আলহাজ্ব খুরশিদ আহমদ الحاج خورشید احمد | |
---|---|
জন্মনাম | খুরশিদ আহমদ |
উপনাম | আলহাজ্ব খুরশিদ আহমদ |
জন্ম | ১লা জানুয়ারি, ১৯৫৬[১] রহিম ইয়ার খান |
উদ্ভব | করাচি, সিন্ধ, পাকিস্তান |
মৃত্যু | ৩০ শে আগস্ট ২০০৭ (৫১ বছর)[২] করাচি, পাকিস্তান |
ধরন | নাত এবং হামদ |
পেশা | না'ত খাঁ |
বাদ্যযন্ত্র | কন্ঠ |
কার্যকাল | ১৯৬৮–২০০৭ |
আলহাজ্ব খুরশিদ আহমদ বা খুরশিদ আহমদ (উর্দু: الحاج خورشید احمد ) ছিলেন পাকিস্তানের একজন নাত খাঁ। তিনি নাত আবৃত্তি শুরু করেছিলেন যখন তাঁর বয়স ছিল অল্প এবং মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি সহস্রাধিক নাত আবৃত্তি করেছেন। তিনি উর্দুতে নয়,বরং অন্যান্য ভাষা যেমন পাঞ্জাবি, সারাকি, পশতু এবং সিন্ধি'তেও দক্ষতার সঙ্গে নাত আবৃত্তি করতেন। তাঁর সুমধুর কন্ঠস্বর এবং আবৃত্তি করার অদ্বিতীয় পন্থা তাঁর দিকে অনেককে আকর্ষণ করেছিল এবং সহসাই তিনি একজন বিখ্যাত না'ত খাঁ-য়ে পরিণত হন।[৩]
আলহাজ্ব খুরশিদ আহমদ ১৯৫৬ সালের ১লা জানুয়ারি পাকিস্তানের রহিম ইয়ার খানে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি আব্বাসি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে মৌলিক শিক্ষা অর্জন করেন এবং কলোনি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় পাশ করেন। তারপর তিনি সরকারি কমার্শিয়াল ইনস্টিটিউট থেকে কমার্সে ডিপ্লোমা করেন।
১৯৭৩ সালে, তিনি করাচিতে চলে যান এবং রেডিও পাকিস্তানে টাইপিস্ট হিসেবে যোগদান করেন।[২] একই বছরে তিনি ডও মেডিকেল কলেজে না'ত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন এবং এই প্রতিযোগিতায় "প্রথম স্থান" অর্জন করেন।
জনাব মেহেদী জহির তাঁকে রেডিওতে না'ত খাঁ হিসেবে পরিচিত করান এবং তিনি ১৯৬৮ সাল থেকে না'ত আবৃত্তি করা শুরু করেছিলেন।।[২] ১৯৭৮ সালে পাকিস্তান টেলিভিশনে প্রথমবারের মত না'ত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় এবং তিনি সেখানেও প্রথম স্থান অর্জন করেন। প্রথমে এই প্রতিযোগিতা সিন্ধু প্রদেশ পর্যায়ে এবং পরে পাকিস্তানের জাতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হয়। তিনি একসঙ্গে উভয় প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেন।[২] মানুষের মধ্যে তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত না'ত এবং যেটি তাঁর খ্যাতি ত্বরান্বিত করেছিল না'তটি জমিন-ও- জামান তুমহারে লিয়ে। ইয়ে সাব তুমহারা ক্বারাম হ্যায় আকা না'তটি শুধু পাকিস্তান নয় সারাবিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হয়। এই না'ত আবৃত্তির পর তিনি পাকিস্তানের মানুষের কাছে অধিক জনপ্রিয় হন।[২]তারপর তিনি না'তগুলি কেবল পাকিস্তানে নয় যেখানে মুসলমান বাস করতেন সেখানেও পাঠ করতেন।[৪]
"খুরশিদ আহমদ ফয়সালাবাদে এক মিলাদ-ই- মেহফিল এ যোগ দেওয়ার পর শহরে ফিরে আসেন। তাঁর রক্তচাপের সমস্যাগুলো শুরু হয় এবং হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়"।[২] "এক সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থাকার পর তাঁর একটি অপারেশনের সময় মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণের কারণে তিনি মৃত্যুবরণ করেন"।[২] তাঁর জানাযায় পাকিস্তানের অনেক বিখ্যাত না'ত খাঁরা এবং অনেক মিডিয়া ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত ছিলেন। তন্মধ্যে ক্বারী ওয়াহিদ জাফর কাসেমী এবং সাদিক ইসমাঈল উপস্থিত ছিলেন। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, দুই মেয়ে রেখে যান। খুরশিদ আহমদের ছেলে হাসান খুরশিদ এবং তাঁর ভাই শফিক আহমদও নাত আবৃত্তি করেন।[২]