গাইয়া অনুসিদ্ধান্ত একটি প্রস্তাবনা যেখানে বলা আছে, প্রতিটি জীব তাদের পরিপার্শ্বের সাথে এমনভাবে ক্রিয়াশীল যাতে করে পৃথিবীর সমস্তটাই একটা স্বনিয়ন্ত্রিত জটিল ব্যবস্থায় পরিণত হয়, এই ব্যবস্থাটি আবার পৃথিবীকে জীবনধারণের উপযোগী করে তোলে। অন্য কথায়, পৃথিবী নিজেই একটি জীবন্ত সত্তা। এই প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন বিজ্ঞানী জেমস লাভলক[১] ১৯৭২ সালে এবং অণুজীববিজ্ঞানী লিন মারগুলিস ১৯৭৪ সালে তত্ত্বটি সমর্থন করেন।[২]
পৃথিবী একটি জীবন্ত সত্তা এটা প্রায় ৪০০ খৃস্টপূর্বাব্দে প্লেটোর কাছ থেকে পাওয়া ধারণা। নাসায় কর্মরত ব্রিটিশ বিজ্ঞানী জেমস লাভলক তত্ত্বটিকে পুনরায় আলোচনায় আনেন। তিনি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল বিশ্লেষণের সময় লক্ষ্য করলেন যে, আমাদের বায়ুমণ্ডল ভূ-রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় তার সাম্যাবস্থা বজায় রাখে। এতে এর জীবকূল জীবন ধারণ করে। আবার জীবকূল জীবনধারণ করে বলেই এই সাম্যাবস্থাটি বজায় থাকে। যেমন, বাতাসের অক্সিজেন মাত্রা ঠিক রাখতে উদ্ভিদের অবদানের কথা বলা যায়। কাজেই তিনি বলেন, পার্থিব জৈব আর ভৌত প্রক্রিয়াগুলো এমন অবস্থা তৈরি করে এবং নিয়ন্ত্রণ করে যা জীবনের অব্যাহত অস্তিত্বের জন্যই সহায়ক।[৩]
লাভলকের এই অনুসিদ্ধান্তটি এখন প্রাসঙ্গিক এই কারণে যে, মানবসৃষ্ট কিছু পরিবর্তনের কারণে আমাদের আবহাওয়া, পরিবেশ, খাদ্য ব্যবস্থা এবং স্বাস্থ্য হুমকির সম্মুখীন। গ্রিন হাউস প্রতিক্রিয়ার ফলে পৃথিবী হয়তো একদিন বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়বে। এই ব্যাপারটি গাইয়া তত্ত্বের মাধ্যমে খুব ভালোভাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে।[৩]
|coauthors=
উপেক্ষা করা হয়েছে (|author=
ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য)
|origmonth=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)