গওহর আরা বেগম | |
---|---|
মোগল রাজকন্যা | |
জন্ম | ১৭ জুন, ১৬৩১ বুরহানপুর,ভারত |
মৃত্যু | ১৭০৬ (বয়স ৭৪–৭৫) দিল্লী, ভারত |
রাজবংশ | তৈমুরি রাজবংশ |
পিতা | শাহ জাহান |
মাতা | মুমতাজ মহল |
ধর্ম | ইসলাম |
গওহর আরা বেগম (১৭ জুন, ১৬৩১ – ১৭০৬ আনুমানিক) মোগল রাজকন্যা এবং সম্রাট শাহজাহান ও তার স্ত্রী মুমতাজ মহলের চৌদ্দতম এবং সর্বকনিষ্ঠ সন্তান। [১]
গওহরের মা বিখ্যাত মোগল সম্রাজ্ঞী মুমতাজ মহল ১৬৩১ সালে তাকে জন্ম দেওয়ার সময় মারা যান। মুমতাজ মহলের মৃত্যুতে সম্রাট শাহ জাহান প্রচন্ড কষ্ট পান। তার নামেই বিখ্যতা স্মৃতি সৌধ তাজমহল তৈরী করা হয়। সম্রাট শাহ জাহানের ৪ পুত্র পরস্পরের সাথে উত্তরাধিকার যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। এই যুদ্ধে গওহর আরা বেগম জড়িত ছিলেন কি না সে সম্পর্কে খুব বেশি জানা যায় না।
গওহর আরা বেগম ১৭০৬ সালে মারা যান।
গওহর আরা বেগম তার বাবার ও ভাইয়ের রাজত্বকালে খুব বেশি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়াতেন না।[২]
উত্তরাধিকার যুদ্ধের সময়েও তিনি জড়িত ছিলেন না। তবে ধারণা করা হয় উত্তরাধিকার যুদ্ধের সময় তিনি তার চতুর্থ ভাই মুরাদ বখশের সিংহাসন লাভকে সমর্থন করেছিলেন। তবে এটা যদি সত্য হয়, তাহলে তাকে বিজয়ী ভাই আওরঙ্গজেবের দ্বারা কারাগারে বন্দী হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু তিনি বন্দী হন নি।[৩]
তার বোনদের সাথে গওহর আরা বেগমকে সম্রাট শাহজাহান বিয়ে করা থেকে নিষিদ্ধ করেন। [৪] তবে তার বাবার শাসনামলের পতন ঘটলে তিনি অনেকের বিয়ের ব্যবস্থা করেন। ১৬৭৩ সালে দারার শিকোহের পুত্র সিফির শিকোহ আওরঙ্গজেবের মেয়ে জুবদাত-উন-নিসাকে বিয়ে করেন। এই বিয়ের আয়োজন করেন গওহর আরা বেগম এবং তার মামাতো ভাই হামিদা বানু বেগম।[৫]
১৬৭২ সালে দারা শিকোহর নাতনী সালিম বনু বেগম ( যাকে তিনি দত্তক নিয়েছিলেন) এবং আওরঙ্গজেবের চতুর্থ পুত্র রাজকুমার মুহম্মদ আকবরের বিয়েতে তিনি আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বিবাহের অনুষ্ঠানে তিনি দিল্লি গেট থেকে বেগম মহল পর্যন্ত কাঠের কাঠামো দিয়ে আলোকসজ্জা করেছিলেন।[৬]
১৭০৬ সালে শাহজাহানবাদে গওহর আরা বেগম মারা যান। সেই সময় সম্রাট আওরঙ্গজেব, দাক্ষিণাত্য মালভূমিতে ছিলেন। বোনের মৃত্যুতে তিনি প্রচন্ড কষ্ট পেয়েছিলেন। তিনি বলতেন, "শাহ জাহানের সব সন্তানদের মধ্যে, তিনি এবং আমি বেঁচে আছি।" [৬]