা হয়। আগের শাসনব্যবস্থা বা রাজপরিবারের সঙ্গে কোনো ভাবে যুক্ত থাকা প্রায় সকলকেই খুন, বন্দি বা নিখোঁজ করে দেয়া হয়। আমরা প্রায় খবর পেতাম যে আমাদের পরিচিত বন্ধুবান্ধব বা আত্মীয় পরিজনের কেউ খুন হয়েছেন বা নিখোঁজ হয়ে গেছেন, এবং তাঁদের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। আমার স্ত্রীর এক আত্মীয় কাবুলের এক বিখ্যাত সংগীতশিল্পী এবং সুরকার ছিলেন। কমিউনিস্ট শক্তির প্রতি তাঁর বিরোধিতা সম্বন্ধে তিনি লোকালুকি করেননি, এবং তাই একদিন তিনি নিখোঁজ হয়ে যান। আমরা আজ অবধি তাঁর কোনো খবর পাইনি।
হোসেইনি ১৯৮৪ সালে সান হোসেইনডিপেন্ডেন্স হাই স্কুল থেকে পাশ করে সান্তা ক্লারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন, যেখানে তিনি ১৯৮৮ সালে জীববিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। পরের বছর তিনি ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় সান দিয়েগো স্কুল অফ মেডিসিনে প্রবেশ করেন এবং সেখান থেকে ১৯৯৩ সালে এমডি ডিগ্রিঅর্জন করেন। লস এঞ্জেলেসএর সেডারস-সিনাই মেডিকেল সেন্টার থেকে ১৯৯৭ সালে তিনি ইন্টারনাল মেডিসিন -এ রেসিডেন্সি সম্পন্ন করেন। দশ বছর তিনি চিকিৎসা করেন, এবং কাইট রানার প্রকাশিত হওয়ার দেড় বছর পর তিনি এই পেশা থেকে বিরতি গ্রহণ করেন।
২০০৩ সালে প্রকাশিত হয় হোসেইনির প্রথম উপন্যাস The Kite Runner। এই গল্পের প্রধান চরিত্র আমির তার বাবার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন করতে চেষ্টা করে এবং শৈশবের এক বাজে অভিজ্ঞতা তাকে ভীষণভাবে প্রভাবিত করে। উপন্যাসের প্রেক্ষাপটে আছে রাজতন্ত্রের পতন থেকে তালিবানদের পতন সময়ের আফগানিস্তান এবং সান ফ্রান্সিস্কোর বে এরিয়া, বিশেষ ভাবে ক্যালিফোর্নিয়ার ফ্রেমন্ট অঞ্চল। উপন্যাসে তুলে ধরা হয়েছে আফগানিস্তানের হাজারা ও পাশতুন সম্প্রদায়ের দ্বন্ধ এবং আমেরিকায় আমির ও তার বাবার প্রবাসী অভিজ্ঞতা। নীলসেন বুকস্ক্যানের মতে উপন্যাসটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ২০০৫ সালের সেরা বিক্রেতা ছিল। [৮] পরবর্তীকালে The Kite রানার অডিও বুক হিসেবে প্রকাশিত হয় এবং কথকের ভূমিকায় থাকেন হোসেইনি নিজে। ২০০৭ সালে একই নামে একটি চলচ্চিত্র মুক্তি পায়। ছবির শেষ দৃশ্যে আমির যখন একটি ঘুড়ি কেনে সোহরাব-এর সাথে ওড়ানোর জন্য, তখন লেখককে একটি ছোট্ট ভূমিকায় দেখা যায়।
হোসেইনির দ্বিতীয় উপন্যাস A Thousand Splendid Suns প্রকাশিত হয় ২০০৭ সালে। এই বইয়ের প্রেক্ষাপটেও আছে আফগানিস্তান। লেখকের প্রথম বইয়ের সাথে বিষয়ের মিল থাকলেও, এই গল্পের প্রধান দৃষ্টিভঙ্গি নারীকেন্দ্রিক। গল্পের কেন্দ্রে দুই চরিত্র মারিয়াম ও লায়লা, যাদের জীবন একে ওপরের সাথে জড়িয়ে যায়। গল্পের সময়সীমা সোভিয়েত রাজ্ থেকে তালিবান দখল অবধি আফগানিস্তানের উত্তাল তিরিশ বছর এবং তালিবানোত্তর পুনর্নির্মাণ। ২০০৭ সালের ২২শে মে রিভারহেড বুকস থেকে এই উপন্যাসটি প্রকাশিত হয়। একই দিনে Simon & Schuster অডিওবুক মাধ্যমে প্রকাশ করে এই উপন্যাস। বইটির চলচ্চিত্রায়ন-এর অধিকার অর্জন করেছে প্রযোজক স্কট রুডিন এবং কলম্বিয়া পিকচার্স । [৯] হোসেইনির তৃতীয় উপন্যাস And the Mountains Echoed প্রকাশিত হয় ২০১৩ সালের ২১শে মে। বইয়ের মুক্তির আগে হোসেইনি বলেছেন:
আমার লেখার কেন্দ্রে বারে বারে ফিরে আসে পরিবারের কথা। আমার প্রথম কিছু লেখা আসলে বাবা বা মা হওয়ার গল্প। আমার নতুন বইটি কয়েক প্রজন্মের গল্প, ভাইবোনের গল্প, তাদের ভালোলাগা, ভালোবাসার, আঘাত পাওয়া, বিস্বাসঘাতকতা এবং ত্যাগের গল্প।"[১০]
হোসেসিনি বর্তমানে United Nations High Commissioner for Refugees (ইউএনএইচসিআর) এর শুভেচ্ছাদূত। [১১] তিনি খালেদ হোসেইনি ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। ২০০৭ সালে UNHCR এর সাথে আফগানিস্তান ভ্রমণ এর পর হোসেইনি এই ফাউন্ডেশন গঠন করতে অনুপ্রাণিত হন।
খালেদ হোসেইনি যখন ছোট ছিলেন, তখন তিনি প্রচুর ফার্সি কবিতা পড়তেন, বিশেষত সুফিদের কবিতা যেমন রুমি, হাফেজ, ওমর খায়্যাম, আবদুল-কাদির বাদিল, ও অন্যান্য । তিনি এখন মনে করেন যে হাফেজের কবিতাসমগ্র দিওয়ান-এ-হাফেজ তাঁর প্রিয় বই। তিনি বলেছেন যে জ্যাক লন্ডনের হোয়াইট ফ্যাংয়ের একটি পার্সিয়ান অনুবাদ তাঁর বাল্যবেলার কল্পনাশক্তিকে প্রভাবিত করেছিল। | [১২][১৩] এছাড়াও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সাহিত্যের ফার্সি অনুবাদ তাঁকে প্রভাবিত করে, যেমন অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড আর মিকি স্পিলেনের মাইক হামার সিরিজ। তিনি আফগান সংগীতশিল্পী আহমদ জাহিরের দ্বারাও অনুপ্রেরিত।। বিবিসি রেডিও ৪ এর স্যাটারডে লাইভ অনুষ্ঠানে তিনি নিজের ইনহেরিটেন্স ট্র্যাক হিসেবে জাহিরের দুটি গান বেছে ন্যান- মদর ও আয়ে পারেশ ক্ষুবান। আয়ে পারেশ ক্ষুবান গানটির কথাগুলি ফার্সি কবি হাফেজের দেওয়া।। স্যাটারডে লাইভে তিনি জাহিরকে "আফগান এলভিস" নামে সম্বোধন করেছেন এবং বলেছেন যে তাঁর গান খালেদের আফঘানিস্তানের "অন্যতম স্মৃতি"। [১৪][১৫][১৬]
হোসেইনির প্রথম উপন্যাস দ্য কাইট রানার-এ উঠে আসে প্রাক-সোভিয়েত যুগের শান্তিপূর্ণ আফগানিস্তানে তাঁর "শৈশবের কিছু প্রিয় স্মৃতি" এবং আফগানিস্তানের হাজারা সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা। হোসেইন খান নামক এক হাজারা ব্যক্তি ইরানে হোসাইনী পরিবারের জন্য কাজ করতেন। খালেদ যখন তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র, তখন তিনি হোসেইন খানকে লিখতে ও পড়তে শেখান।। খানের সঙ্গে খালেদের সম্পর্ক সংক্ষিপ্ত এবং আনুষ্ঠানিক হলেও এর স্মৃতি পরবর্তীকালে কাইট রানার উপন্যাসে হাসান ও আমিরের সম্পর্ককে অনুপ্রেরিত করে। ২০১৩র উপন্যাস এন্ড দ্য মাউন্টেন্স একোড-কে প্রভাবিত করে প্যারিসে তাঁর প্রবাসের স্মৃতি এবং আফগান শিশুদের সাথে তাঁর অভিজ্ঞতা। [১৭]
হোসেইনির স্ত্রীর নাম রোয়া হোসেইনি। তাঁদের দুই সন্তান- হারিস ও ফারাহ। প্রতিযোগিতামূলক বক্তা হারিস Original Oratory-র জাতীয় পর্যায়ে দু'বার অংশগ্রহণ করেছেন| ২০১৮ এনএসডিএ জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ এবং ২০১৯ এনএসডিএ জাতীয় চ্যাম্পিয়ন প্রতিযোগিতায় হারিস তৃতীয় স্থান অর্জন করেন। । তিনি পরিবারের সাথে উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ায় থাকেন। তিনি ইংরেজি, দারি এবং পশতু ভাষায় পারদর্শী। [১৮][১৯]
এক্সক্লুসিভ বুকস বোকে প্রাইজ
ব্রিটিশ বুক অ্যাওয়ার্ডস
বুক সেন্স বুক অফ দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ডস
ক্যালিফোর্নিয়া বুক অ্যাওয়ার্ড সিলভার মেডেল
গুডরীডস চয়েস অ্যাওয়ার্ড