গাজালেহ আলীজাদেহ (ফার্সি: غزاله علیزاده ); ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৯ - ১২ মে ১৯৯৬)[১] একজন ইরানী কবি এবং লেখক ছিলেন। তার মাও ছিলেন একজন কবি ও লেখক। তিনি দুইবার বিয়ে করেছেন। তার এবং তার স্বামী বিজন এলাহীর একটি মেয়ে ছিল, যার নাম সালমা। ১৯৬১ সালে হওয়া কাজভিন ভূমিকম্প থেকে বেঁচে যাওয়া দুটি মেয়েকে তিনি দত্তকও নিয়েছিলেন।[২]
তিনি স্কুলে একজন অন্তর্মুখী, বুদ্ধিমান এবং উদ্যমী ছাত্রী ছিলেন। তিনি মহাস্তি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মানবিক বিষয়ে ডিপ্লোমা করেন। সেই সময় থেকেই তিনি নিরামিষাশী হয়ে উঠেছিলেন। তিনি তেহরান ইউনিভার্সিটি থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে বিএ ডিগ্রী লাভ করেন, তারপর সোরবোন ইউনিভার্সিটিতে দর্শন ও সিনেমা অধ্যয়নের জন্য ফ্রান্সে যান। তিনি প্রথমে আইনে পিএইচডি করার জন্য প্যারিসে গিয়েছিলেন এবং মোলাভিতে তার গবেষণামূলক প্রবন্ধ লিখতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তার বাবার আকস্মিক মৃত্যুর কারণে তিনি তা ছেড়ে দেন।
তিনি মাশহাদে ছোটগল্প লিখে তাঁর সাহিত্যজীবন শুরু করেন। তার প্রধান কাজ ছিল খানিয়ে এদ্রিসিহা ("দ্য এড্রিসিস হাউস", ফার্সি: خانه ادریسیها) উপন্যাস। তার ছোট গল্পের মধ্যে রয়েছে "দ্য ক্রসরোড", "আফটার সামার", এবং "দ্য ইন-ট্রানজিটরি জার্নি", এবং তার অন্যান্য উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে টু ল্যান্ডস্কেপস এবং তেহরান নাইটস। তার কিছু কাজ ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন রোজা জামালি।
তিনি যখন ক্যান্সারে ভুগছিলেন, তখন তিনি দুবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি অবশেষে ১৯৯৬ সালের মে মাসে মাজানদারানের রামসারের জাভের দেতে একটি গাছে ঝুলে আত্মহত্যা করেছিলেন। এমামজাদে তাহের কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়।
তার জীবন নিয়ে গাজালেহ আলীজাদেহ ট্রায়াল নামে একটি তথ্যচিত্র নির্মিত হয়েছে।[৩][৪][৫]
উইকিমিডিয়া কমন্সে গাজালেহ আলীজাদেহ সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন।