গদাগ জেলা ಗದಗ | |
---|---|
কর্ণাটকের জেলা | |
কর্ণাটক রাজ্যে গদাগ জেলার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ১৫°২৪′ উত্তর ৭৫°৪৫′ পূর্ব / ১৫.৪° উত্তর ৭৫.৭৫° পূর্ব | |
রাষ্ট্র | ভারত |
রাজ্য | কর্ণাটক |
সদর | গদাগ-বেতিগেরি |
আয়তন† | |
• মোট | ৪,৬৫৬ বর্গকিমি (১,৭৯৮ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)† | |
• মোট | ১০,৬৪,৫৭০ |
• জনঘনত্ব | ২৩০/বর্গকিমি (৫৯০/বর্গমাইল) |
ভাষা | |
• দাপ্তরিক | কন্নড়, ইংরেজি |
সময় অঞ্চল | ভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+৫:৩০) |
পিন | ৫৬০০৪৭ |
টেলিফোন কোড | ০৮৩৭২xxxxxx |
যানবাহন নিবন্ধন | KA-26 (কেএ-২৬) |
লিঙ্গানুপাত | ০.৯৬৯ ♂/♀ |
বৃষ্টিপাত | ৬৩১ মিলিমিটার (২৪.৮ ইঞ্চি) |
সাক্ষরতা | ৭৫.১২% |
ওয়েবসাইট | gadag |
গদাগ জেলা হলো দক্ষিণ ভারতে অবস্থিত কর্ণাটক রাজ্যের মধ্যস্থলে অবস্থিত একটি জেলা৷ এটি কর্ণাটকের চারটি প্রশাসনিক বিভাগের বেলগাভি বিভাগের অন্তর্গত৷ জেলাটির জেলাসদর গদাগ-বেতিগেরি শহরে অবস্থিত৷ এখানে নির্মিত অধিকাংশ স্থাপত্যই (মূলত হিন্দু এবং জৈন) পশ্চিমা কল্যাণ চালুক্য রাজাদের শাসনকালে তৈরী৷ জেলাটিতে সাতটি তহশিল আছে যথা: গদাগ, গজেন্দ্রগড়, রোন, শিরহট্টি, নরগুন্দ, লক্ষ্মীশ্বর এবং মুণ্ডারগি৷
হুইলগোল নারায়ণ রাও, শঙ্কর রাও কাম্পলি, মার্তণ্ডরাও নরগুন্দকর প্রমুখ এবং তাদের একাধিক অনুচর ভারতের স্বাধীনতা যুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিলেন৷
ভারতের সর্বপ্রাচীন সমবায় সমিতি কর্ণাটকের গদাগ জেলার কানগিনহল অঞ্চলে প্রথম গড়ে তোলা হয়, যা ছিলো আজ থেকে প্রায় একশত বছর পুরানো সমবায়৷ [১] কে.এইচ. পাটিল এই সমবায়টির আধুনিকীকরণ করেন৷
শহরটিতে একাদশ এবং দ্বাদশ শতাব্দী একাধিক স্মৃতিস্তম্ভ রয়েছে। এর মধ্যে ত্রিকুটেশ্বর এবং বীরনারায়ণ মন্দির দুটির ধর্মীয় কারণে ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম। এখানে অবস্থিত দুটি জৈন মন্দিরের একটি ভগবান মহাবীরের নামে উৎসর্গীকৃত।
খ্রিস্টীয় ষষ্ঠ এবং অষ্টম শতাব্দীর মাঝামাঝি শুরুর দিককার চালুক্য রাজারা চালুক্য শিল্পরীতি ব্যবহার করে এই ত্রিকূটেশ্বর মন্দির নির্মাণ করান। মন্দির প্রাঙ্গণে অবস্থিত একটি মন্দির দেবী সরস্বতীর নামে উৎসর্গীকৃত।
আনুমানিক খ্রিস্টীয় একাদশ শতাব্দীতে নির্মিত বীরনারায়ণ মন্দিরটি প্রচুর পূণ্যার্থী আকর্ষণ করে৷
পূর্বে এটি শিরহট্টি তালুকের অন্তর্ভুক্ত থাকলেও বর্তমানে লক্ষ্মীশ্বর তালুকের অন্তর্গত৷ এটি হিন্দু-জৈন মন্দির এবং একাধিক মসজিদের জন্য বিখ্যাত৷ দূর্গসদৃশ সোমেশ্বর মন্দির প্রাঙ্গণে রয়েছে একাধিক শিবমন্দির৷
এই অঞ্চলে রয়েছে কিছু চালুক্য স্থাপত্য যথা জোড়ি গোপুরম, মল্লিকার্জুন মন্দির, বৃহদাকৃতি গণেশ মূর্তি ও নন্দী মূর্তি৷
গদাগ শহর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার (৭.৫ মা) দূরে অবস্থিত লক্কুণ্ডি ছিলো চালুক্য রাজাদের বাসভূমি৷ এই অঞ্চলটি হিন্দু ও জৈন মন্দির এবং ১০১টি ধাপকূপের উপস্থিতির জন্য বিখ্যাত, এগুলিকে কল্যাণী বা পুষ্করিণী বলা হয়ে থাকে৷ ভারতীয় পুরাতত্ত্ববিদদের রক্ষণাবেক্ষণে এখানে একটি ভাস্কর্য দালানও রয়েছে৷
দম্বল দ্বাদশ শতাব্দীতে চালুক্য রীতিতে নির্মিত দোড্ডবসাপ্পা মন্দিরের জন্য বিখ্যাত৷
গদাগ জেলাতে গজেন্দ্রগড় দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর, জেলাসদর গদাগ-বেতিগেরি শহরের পরই৷ এই অঞ্চলটি পার্বত্য দুর্গ এবং কলকালেশ্বর মন্দিরের জন্য বিখ্যাত৷ এছাড়াও এখানে রয়েছে নাগাভির বিখ্যাত ইয়েলাম্মা দেবী মন্দির এবং একটি নির্মীয়মান পর্বত দর্শনক্ষেত্র৷ এটি গদাগ জেলাসদর থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত৷
হরতি একাধিক হিন্দু মন্দির রয়েছে৷ এখানে শ্রী বাসবেশ্বর মন্দিরে একটি বার্ষিক অনুষ্ঠান এবং শোভাযাত্রা হয়ে থাকে৷ অন্যান্য মন্দিরগুলির মধ্যে পার্বতীপরমেশ্বর (উমামহেশ্বর) মন্দিরের মন্দির গাত্রে চালুক্য শিল্পরীতির প্রভাব লক্ষ্য করা যায়৷
জেলাসদর গদাগ থেচে প্রায় ২২ কিলোমিটার (১৪ মা) দূরে অবস্থিত একটি কৃষিপ্রধান গ্রাম হলো কোটুমচাগি৷ এখানে রয়েছে সোমেশ্বর ও দুর্গাদেবীর মন্দির, এছাড়া প্রভুলিঙ্গলীলে কাব্যের রচয়িতা বৈষ্ণব করি চামরসের জন্ম স্থান এই গ্রাম৷
রাষ্ট্রকূট সাম্রাজ্যের সময়ে নির্মিত সর্ববৃহৎ জৈন মন্দিরটি নরেগালে অবস্থিত৷ [২]
জেলাসদর গদাগ থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার (৭.৫ মা) উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত হোম্বল একাধিক পুরানো মন্দিরের জন্য জনপ্রিয়৷
জেলাসদর গদাগ থেকে প্রায় 33 km অবস্থিত এই বেলবণিকি। এই গ্রামে অবস্থিত বীরভদ্র মূর্তিটি তৎকালীন সর্বশ্রেষ্ট মূর্তিরূপে গণ্য হতো৷ পূর্বে এই গ্রামটি বেলবলনাড়ু বা বেলবোলা বলে পরিচিত ছিলো, কালক্রমে ভাষা অপভ্রংশে বর্তমান নামটি এসেছে৷ এটি খ্যাতনামা সমাজকর্মী শ্রী এস. আর. হীরেমঠের জন্মস্থান৷
রোনে অবস্থিত কিছু ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ হলো; অনন্তশায়ীগুড়ি, ঈশ্বরগুড়ি, ঈশ্বর মন্দির, কালগুড়ি, লোকনাথ মন্দির, মল্লিকার্জুনগুড়ি, পরেশনাথ (পার্শ্বনাথ) জৈন মন্দির এবং সোমলিঙ্গেশ্বর মন্দির৷
জেলাসদর গদাগ থেকে প্রায় ১৬ কিলোমিটার (৯.৯ মা) দূরে অবস্থিত এই কৃষিপ্রধান গ্রামটিতে রয়েছে শ্রী উগ্রনরসিংহ, দত্তাত্রেয়, বীরূপাক্ষলিঙ্গ এবং রামমন্দির৷ শ্রী ব্রহ্মচৈতন্য মহারাজ এখানে রাম সীতা ও লক্ষণ মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন৷
নরগুন্দ মুলত ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দেহ সিপাহী বিদ্রোহে প্রত্যক্ষ ভূমিকা, সপ্তোদশ শতাব্দীর দুর্গ নির্মাণ, গুণ্ডু রাওয়ের মুখ্যমন্ত্রীত্ব সময়কালীন ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দের কৃষক বিদ্রোহ এবং জনসঙ্ঘের নেতা জগন্নাথরাও যোশীর জন্মস্থানের কারণে ইতিহাসের পাতায় পরিচিত৷
জেলাসদর গদাগ থেকে প্রায় ২৪ কিলোমিটার (১৫ মা) দূরে অবস্থিত গ্রামটি বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য খ্যাত৷
জেলাসদর গদাগ থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার (৬.২ মা) দূরত্বে অবস্থিত বেলধাড়িতে রয়েছে শ্রীরাম, লক্ষণ ও সীতার মূর্তি প্রতিষ্ঠিত একটি রামমন্দির৷
জেলাসদর গদাগ থেকে প্রায় ২৩ কিলোমিটার (১৪ মা) দূরে অবস্থিত এই কৃষিপ্রধান গ্রামটিতে রয়েছে শ্রীজগদ্গুরু বুদিমহাস্বামীগল সংস্থান মঠ, আন্তুর বেন্তুর-হোসালি৷ মঠটিতে হিন্দু এবং মুসলিম উভয় সম্প্রদায়েরই আনাগোনা রয়েছে৷
৪,৬৫৬ বর্গকিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত গদাগ জেলার উত্তর দিকে রয়েছে বাগলকোট জেলা, পূর্ব দিকে রয়েছে কোপ্পাল জেলা, দক্ষিণ-পূর্ব দিকে রয়েছে বেল্লারী জেলা, দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে রয়েছে হাবেরী জেলা, পশ্চিম দিকে রয়েছে ধারওয়াড় জেলা এবং উত্তর-পশ্চিমে রয়েছে বেলগাভি জেলা৷
বছর | জন. | ব.প্র. ±% |
---|---|---|
১৯০১ | ৩,৫২,৫০৩ | — |
১৯১১ | ৩,৩১,৪১৪ | −০.৬২% |
১৯২১ | ৩,৫০,৩৫৫ | +০.৫৬% |
১৯৩১ | ৩,৫০,৯৬১ | +০.০২% |
১৯৪১ | ৩,৯৩,৭৩৯ | +১.১৬% |
১৯৫১ | ৪,৩৬,৯১৪ | +১.০৫% |
১৯৬১ | ৫,২৬,১৭২ | +১.৮৮% |
১৯৭১ | ৬,২২,৭২২ | +১.৭% |
১৯৮১ | ৭,৪৩,৩৪৫ | +১.৭৯% |
১৯৯১ | ৮,৫৯,০৪২ | +১.৪৬% |
২০০১ | ৯,৭১,৮৩৫ | +১.২৪% |
২০১১ | ১০,৬৪,৫৭০ | +০.৯২% |
উৎস:[৩] |
২০১১ খ্রিস্টাব্দে ভারতের জনগণনা অনুসারে গদাগ জেলার জনসংখ্যা ছিলো ১০,৬৪,৫৭০ জন,[৪] যা সাইপ্রাস দ্বীপরাষ্ট্রর[৫] বা আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের রোড আইল্যান্ড রাজ্যের জনসংখ্যার সাথে সমতুল্য৷ [৬] ২০১১ খ্রিস্টাব্দে ভারতের মোট ৬৪০ টি জেলার মধ্যে জনসংখ্যার বিচারে গদাগ জেলা ৪২৬তম স্থান অধিকার করেছে৷ [৪] জেলাটির জনঘনত্ব ২২৯ জন প্রতি বর্গকিলোমিটার (৫৯০ জন/বর্গমাইল)৷ [৪] ২০০১ থেকে ২০১১ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে এই জেলাটির জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিলো ৯.৬১ শতাংশ৷ [৪] জেলাটিতে প্রতি হাজার পুরুষে ৯৭৮ জন নারী বসবাস করেন৷ [৪] জেলাটির সর্বমোট সাক্ষরতার হার ৭৫.১২ শতাংশ, যেখানে পুরুষ সাক্ষরতার হার ৮৪.৬৬ শতাংশ এবং নারী সাক্ষরতার হার ৬৫.৪৪ শতাংশ৷ [৪]
মাগড়ি জলাধারের নিকট নির্মিত মাগড়ি পাখিরালয়টি,[৭] গদাগ শহর থেকে গদাগ-বেঙ্গালুরু সড়কের ওপর দক্ষিণে ২৬ কিলোমিটার (১৬ মা) দূরে, শিরহট্টি থেকে৮ কিলোমিটার (৫.০ মা) দূরে এবং লক্ষ্মীশ্বর থেকে ১১ কিলোমিটার (৬.৮ মা) দূরে অবস্থিত৷ এটি পরিযায়ী পাখি, বিশেষ করে দাগি রাজহাঁসের আগমনস্থল হওয়ার জন্য বিখ্যাত৷ এখানে আগত এবং বসবাসরত বিভিন্ন প্রজাতির পাখি জলাধারে মাছ এবং নির্দিষ্টকৃত কৃষিজ ফসল খেয়ে থাকে৷
Cyprus 1,120,489 July 2011 est.
Rhode Island 1,052,567