গাজিউদ্দিন হায়দার শাহ | |||||
---|---|---|---|---|---|
আওধের নবাব উজির আল-মামালিক পাদশাহ-ই-আওধ, শাহ-ই-জামান | |||||
![]() | |||||
![]() | |||||
রাজত্ব | ১১ জুলাই ১৮১৪ – ১৯ অক্টোবর ১৮১৮ | ||||
রাজ্যাভিষেক | ১২ জুলাই ১৮১৪, লখনৌ | ||||
পূর্বসূরি | দ্বিতীয় সাদাত আলি খান | ||||
উত্তরসূরি | নাসিরউদ্দিন হায়দার শাহ | ||||
![]() | |||||
রাজত্ব | ১৯ অক্টোবর ১৮১৮ – ১৯ অক্টোবর ১৮২৭ | ||||
পূর্বসূরি | দ্বিতীয় সাদাত আলি খান | ||||
উত্তরসূরি | নাসিরউদ্দিন হায়দার শাহ | ||||
জন্ম | ১৭৬৯ | ||||
মৃত্যু | ১৯ অক্টোবর ১৮২৭ | ||||
| |||||
প্রাসাদ | নিশাপুরি | ||||
পিতা | দ্বিতীয় সাদাত আলি খান | ||||
ধর্ম | ইসলাম |
গাজিউদ্দিন হায়দার শাহ (হিন্দি: ग़ाज़िउद्दीन हैदर शाह উর্দু:غازی الدیں حیدر شاہ) (১৭৬৯ – ১৯ অক্টোবর ১৮২৭) ছিলেন আওধের শেষ নবাব উজির[১] এবং প্রধম বাদশাহ।[১] তিনি ১১ জুলাই ১৮১৪ থেকে ১৯ অক্টোবর ১৮১৮ সাল পর্যন্ত নবাব[২] এবং ১৯ অক্টোবর ১৮১৮ থেকে ১৯ অক্টোবর ১৮২৭ পর্যন্ত বাদশাহ ছিলেন[২][৩][৪]
গাজিউদ্দিন ছিলেন নবাব দ্বিতীয় সাদাত আলি খানের তৃতীয় পুত্র।[৫] পিতার মৃত্যুর পর ১৮১৪ সালের ১১ জুলাই তিনি নবাব উজির হন। ১৮১৮ সালে ফোরট উইলিয়াম প্রেসিডেন্সির গভর্নর ওয়ারেন হেস্টিংসের প্রভাবে তিনি নিজেকে পাদশাহ-ই-আওধ ঘোষণা করেন। ১৮২৭ সালে লখনৌয়ের ফারহাত বখশ প্রাসাদে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এরপর তার পুত্র নাসিরউদ্দিন হায়দার শাহ সিংহাসনে বসেন।
গাজিউদ্দিন লখনৌয়ের বেশ কিছু স্থাপনা গড়ে তুলেছেন। তিনি ছতর মঞ্জিল নির্মাণ করেছেন। মোতি মহলে তিনি মুবারাক মঞ্জিল ও শাহ মঞ্জিল যুক্ত করেছেন। এছাড়াও তিনি তার বাবা সাদাত আলি খান ও মা মুশির জাদি বেগমের মাজার নির্মাণ করেছেন।[৫] নিজের ইউরোপীয় স্ত্রীর জন্য তিনি ইউরোপীয় শৈলীতে ভিলায়েত বাগ নির্মাণ করেছিলেন। তার নিজের মাজার শাহ নাজাফ ইমামবাড়া স্থাপনাটি ইরাকের নাজাফে অবস্থিত চতুর্থ খলিফা আলির মাজারের আদলে নির্মিত হয়েছে। তার তিন স্ত্রী সরফরাজ মহল, মুবারাক মহল ও মমতাজ মহলকেও এখানে দাফন করা হয়।
গাজিউদ্দিন ব্রিটিশ শিল্পী রবার্ট হোমকে দরবারের শিল্পী হিসেবে নিয়োগ দেন। ১৮২৮ সালে তার অবসরের পর আরেকজন ব্রিটিশ জর্জ ডানকান বিচে দরবারের শিল্পী হিসেবে নিয়োগ পান। ১৮১৫ সাল রাজা রতন সিং তার দরবারে যোগ দেন। গাজিউদ্দিনের প্রচেষ্টায় ১৮২১ সালে লখনৌয়ে রাজকীয় লিথো প্রিন্টিংপ্রেস স্থাপিত হয়। একই বছর এই প্রেস থেকে হাফত কুলজুম নামে দুইখন্ডের ফারসি অভিধান ও ব্যাকরণ প্রকাশিত হয়।
নিজেকে বাদশাহ ঘোষণার পর মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলমের পরিবর্তে তিনি নিজের নামে মুদ্রা চালু করেন।[৬]
পূর্বসূরী দ্বিতীয় সাদাত আলি খান |
আওধের নবাব উজির আল-মামালিক ১১ জুলাই ১৮১৪ – ১৯ অক্টোবর ১৮১৮ |
উত্তরসূরী বিলুপ্ত |
পূর্বসূরী নতুন দপ্তর |
পাদশাহ-ই-আওধ, শাহ-ই-জামান ১৯ অক্টোবর ১৮১৮ – ১৯ অক্টোবর ১৮২৭ |
উত্তরসূরী নাসিরউদ্দিন হায়দার শাহ |
উদ্ধৃতি ত্রুটি: "nt" নামক গ্রুপের জন্য <ref>
ট্যাগ রয়েছে, কিন্তু এর জন্য কোন সঙ্গতিপূর্ণ <references group="nt"/>
ট্যাগ পাওয়া যায়নি