গঞ্জাম জেলা ଗଞ୍ଜାମ ଜିଲ୍ଲା | |
---|---|
ওড়িশার জেলা | |
ওড়িশায় গঞ্জামের অবস্থান | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | ওড়িশা |
প্রশাসনিক বিভাগ | দক্ষিণ ওড়িশা বিভাগ |
সদরদপ্তর | ছত্রপুর |
তহশিল | ২৩ |
আয়তন | |
• মোট | ৮,২০৬ বর্গকিমি (৩,১৬৮ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ৩২,৫৯,০৩১ |
• জনঘনত্ব | ৪০০/বর্গকিমি (১,০০০/বর্গমাইল) |
জনতাত্ত্বিক | |
• সাক্ষরতা | ৭১.০৯ শতাংশ |
• লিঙ্গানুপাত | ৯৮৩ |
গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাত | ১৪০৩ মিমি |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
গঞ্জাম জেলা (ওড়িয়া: ଗଞ୍ଜାମ ଜିଲ୍ଲା, প্রতিবর্ণী. গঞ্জাম জিল্লা) পূর্ব ভারতে অবস্থিত ওড়িশা রাজ্যের ৩০ টি জেলার একটি জেলা৷ ১৯শে চৈত্র ১৩৪২ বঙ্গাব্দে (১লা এপ্রিল ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দে) উৎকল সংগঠন গড়ে ওঠির সময় এই জেলাটির আত্মপ্রকাশ ঘটে৷ আবার ১৫ই আশ্বিন ১৩৯৯ বঙ্গাব্দে (২রা অক্টোবর ১৯৯২ খ্রিষ্টাব্দে) পুর্বতন গঞ্জাম জেলাটি থেকে গজপতি ও গঞ্জাম দুটি জেলা গঠন করা হয়৷ গঞ্জাম জেলাটি ওড়িশার দক্ষিণ ওড়িশা বিভাগের অন্তর্গত৷ জেলাটির জেলাসদর ছত্রপুর শহরে অবস্থিত এবং ব্রহ্মপুর মহকুমা, ভঞ্জনগর মহকুমা, ছত্রপুর মহকুমা নিয়ে গঠিত৷
গঞ্জাম জেলার এই 'গঞ্জাম' নামটি এসেছে 'গঞ্জ-ই-আম' থেকে৷ আরবি এই শব্দের অর্থ বিশ্বের শস্যাগার৷ আবার অন্যমতে ঐ অঞ্চলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত রুশিকুল্য নদীর তীরে অবস্থিত ইউরোপীয়ানদের দ্বারা নির্মিত গঞ্জাম দুর্গের নামে ঐ অঞ্চলের নাম, তবে দুর্গের নাম আগে এসেছে নাকী জায়গার নাম সেই নিয়ে বিবাদ রয়েছে৷[১]
জেলাটির উত্তরে ওড়িশা রাজ্যের নয়াগড় জেলা৷ জেলাটির উত্তর পূর্বে(ঈশান) ওড়িশা রাজ্যের নয়াগড় জেলা৷ জেলাটির পূর্বে ওড়িশা রাজ্যের পুরী জেলা ও ওড়িশা রাজ্যের খোর্দা জেলা৷ জেলাটির দক্ষিণে অন্ধ্র প্রদেশ রাজ্যের শ্রীকাকুলাম জেলা৷ জেলাটির দক্ষিণ পশ্চিমে(নৈঋত) ওড়িশা রাজ্যের গজপতি জেলা৷ জেলাটির পশ্চিমে ওড়িশা রাজ্যের কন্ধমাল জেলা৷ জেলাটির উত্তর পশ্চিমে(বায়ু) ওড়িশা রাজ্যের কন্ধমাল জেলা৷[২] জেলাটির দক্ষিণ পূর্বে(অগ্নি) বঙ্গোপসাগর অবস্থিত৷
জেলাটির আয়তন ৮২০৬ বর্গ কিমি৷ রাজ্যের জেলায়তনভিত্তিক ক্রমাঙ্ক ৩০ টি জেলার মধ্যে তম৷ জেলার আয়তনের অনুপাত ওড়িশা রাজ্যের ৫.২৭%৷
গঞ্জাম জেলায় প্রচলিত ভাষাসমূহের পাইচিত্র তালিকা নিম্নরূপ -
মোট জনসংখ্যা ৩১৬০৬৩৫(২০০১ জনগণনা) ও ৩৫২৯০৩১(২০১১ জনগণনা)৷ রাজ্যে জনসংখ্যাভিত্তিক ক্রমাঙ্ক ৩০ টি জেলার মধ্যে ১ম৷ ওড়িশা রাজ্যের ৮.৪১% লোক গঞ্জাম জেলাতে বাস করেন৷ জেলার জনঘনত্ব ২০০১ সালে ৩৮৫ ছিলো এবং ২০১১ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৪৩০ হয়েছে৷ জেলাটির ২০০১-২০১১ সালের মধ্যে জনসংখ্যা বৃৃদ্ধির হার ১১.৬৬% , যা ১৯৯১-২০১১ সালের ১৬.৮৮% বৃদ্ধির হারের থেকে কম৷ জেলাটিতে লিঙ্গানুপাত ২০১১ অনুযায়ী ৯৮৩(সমগ্র) এবং শিশু(০-৬ বৎ) লিঙ্গানুপাত ৯০৮৷[৪]
জেলাটির স্বাক্ষরতা হার ৬০.৭৭%(২০০১) তথা ৭১.০৯%(২০১১)৷ পুরুষ স্বাক্ষরতার হার ৭৫.২২%(২০০১) তথা ৮০.৯৯%(২০১১)৷ নারী স্বাক্ষরতার হার ৪৬.৪৪%(২০০১) তথা ৬১.১৩% (২০১১)৷ জেলাটিতে শিশুর অনুপাত সমগ্র জনসংখ্যার ১১.৯১%৷[৪]