গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে | |
---|---|
পথের তথ্য | |
উত্তরপ্রদেশ এক্সপ্রেসওয়েজ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (ইউপিইআইডি) কর্তৃক রক্ষণাবেক্ষণকৃত | |
দৈর্ঘ্য | ৫৯৪ কিলোমিটার (৩৬৯ মাইল) |
অস্তিত্বকাল | ২০২৪ (প্রত্যাশিত)–বর্তমান |
প্রধান সংযোগস্থল | |
পশ্চিম প্রান্ত: | বিজৌলি গ্রাম, মিরাট জেলা |
পূর্ব প্রান্ত: | জুদাপুর দুন্দা গ্রাম, প্রয়াগরাজ জেলা |
অবস্থান | |
রাজ্য | উত্তরপ্রদেশ |
প্রধান শহর | মিরাট, হাপুর, সিয়ানা, সম্বল, চান্দৌসির নিকট, বুদাউন, তিলহার, বাঙ্গারমাউ, উন্নাও, রায়বরেলি, ও প্রয়াগরাজ |
মহাসড়ক ব্যবস্থা | |
গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে হল ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের একটি অনুমোদিত ৫৯৪ কিমি দীর্ঘ ও ৬-লেন চওড়া (8 পর্যন্ত প্রসারিত) গ্রিনফিল্ড এক্সপ্রেসওয়ে। প্রথম পর্যায়ে প্রয়াগরাজ জেলার এনএইচ-১৯-এর পার্শ্ববর্তী জুদাপুর দান্দু গ্রামের সঙ্গে মিরাট জেলার এনএইচ-৩৩৪-এর পার্শ্ববর্তী বিজৌলি গ্রামকে সংযুক্ত করবে। উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রিসভা কুম্ভ মেলার স্থান প্রয়াগরাজে বৈঠক করে এবং মিরাট ও প্রয়াগরাজের মধ্যে গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের জন্য ২০১৯ সালের ২৯শে জানুয়ারি দাপ্তরিক কার্যক্রম সম্পন্ন করে।[১][২]
গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি প্রাথমিকভাবে ২০০৭ সালে তৎকালীন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী দ্বারা চালু করা হয়েছিল, কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে যোগী আদিত্যনাথের দায়িত্ব গ্রহণের পরেই কাজ শুরু হয়। প্রকল্পটির লক্ষ্য গঙ্গা নদীর পাশাপাশি ১,০৪৭ কিলোমিটার প্রবেশাধিকার-নিয়ন্ত্রিত ৮-লেন প্রশস্ত এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা। এই এক্সপ্রেসওয়েটি বালিয়ার সঙ্গে গ্রেটার নয়ডাকে সংযুক্ত করবে, যা উত্তরপ্রদেশের পূর্ব ও পশ্চিম সীমানার মধ্যে উচ্চ-গতির সংযোগ নিশ্চিত করবে।[৩] বালিয়া থেকে গ্রেটার নয়ডা পর্যন্ত প্রস্তাবিত এক্সপ্রেসওয়েটি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ হিসাবে কার্যকরী করার পরিকল্পনা করা হয়, কারণ বন্যা এই অঞ্চলে কৃষি ও পরিবেশগত ক্ষতির একটি প্রধান কারণ এবং ভারতের বর্ষা মৌসুমে অনেক মৃত্যুর পাশাপাশি রোগের বিস্তার ঘটায়। সেই সময়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টের আদেশের কারণে গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ শুরু হয়নি। আদেশে নির্দেশ দেওয়া হয়, যে রাজ্য ও ছাড়দাতাকে সম্পূর্ণ পরিবেশগত অধ্যয়ন সম্পন্ন করতে হবে এবং নির্মাণ শুরু করার আগে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে।