গাউস | |
---|---|
একক পদ্ধতি | গাউসীয় এবং ইএমইউ-সিজিএস |
যার একক | চৌম্বক প্রবাহন ঘনত্ব ( চৌম্বক আবেশ, বা B-ক্ষেত্র, বা চৌম্বক ক্ষেত্র হিসেবেও পরিচিত) |
প্রতীক | G বা Gs |
যার নামে নামকরণ | কার্ল ফ্রিডরিশ গাউস |
একক রূপান্তর | |
১ G বা Gs ... | ... সমান ... |
এসআই বর্ণিত একক | 1×১০−৪ টেসলা |
সিজিএস পদ্ধতি | 1/ccgs esu[Note ১] |
গাউস, প্রতীক G (কখনো বা Gs), হলো চৌম্বক আবেশ (চৌম্বক প্রবাহ ঘনত্ব হিসেবেও পরিচিত) পরিমাপের একক। এটি গাউসীয় একক পদ্ধতির একটি অংশ, যা পুরোনো ইএমইউ-সিজিএস পদ্ধতি থেকে আসে। ১৯৩৬ সালে কার্ল ফ্রেডরিক গাউসের নামে এর নামকরণ করা হয়। এক গাউসকে প্রতি বর্গ সেন্টিমিটারে এক ম্যাক্সওয়েল হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়।
যেহেতু, এককের সিজিএস পদ্ধতি আন্তর্জাতিক একক পদ্ধতি (এসআই) দ্বারা বাতিল হয়ে গেছে, বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই তাই এসআই একক ব্যবহৃত হচ্ছে, যদিও কিছু ক্ষেত্রে এখনো সিজিএস পদ্ধতি প্রচলিত। এর এসআই এককটি হলো টেসলা (প্রতীক T)। [১] ১০,০০০ গাউসে হয় এক টেসলা।
গাউসীয় একক পদ্ধতি অনুসারে, গাউস হলো চৌম্বক প্রবাহ ঘনত্ব B এর একক যা Mx/cm2 বা g/Bi/s2 এর সমতূল্য, যেখানে ওরস্টেড হলো H-ক্ষেত্রের একক। এক টেসলা (T) সমান ১০৪ গাউস ও প্রতি মিটারে এক অ্যাম্পিয়ার সমান 4π × 10−3 ওরস্টেড।
চৌম্বক প্রবাহের, যা একটি ক্ষেত্রফল জুড়ে চৌম্বক B-ক্ষেত্রের সমাকলন, একক সমূহ হলো এসআই এককে ওয়েবার (Wb) এবং সিজিএস পদ্ধতিতে ম্যাক্সওয়েল (Mx)। রূপান্তর গুণনীয়ক হলো ১০৮, যেহেতু প্রবাহ ঘনত্ব প্রবাহ হলো একটি ক্ষেত্রফল জুড়ে ক্ষেত্রের সমাকলন, ক্ষেত্রফলের একক দূরত্বের এককের বর্গ, তাই ১০৪ (চৌম্বক ক্ষেত্র রূপান্তর গুণনীয়ক) কে ১০২ এর বর্গ (সরল রৈক্ষিক দূরত্ব রূপান্তর গুণনীয়ক অর্থাৎ মিটার প্রতি সেন্টিমিটার) দ্বারা গুণ করা হয়। অর্থাৎ ১০৪ × (১০২)২।