গণ্ডকী নদী (गंडक) | |
নারায়ণী | |
नारायणी नदी (चितवन)
| |
দেশসমূহ | তিব্বত(চীন), নেপাল, ভারত |
---|---|
উপনদী | |
- বাঁদিকে | ত্রিশূলী নদী, বুড়ি গণ্ডকী নদী, মারসিয়ান্দি, মাডি, শ্বেতি গণ্ডকী নদী |
- ডানদিকে | কালি গণ্ডকী নদী |
নগরসমূহ | Lo Manthang, জমসোম, বেণী, কুসুম, Ridi, Devgat, নারায়ণগড়, বাল্মিকীনগর, ত্রিবেনী,নেপাল, হাজিপুর, সোনপুর, বাগাহা |
উৎস | Nhubine Himal Glacier |
- অবস্থান | মুস্তাং, নেপাল |
- উচ্চতা | ৬,২৬৮ মিটার (২০,৫৬৪ ফিট) |
মোহনা | গঙ্গা |
- অবস্থান | Sonepur, India |
- উচ্চতা | ৪৪ মিটার (১৪৪ ফিট) |
দৈর্ঘ্য | ৬৩০ কিলোমিটার (৩৯১ মাইল) |
অববাহিকা | ৪৬৩০০ বর্গকিলোমিটার (এক্সপ্রেশন ত্রুটি: অপরিচিত বিরামচিহ্ন অক্ষর "৪"। বর্গমাইল) |
প্রবাহ | |
- গড় | ১৭৬০ m³/s (এক্সপ্রেশন ত্রুটি: অপরিচিত বিরামচিহ্ন অক্ষর "১"। ft³/s) |
- সর্বোচ্চ | ৩০০০০ m³/s (এক্সপ্রেশন ত্রুটি: অপরিচিত বিরামচিহ্ন অক্ষর "৩"। ft³/s) |
- সর্বোনিম্ন | ৫০০ m³/s (এক্সপ্রেশন ত্রুটি: অপরিচিত বিরামচিহ্ন অক্ষর "৫"। ft³/s) |
গন্ডকী নদী (নারায়ণী ও গন্ডক নামেও পরিচিত) নেপালের প্রধান নদী এবং ভারতে গঙ্গার বামতীরবর্তী শাখানদী। নেপালের নদীটি হিমালয়ের মধ্য দিয়ে গভীর গিরিসঙ্কটের জন্য উল্লেখযোগ্য। [উদ্ধৃতি দেওয়ার প্রয়োজন] এটির ৪৬,৩০০ বর্গ কিলোমিটার (১৭,৯০০ বর্গ মাইল) অববাহিকার, অধিকাংশই নেপালের। পৃথিবীর ১৪ টি ৮,০০০ মিটার (২৬,০০০ ফুট), এরও বেশি পর্বতগুলির মধ্যে তিনটি ধবলগিরি, মানাসলু এবং অন্নপূর্ণা ১ এই অববাহিকার মধ্যে রয়েছে। ধবলগিরি, গন্ডকী অববাহিকার সর্বোচ্চ স্থান। এটির পূর্বের কোশী প্রণালী এবং অনুরূপভাবে পশ্চিমের কর্ণালী (ঘাঘরা) প্রণালীর মধ্যে অবস্থিত।
নেপালের মুস্তাং অঞ্চলের নহুবিন হিমাল হিমবাহে ৬,২৬৮ মিটার (২০,৫৬৪ ফুট) উঁচুতে তিব্বতের সীমান্তে কালি গন্ডকী নদীর উৎস অবস্থিত। [১][২] কিছু মানচিত্রে এর উপরিভাগের নাম চুমা খোলা এবং তারপর লো মান্থাং, নিচুং খোলা বা চোর খোলার নিকটবর্তী হয়। কালি গন্ডকী তারপর একপেশে গভীর গিরিখাতের মধ্য দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমে (অপ্রচলিত পুরনো মানচিত্রে মুস্তাং খোলার নাম দিয়ে) প্রবাহিত হয়, চেলেতে ইস্পাতের পায়ে চলা সেতুর কাছে প্রসারিত হবার আগে যেখানে এর খানিকটা অংশ পাথরের সুড়ঙ্গের মধ্যে দিয়ে চোঙ্গার মত প্রবাহিত হয় এবং এই প্রসারিত নদীকে এখান থেকে সমস্ত মানচিত্রে বলা হয় কালি গন্ডকী। কাগবেনিতে জোহং খোলা,কাক খোলা বা কৃষ্ণা নামক একটি প্রধান উপনদী, মুক্তিনাথ থেকে অবতরণ করে।
এরপর নদীটি দক্ষিণাভিমুখে পশ্চিমে ধবলগিরি ৮,১৬৭ মিটার (২৬,৭৯৫ ফুট) উচ্চ পর্বত এবং পূর্বে অন্নপূর্ণা ১ ৮,০৯১ মিটার (২৬,৫৪৫ ফুট) র মধ্যবর্তী কালিগন্ডকী বা অন্ধা গলচি নামক গিরিসঙ্কটের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়। যদি কেউ নদীর উচ্চতা এবং উভয় পাশের সর্বোচ্চ শিখরগুলির উচ্চতা থেকে একটি গভীর গিরিখাতের উচ্চতা নির্ধারন করে তাহলে এই গিরিখাতটি বিশ্বের গভীরতম। ধবলগিরি এবং অন্নপূর্ণা ১-এর মাঝামাঝি নদীটির অংশটি, ৭ কিলোমিটার (৪ মাইল) তুকূচে থেকে প্রবাহিত) ২৫২০মিটার (৮,২৭০ ফুট) উচ্চতায় অবস্থিত,[৩] যা অন্নপূর্ণা১ এর থেকে ৫ হাজার ৫৭১ মিটার (১৮,২৭৮ ফুট) কম। নদীটি হিমালয়ের থেকে পুরানো। যেহেতু টেকটনিক কার্যকলাপ পাহাড়কে উচ্চতর হতে বাধ্য করেছে, নদী ভূ উচ্চায়নের মধ্য দিয়ে কেটে বেড়িয়েছে।
গিরিসঙ্কটের দক্ষিণে, গালেশ্বরে রাঘুঘাট খোলায়, বেনিতে মিয়াগদি খোলায়, কুশ্মার নিকটবর্তী মোদি খোলার এবং রিডি বাজারের উপরে রুদ্রবেনিতে বাদিগড়। নদীটি তখন মহাভারত বিন্যাসের উত্তর প্রান্ত বরাবর চলতে চলতে পূর্বাভিমুখী হয়। নেপালের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ প্রকল্পটি নদীটির এই অঞ্চল বরাবর অবস্থিত। আবার দক্ষিণে বাঁক নিয়ে এবং মহাভারত বিন্যাসের মধ্য দিয়ে, কালি গন্ডকী দেবীঘাটে একটি প্রধান উপনদী ত্রিশুলিতে মেলে, তারপর পুর্বী রাপ্তী নদীতে মিশে, আভ্যন্তরীণ তরাই উপত্যকায় নিঃসরিত হয় যা চিতওয়ান নামে পরিচিত। তারপর গণ্ডকী নেপালের তরাই সমতলভূমিতে হিমালয়ের দূরতম পাদদেশে -শিবালিক পর্বতমালা অতিক্রম করে। দেবীঘাট থেকে নদীটি গেন্দাকোট শহরের দক্ষিণে প্রবাহিত হয়। পরে নদী দক্ষিণপূর্ব দিকে ফিরে যায় কারণ এখানে এটি ভারত প্রবেশ করে যেখানে এটি গন্ডক নামে পরিচিত।
গেন্দাকোটের নিচে নদী হিমালয়ে উত্থাপিত সাতটি উপনদীর জন্য অথবা আরও উত্তরে প্রধান গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র বিভাজন বরাবরের জন্য নারায়ণী বা সপ্ত গণ্ডকী(সাত গণ্ডকী) নামে পরিচিত। এইগুলি হল কালীগণ্ডকী, ত্রিশুলী নদী এবং ত্রিশুলির পাঁচটি প্রধান উপনদী যার নাম দারুদি, সেতি, মাদি, মারসিয়ান্দি ও বুধী।
ভারত-নেপাল সীমান্তের নদীর প্রবেশপথটি নেপাল থেকে নেমে আসা পঞ্চনাড নদী এবং সোন নদীর তীরে ত্রিবেণী নামক একটি সঙ্গমও। পান্ডাই নদী নেপাল থেকে বাল্মীকি অভয়ারন্যের পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলে বিহারে (ভারত) প্রবাহিত হয় এবং মাসানে গিয়ে মেশে। গন্ডক পশ্চিম চম্পারণ, গোপালগঞ্জ, সরণ এবং মুজাফফরপুর জেলার মধ্য দিয়ে বিহার রাজ্যের গাঙ্গেয় সমভূমিতে ৩০০ কিলোমিটার (১৯০ মাইল) দক্ষিণপূর্বে প্রবাহিত হয়। এটি সোনপুরের হাজীপুর (হরিহর ক্ষেত্র নামেও পরিচিত) প্রান্তের নিকটবর্তী গঙ্গার সাথে মিলিত হয়েছে। ভারতে এর নিষ্কাশন ক্ষেত্র ৭,৬২০ বর্গ কিলোমিটার (২,৯৪০ বর্গ মাইল)।
গঙ্গা থেকে শিবালিক পাদদেশের বহির্ভাগ থেকে বেড়িয়ে গন্ডকে মধ্য গাঙ্গেয় সমতলে পূর্ব উত্তর প্রদেশ এবং উত্তর পশ্চিম বিহার নিয়ে গঠিত একটি অপরিহার্য মেগাফ্যান নির্মিত হয়েছে। [৪] মেগাফ্যান দ্রুত বর্ধনশীল হিমালয় থেকে ক্ষয়প্রাপ্ত পলি থেকে তৈরি হয়েছে। এই কাঠামোর উপর নদীর গতিধারা অবশ্যই ক্রমাগত বদলে যায়।