খিরনি Manilkara hexandra | |
---|---|
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Plantae |
বিভাগ: | Tracheophyta |
শ্রেণী: | Magnoliopsida |
বর্গ: | Ericales |
পরিবার: | Sapotaceae |
গণ: | Manilkara |
প্রজাতি: | Manilkara hexandra |
দ্বিপদী নাম | |
Manilkara hexandra (Roxb.) Dubard[১] | |
প্রতিশব্দ | |
Mimusops hexandra Roxb. |
খিরনি বা খিরি বা খির খেজুর বা খিলুনি (বৈজ্ঞানিক নাম: Manilkara hexandra) হচ্ছে সাপোটাসি পরিবারের মানিলকারা গণের সপুষ্পক উদ্ভিদের একটি বৃক্ষ।
খিরি বৃক্ষ একটি দুর্লভ এবং বিপন্নপ্রায় গাছ। বীজ থেকে এর চারা হয়। এই গাছটি বেড়ে উঠতে অনেক সময় লাগে। বিশাল আকৃতির চিরহরিত বৃক্ষ এটি। এর জন্ম হয় গ্রীষ্মপ্রধান নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে।[২]
এর দেখা মেলে মূলত চীনের হাইনান এবং দক্ষিণ গুয়াংসি প্রদেশ; দক্ষিণ এশিয়ার শ্রীলঙ্কা, ভারত, বাংলাদেশ; দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ক্যামবডিয়া, মিয়ানমার ও ভিয়েতনামে। [৩]
বাংলাদেশে যেসব এলাকায় পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী এ বৃক্ষের সন্ধান পাওয়া যায় তা হল নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার সুকাশ ইউনিয়নের দুলশি গ্রাম এবং ঢাকা শহরে অবস্থিত চর্ম প্রযুক্তি ইন্সটিটিউট প্রাঙ্গনে।ঢাকার রমনা পার্কে এর একমাত্র নিকটআত্মীয় আছে, যার বৈজ্ঞানিক নাম Manilkara Kaukii।[২]
এ গাছ সাধারণত ১২ থেকে ২৫ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে, আর চওড়ায় ১ থেকে ৩ মিটার। এর বাকল ষৎ ধূসর এবং রুক্ষ। এর পাতা সরল, ডালের আগায় দলবদ্ধভাবে জন্মে এবং ঝুলে থাকে। এর ফুল হালকা হলুদ বর্ণের। ফল রসাল, জলপাই আকৃতির, পাকলে লাল হয়, যা খাওয়া যায়। এর কাঠ বেশ মজবুত হয় এবং আসবাব তৈরিতে কাজে লাগে। ফুল ও ফলের মৌসুম অগ্রহায়ণ থেকে শ্রাবণ।[২]
|তারিখ=
(সাহায্য)