খোড়ে বাঘা Black Veined Tiger Or White Tiger | |
---|---|
ডানা বন্ধ অবস্থায় | |
ডানা খোলা অবস্থায় | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | প্রাণীজগৎ |
পর্ব: | সন্ধিপদী |
শ্রেণী: | পতঙ্গ |
বর্গ: | লেপিডোপ্টেরা |
পরিবার: | Nymphalidae |
গণ: | Danaus |
প্রজাতি: | D. melanippus |
দ্বিপদী নাম | |
Danaus melanippus (Cramer, [1777]) | |
Subspecies | |
See text |
খোড়ে বাঘা(বৈজ্ঞানিক নাম: Danaus melanippus (Cramer)) প্রজাতি নিমফ্যালিডি (Nymphalidae) গোত্র ও 'ডানায়িনি' (Danainae) উপ-গোত্রের অন্তর্ভুক্ত মাঝারীর চেয়ে বড় মাপের প্রজাপতি।[১]
খোড়ে বাঘা এর প্রসারিত অবস্থায় ডানার আকার ৮০-৯৫ মিলিমিটার দৈর্ঘ্যের হয়।[১][২]
খোড়ে বাঘা এর প্রজাতিগুলো হলো[৩]
ভারতে সাধারণত খোড়ে বাঘা এর যে তিনটি উপপ্রজাতি দেখা যায় তা হলঃ-[৪]
ভারত (আন্দামান, উড়িষ্যা, পশ্চিমবঙ্গ থেকে অরুণাচল প্রদেশ), বাংলাদেশ এবং মায়ানমার এর বিভিন্ন অঞ্চলে দেখা যায়।[৫] পশ্চিমবঙ্গতে এই প্রজাপতিটি শুধুমাত্র সুন্দরবন অঞ্চলে একমাত্র দেখতে পাওয়া যায়।[৬]
প্রজাপতির দেহাংশের পরিচয় বিশদ জানার জন্য প্রজাপতির দেহ এবং ডানার অংশের নির্দেশিকা দেখুন:-
এই প্রজাতি ডোরাকাটা বাঘ (প্রজাপতি) প্রজাতির সহিত ভীষনরকম সাদৃশ্যযুক্ত, তবে পিছনের ডানা কমলা (Tawny) বর্ণের পরিবর্তে ময়লাটে সাদা বর্ণের হয়।
ডানার উপরিতল কালো অথবা গাঢ় খয়েরী এবং কমলা বর্ণের হয়। সামনের ডানায় কোস্টা, অ্যাপেক্স অথবা শীর্ষভাগ, টার্মেন, টর্নাস এবং ডরসাম চওড়াভাবে কালো অথবা গাঢ় খয়েরী। সেল কমলা এবং তার নিচে বেসাল অঞ্চল থেকে ডিসকাল অঞ্চল জুড়ে কমলা পটি দেখা যায়। ডানাে লম্বাটে সাদা কয়েকটি পাশাপাশি অবস্থিত ছোপের সারি এবং তাদের নিচে ছোট ছোপবিন্দুর সারি চোখে পড়ে। পোস্ট-ডিসকাল এবং সাবটার্মিনাল ছোট ছোপের সারি দুটি শীর্ষের নিচ থেকে টর্নাস অবধি সমান্তরালভাবে বিস্তৃত। ক্মলা অংশে শিরাগুলি চওড়া ভাবে কালো।
পিছনের ডানা কালো অথবা গাঢ় খয়েরীর উপর সাদা পটি এবং ছোট ছোপযুক্ত। এই প্রজাতির পিছনের ডানায় কোনো কমলা রঙ থাকে না। সেল সাদা এবং ডিসকাল অংশে সরু লম্বাটে বিভিন্ন দৈর্ধ্য বিশিষ্ট কতগুলি সাদা পটি বর্ত্তমান। সাদা পটিগুলির প্বার্শকিনারা ফ্যাকাশে খয়েরী আঁশে ছাওয়া। উক্ত পটিগুলির মধ্যে সেলের সাথে আনুভূমিক পটি দুটি মাঝারী দৈর্ঘ্যের এবং ডরসামের উপরের পটি দুটি সবচাইতে দীর্ঘ এবং ডানার গোড়া থেকে উৎপন্ন হয়েছে। ডরসাম সরুভাবে সাদা। পোস্ট-ডিসকাল এবং সাবটার্মিনাল ছোট ছোপের সারি দুটি ডানার শীর্ষভাগ থেকে টর্নাস পর্যন্ত প্রায় সমান্তরাল ও বক্রভাবে বিস্তৃত। ডানার বাকী অংশ কালো অথবা গাঢ় খয়েরী।
ডানার নিম্নতল সামনের এবং পিছনের ডানার নিম্নতল উপরিতলেরই অনুরূপ। পিছনের ডানার ডিসকাল পটিগুলি উপরিতলের তুলনায় অনেক চওড়া এবং শেষভাগ ফ্যাকাশে কমলা অথবা হলদেটে আভাযুক্ত। পোস্টডিসকাল এবং সাবটার্মিনাল ছোপগুলিও উপরিতল অপেক্ষা আকারে খানিক বড় এবং অধিক স্পষ্ট। টার্মিনাল প্রান্তরেখা সাদা। শিরাগুলি চওড়া এবং কালো। পুরুষ প্রকারের ২নং শিরা গোড়ার দিকে স্ফীত কালো এবং মধ্যে একটি ক্ষুদ্র সাদা দাগযুক্ত।
শুঙ্গ কালো, মাথা এবং বক্ষদেশ উভয়তলেই কালো, তবে নিম্ন এবং পার্শ্বতলে সাদা ফোঁটাযুক্ত। উদর উভয়তলেই কমলা।[২]
ধীর এবং দূর্বল উড়ানযুক্ত এই প্রজাতি সাধারণত মাটি থেকে খুব বেশি উঁচুতে ওড়ে নয়া, তবে ভয় পেলে অথবা তাড়া দিলে এরা দ্রূত উড়তে পারে, ফুল এবং পাতায় বসে মধুপান এবং রসপান করতে এদের প্রায়শই দেখা যায়। গাছের এবং গাছের ডালের শীর্ষে বসে বিশ্রাম নেওয়া এবং রোদ পোহানো এদের অভ্যাস, ভিজে মাটিতে এরা সচরাচর বসে না। পরিযায়ী স্বভাববিশিষ্ট এই প্রজাতি নিচু ভূমিতে (low land) এবং পাহাড়ী অঞ্চলে ৬০০ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত বিচরণ করে। ঘন জঙ্গলের পথের কিনারে এদের উড়ান এবং ক্রিয়াকলাপ লক্ষ্য করা যায়। পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন অঞ্চলে, মূলত জঙ্গল সংলগ্ন গ্রামাঞ্চলে এই প্রজাতির দেখা মেলে।[১]
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |