গণবাহিনী | |
---|---|
জাসদ গণবাহিনী | |
অধিনায়ক | লে.কর্নেল আবু তাহের হাসানুল হক ইনু |
অপারেশনের তারিখ | ১৯৭২–৭৫ |
ভাঙন | ১৯৭৬ |
দেশ | বাংলাদেশ |
আনুগত্য | জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল |
উদ্দেশ্য | সশস্ত্র বিপ্লবের মাধ্যমে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। |
মতাদর্শ | ভ্যানগার্ডিজম বামপন্থী জাতীয়তাবাদ |
বিপক্ষ | |
খণ্ডযুদ্ধ ও যুদ্ধ | ১৯৭২–১৯৭৫ বাংলাদেশে কমিউনিস্ট বিদ্রোহ |
রঙ | লাল |
বাংলাদেশে সাম্যবাদ |
---|
সিরিজের অংশ |
সাম্যবাদ প্রবেশদ্বার |
গণবাহিনী জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সশস্ত্র সংগঠন ছিল।[১] দলটি বাংলাদেশে বিপ্লবের সাহায্যে সমাজতন্ত্র কায়েম করার উদ্দেশ্যে গঠিত হয়েছিল।
১৯৭২ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একটি অংশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল গঠন করে, যার নেতৃত্বে সিরাজুল আলম খান ছিলেন।[২]
দলটি একটি সশস্ত্র বিপ্লবের মাধ্যমে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছিল। ফলস্বরূপ, গণবাহিনী গঠিত হয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্রভাবে অবস্থান নেয়।[২] ১৯৭৪ সালে হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বে একদল সশস্ত্র লোকবল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মুহাম্মদ মনসুর আলীর বাড়িতে আক্রমণ করে, যেটি গণহত্যায় গড়ায়।[৩] অগণিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ সদস্যকে হত্যার অভিযোগে গণবাহিনী অভিযুক্ত।[১]
জিয়াউর রহমান গণবাহিনী নিষিদ্ধ করেন এবং আবু তাহেরকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন। এছাড়াও দলটির বিভিন্ন ব্যক্তিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারান্তরীণ করা হয়।[৪]
২০১৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম মন্তব্য করেছিলেন যে, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল ও গণবাহিনী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার জন্য রাজনৈতিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল।[৫] বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের জন্য বিরোধী দলীয় নেতারাও সংগঠনটিকে দায়ী করেছিলো।[৬] অনেকে সংগঠনটিকে 'সেই সময়ের আল কায়েদা' বলে অভিহিত করেন।[৭]