মূল উদ্ভাবক | গ্নু প্রকল্প |
---|---|
উন্নয়নকারী | গানোম প্রকল্প |
প্রাথমিক সংস্করণ | ৩ মার্চ ১৯৯৯[১] |
রিপজিটরি | |
যে ভাষায় লিখিত | সি, এক্সএমএল, সি++, সি#, এইচটিএমএল, ভালা, পাইথন, জাভাস্ক্রিপ্ট, সিএসএস, এবং আরও[২] |
অপারেটিং সিস্টেম | ইউনিক্স-সদৃশ |
প্ল্যাটফর্ম | ওয়েল্যান্ড অথবা এক্স১১ |
উপলব্ধ | ৩৮টি ভাষায় |
ধরন | ডেস্কটপ পরিবেশ |
লাইসেন্স | জিপিএল সংস্করণ ২+[৩] |
ওয়েবসাইট | www |
গানোম (ইংরেজি: GNOME)[৫][৬] পরিপূর্ণ ফ্রি ও ওপেন সোর্স সফটওয়্যারের সম্মিলনে নির্মিত ইউনিক্স-সদৃশ অপারেটিং সিস্টেমসমূহের জন্যে একটি ডেস্কটপ এনভায়রনমেন্ট।[৭]
"গ্নু নেটওয়ার্ক অবজেক্ট মডেল এনভায়রনমেন্ট"-এর সংক্ষিপ্ত রূপ হিসেবে গানোম নামটি আসে। কিন্তু পরবর্তীতে গানোমের নতুন দর্শনের সাথে মিল না থাকার কারণে, এ পূর্ণরূপ ত্যাগ করা হয়।[৮]
গ্নু প্রকল্পের অংশ হিসেবে গানোম প্রকল্প দ্বারা গানোম উন্নয়ন করা হয়।[৯] দ্য গানোম প্রজেক্ট সেচ্ছাসেবী ও বেতনভূক্ত কর্মচারী উভয়ের সমন্বয়েই গঠিত।[১০][১১]সফটওয়্যার উন্নয়নের জন্যে সফটওয়্যার ফ্রেমওয়ার্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে গঠিত গানোম প্রকল্প একটি আন্তর্জাতিক প্রকল্প।
বিভিন্ন প্রধান লিনাক্স ডিস্ট্রোর ডিফল্ট ডেস্কটপ পরিবেশ গানোম, যে তালিকায় নাম আছে ফেডোরা, ডেবিয়ান, উবুন্টু, সুয্যে লিনাক্স, রেড হ্যাট এন্টারপ্রাইজ লিনাক্স, কালি লিনাক্সসহ অনেক জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেমের। সোলারিস, ইউনিক্সেরও এটি ডিফল্ট ডেস্কটপ পরিবেশ।
গানোম দুটো ভিন্ন লগইন সেশনে পাওয়া যায়। একটি গানোম প্যানেল ও মেটাসিটি (উইন্ডো ম্যানেজার) ভিত্তিক, যেটি আবার সুয্যে লিনাক্স এন্টারপ্রাইজ, রেড হ্যাট এন্টারপ্রাইজ লিনাক্স, সেন্টওএস, ওরাকল লিনাক্স, সায়েন্টিফিক লিনাক্স এবং সোলারিসের ডিফল্ট সেশন। এর স্টেবলিটি ও ডেস্কটপ-ফ্রেন্ডলি ইউজার এক্সপেরিয়েন্সের জন্যেই মূলত এর এত জনপ্রিয়তা, একে গানোম ফ্ল্যাশব্যাক বা গানোম ক্লাসিকও বলা হয়। অন্যটি গানোম শেল ও মাটার (উইন্ডো ম্যানেজার]]-ভিত্তিক। এ সেশনের মোবাইল ফ্রেন্ডলি ব্যবহারকারী ইন্টারফেস এবং ইউএক্স রয়েছে। এটি সাধারণত তুলনামূলক বেশি র্যাম ও সিপিইউ ব্যবহার করে, গানোম শেল ও এক্সটেনশনের জন্যে জাভাস্ক্রিপ্ট ব্যবহারের কারণে।
“ | গ্নোম প্রকল্প মূলত দুইটি দিক নিয়ে কাজ করে। একটি হলো ডেস্কটপ কম্পিউটার ব্যবহারকারীকে একটি আকর্ষণীয় ও কার্যকর গ্নোম ডেস্কটপ এনভায়রনমেন্ট দেওয়া। আর অন্যটি হচ্ছে ডেস্কটপের অন্যান্য কাজের অ্যাপ্লিকেশন তৈরির লক্ষ্যে বর্ধিত ফ্রেমওয়ার্কের জন্য গ্নোম ডেভলপমেন্ট প্ল্যাটফর্ম সরবরাহ করা। | ” |
— গ্নোম ওয়েবসাইট[১২]
|
গানোম মূলত সরলতা, ব্যবহারযোগ্যতা এবং সহজে কাজ করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে। এই প্রকল্পের অন্যান্য উদ্দেশ্য হচ্ছে:
১৯৯৬ সালে মুক্ত সফটওয়্যার হিসেবে কেডিইর যাত্রা শুরু হলেও গ্নু প্রকল্পের সাথে জড়িতরা কেডিইতে কিউটি উইজেট টুলকিট ব্যবহারকে সন্দেহের চোখে দেখছিলেন কারণ কিউটি মুক্ত সফটওয়্যারের আওতায় পড়ে না। ১৯৯৭ সালের আগস্টে দুটি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়, একটি হচ্ছে কিউটি লাইব্রেরির উন্মুক্ত বিকল্প হারমোনি এবং দ্বিতীয়টি হলো গানোম যেটি কিউটি ব্যবহার করে না, কিন্তু ফ্রি সফটওয়্যারে বহুলভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। [১৪] গানোম প্রকল্পের প্রাথমিক পর্যায়ে নেতৃত্ব দেন মিগুয়েল ডি কাজা এবং ফেডেরিকো মেনা।
কিউটি টুলকিটের বদলে গানোম ডেস্কটপের জন্য জিটিকে+ বেছে নেওয়া হয়। জিটিকে+ গ্নু লেসার জেনারেল পাবলিক লাইসেন্সের (এলজিপিএল) আওতায় একটি মুক্ত সফটওয়্যার যেটি জিপিএল নয় এমন সফটওয়্যারগুলোর সাথে প্রোগ্রামের সংযোগ ঘটাতে পারে। গানোম প্রকল্পের অংশ হিসেবে গানোম ডেস্কটপকে এলজিপিএল এবং জিপিএল লাইসেন্সের আওতায় আনা হয়। গানোম প্যাকেজের টুলকিট এবং লাইব্রেরিকে এলজিপিএল লাইসেন্সের আওতায় আনার ফলে গানোমের জন্য স্বত্বসংরক্ষিত সফটওয়্যারসহ নানা ধরনের অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করা সহজ হয়ে পড়ে।[১৫]
১৯৯৮ সালে কিউটি মুক্ত সোর্সের আওতায় আসে। যেহেতু কিউটি কিউপিএল এবং জিপিএল উভয় লাইসেন্সের আওতায় কাজ করে, সুতরাং স্বত্বসংরক্ষিত সফটওয়্যারগুলোকে কোনো খরচ ছাড়াই জিটিকে+-এর সাথে যুক্ত করার বিষয়টি কিউটিতে আলাদাভাবে দেখা হয়। এলজিপিএল-এর আওতায় আসা সফটওয়্যারগুলো আসলে মুক্ত সফটওয়্যার দর্শনের বিপরীতে কাজ করে যা সফটওয়্যার নির্মাতাদের জন্য যথেষ্ট অসুবিধাজনক। অন্যদিকে জিপিএল লাইসেন্সের আওতায় লাইব্রেরিগুলো সফটওয়্যার নির্মাতাদের উন্মুক্ত ব্যবহারের সুবিধা দেয়, যেটা স্বত্ত্বকৃত সফটওয়্যার নির্মাতারা পায় না।[১৬] ২০০০ সালের শেষ দিকে হারমোনি প্রকল্প বন্ধ করে দিতে হয়। অপরদিকে মুক্ত সোর্স লাইব্রেরি ব্যবহারের কারণে কেডিই প্রজেক্ট বন্ধ করতে হয় নি। অন্তত ২০০৯ সাল পর্যন্ত গানোম প্রজেক্ট বন্ধ হবে না।
কিউটির জন্য এলজিপিএল লাইসেন্সের মেয়াদ আপাতত ২০০৯ সালে মার্চ মাস পর্যন্ত রয়েছে।
অবজেক্ট অ্যাকটিভেশন ফ্রেমওয়ার্ক এবং অরবিটের অন্যতম লেখক এলিয়ট লি গ্নু নেটওয়ার্ক অবজেক্ট মডেল এনভায়রনমেন্টের সংক্ষিপ্তরূপ হিসেবে গানোম (GNOME) নামটি প্রস্তাব করেন। এটি বুঝায় যে গানোমের মূল উদ্দেশ্য মাইক্রোসফটের ওএলইর মতো একটি অবজেক্ট ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করা।[১৭] তবে উপর্যুক্ত উদ্দেশ্য মূল গানোম প্রকল্পের ওপর খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারে নি। যে কারণে গানোম তার মূল উদ্দেশ্য নিয়ে ভালোভাবেই চলছে। উদ্দেশ্য অনুযায়ী নামকরণের জন্য বর্তমানে গানোমের কিছু সদস্য গানোমের নাম পরিবর্তন করে গানোমের (GNOME) বদলে গানোম (Gnome) রাখার পক্ষপাতী। [১৮]
গানোম ৩-এর ব্যবহারকারী ইন্টারফেস ডিজাইনে মডার্ন এপ্রোচ এবং নিচের এপ্লিকেশনগুলো রয়েছে:
অন্যান্য মুক্ত সফটওয়্যার প্রকল্পের মতো গানোম প্রকল্পও চলে ধীরগতিতে। সদস্যরা সাধারণ মেইলিং লিস্টের মাধ্যমে এ সম্পর্কিত আলাপ-আলোচনা চালায়।[১৯]
২০০০ সালের আগস্টে গানোম ফাউন্ডেশন গঠিত হয় যার মূল কাজ প্রশাসনিক কাজ সম্পন্ন করা এবং যে সমস্ত সংস্থা বা সংগঠন গানোম সফটওয়্যার উন্নয়নে কাজ করতে চায় তাদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করা। গানোমের কারিগরি বিষয়গুলো নিয়ে কাজ না করলেও ফাউন্ডেশন গানোমের সংস্করণ এবং প্রজেক্টের কোন কোন বিষয় বা উপাদান গানোমের অংশ হতে পারে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। যারা এই প্রজেক্টের উদ্দেশ্য অনুসারে কাজ করেন তাদের যে কেউ ফাউন্ডেশনের সদস্য হতে পারেন।[২০] প্রতি বছরের নভেম্বর ফাউন্ডেশনের সদস্যরা নিজেদের মধ্য থেকে ফাউন্ডেশন পরিচালনার জন্য একটি পরিচালক বোর্ড নির্বাচিত করেন।
এছাড়া গানোমের বর্তমান অবস্থা এবং ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে আলোচনার জন্য প্রতি বছর সদস্য এবং ব্যবহারকারীরা সাধারণ সভায় মিলিত হয় যেটিকে GUADEC বলা হয়ে থাকে।[২১] গানোম প্রায়ই freedesktop.org থেকে নিজেদের জন্য প্রয়োজনীয় স্ট্যান্ডার্ডগুলো গ্রহণ করে থাকে। পাশাপাশি এটি অন্যদের সাথে সহযোগিতা ও প্রতিযোগিতাকেও উৎসাহিত করে যাতে কাজের মান উন্নত হয়।
বিভিন্ন ধরনের প্রজেক্ট বা প্রকল্প থেকেই গানোম তৈরি করা হয়েছে। সেগুলোর কয়েকটির নাম এখানে উল্লেখ করা হলো:
অ্যাপ্লিকেশন লেখার জন্য সি++ (জিটিকেএমএম), জাভা (জাভা-গানোম), রুবি (রুবি-গানোম২), সি#, (জিটিকে#), পায়থন (পাইজিটিকে), পার্ল (জিটিকে২-পার্ল) এবং আরো অন্যান্য প্রোগ্রামিং ভাষা রয়েছে। তবে বর্তমানে গানোম ডেস্কটপের জন্য সি, সি# এবং পায়থন অফিসিয়ালি ব্যবহার করা হচ্ছে।[২২]
কম্পিউটারের প্রচলিত ডেস্কটপ পরিবেশকে প্রাধান্য দিয়ে গানোম ডিজাইন করা হয়েছে। এটি অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেমের মতোই উইন্ডোজ, অ্যাপ্লিকেশন এবং বিভিন্ন ফাইলের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে। এতে একটি লাঞ্চার আছে যা দিয়ে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন বা ফাইল দ্রুত খোলা যায় কিংবা কোনো ড্রাইভ বা লোকেশনে খুব তাড়াতাড়ি যাওয়া যায়। এর টাস্কবারটি সাধারণত উপরে বা নিচে থাকে, যেখানে বিভিন্ন প্রোগ্রাম বা অ্যাপ্লিকেশন একসাথে পাওয়া যায়। তবে ব্যবহারকারী ইচ্ছে করলে টাস্কবার বা অন্যান্য অ্যাপ্লিকেশন কোথায় থাকবে তা নিজের মতো করে সাজিয়ে নিতে পারেন। পাশাপাশি কোন অ্যাপ্লিকেশন থাকবে, বা কোনটি থাকবে না, সেগুলোও ব্যবহারকারীর প্রয়োজনমতো সাজিয়ে নিতে পারেন। তাছাড়া কোনো প্রোগ্রাম বা অ্যাপ্লিকেশন বাদ দিতে হলে বা নতুনভাবে যুক্ত করতে হলেও সেটা এখানে করা সম্ভব।
ডিফল্ট উইন্ডো ম্যানেজার হিসেবে গানোম মূলত মেটাসিটি ব্যবহার করে থাকে। থিম, আইকন, উইন্ডো ম্যানেজ বর্ডার বা জিটিকে+ থিম ইঞ্জিন ও প্যারামিটার ইত্যাদি সবই ব্যবহারকারী বদলে নিতে পারেন। বর্তমানে ব্লুকার্ভ ও ক্লিয়ারলুকস (ডিফল্ট থিম) সবচাইতে বেশি ব্যবহৃত দুটো জনপ্রিয় জিটিকে+ থিম।
গানোম মূলত ব্যবহারকারী যাতে সহজে ব্যবহার করতে পারে সেদিকে গুরুত্ব দেয়। গানোম ইন্টারফেস বা অ্যাপ্লিকেশনগুলো কীভাবে সহজ-সাধারণ হবে, এ বিষয়ে গানোমের নির্মাতারা এইআইজি থেকে সাহায্য পেয়ে থাকে।
গানোম ২.০ সংস্করণ পর্যন্ত এই প্রজেক্টের একটি বড় লক্ষ্য ছিলো ব্যবহারযোগ্যতা বাড়ানো। যে কারণে গানোম হিউম্যান ইন্টারফেস গাইডলাইন (এইচআইজি) তৈরি করা হয়েছিলো যেটি অ্যাপ্লিকেশনগুলোর গুণগত মান, জিইউআই প্রোগ্রামের স্থিতি ও স্থায়িত্ব, সহজে ব্যবহার এবং পিক্সেলভিত্তিক লেআউটের ব্যবহার নিশ্চিত করার কাজে ব্যবহৃত হতো।
গানোম ২.০ সংস্করণটি যখন তৈরি করা হচ্ছিলো, তখন দেখা গেলো অনেক সেটিংসই খুব কম ব্যবহৃত হয় এবং অধিকাংশ ব্যবহারকারীর কাছে সেগুলোর কোনো গুরুত্ব নেই। ফলে সেগুলো বাদ দেওয়া হয়। যেমন, প্যানেলের প্রেফারেন্স সেকশনটিকে ছোট করা হয় সেখানকার ছয়টি ট্যাবের বদলে দুটি ট্যাব রেখে। ফ্রি সফটওয়্যার ইউআই-এর লেখক হ্যাভক পেনিংটন মনে করেন, প্রত্যেক প্রেফারেন্সের একটি মূল্য বা গুরুত্ব রয়েছে। ফলে সেখানকার সফটওয়্যারগুলো ভেঙে সেখানে নতুন করে ইউআই প্রেফারেন্স যুক্ত করা উচিত। [২৩]
এটা কাউকে আহত করে? অবশ্যই। এটা কিছু খরচপাতির কথা মনে করিয়ে দেয়। অবশ্যই যখন আপনি কোনো কিছুর পেছনে খরচ করবেন, তখন সেটির মূল্য সম্পর্কেও সজাগ থাকবেন আপনি। কিন্তু গ্রাহকেরা আসলে এখানে খরচ করেও সে অনুযায়ী সেটির মূল্যমান বুঝতে পারছে না বা উপভোগ করতে পারছে না।
কেউ কেউ মনে করেন গানোমের আরও ফাংশনাল হওয়া উচিত। তাদের একজন হলেন লিনাক্স কার্নেল-এর জনক লিনুস তোরভাল্দ্স। গানোমের ব্যবহার সংক্রান্ত মেইলিং লিস্টের আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।[২৪]
গ্নোমের 'ব্যবহারকারীরা আসলে বোকা' মনে করার মানসিকতাটা আসলে একটা রোগ। কেউ যদি মনে করে তার পণ্যের ব্যবহারকারীরা বোকা, তাহলে শুধু বোকারাই এটা ব্যবহার করবে। আমি গ্নোম ব্যবহার করি না। কারণ এটা সহজ করার জন্য দীর্ঘ সময় লাগছে এবং আমাদের চাহিদাও তারা বুঝতে পারছে না। মানুষকে বরং কেডিই ব্যবহার করতে বলুন।
যদিও, সাম্প্রতিককালে লিনুস তোরভাল্দ্স কেডিই এর ৩য় সংস্করণ থেকে সংস্করণ ৪.০ এ আপগ্রেড করতে অনীহা প্রকাশ করেন , এবং পুনরায় গানোম ব্যবহার করতে শুরু করেন।E:[২৫]
আমি কেডিই ব্যবহার করলেও কেডিই ৪.০-কে পছন্দ হয় নি। ফলে এখন গ্নোম ব্যবহার করছি।
গানোম প্রজেক্টের আওতায় অনেকগুলো উপপ্রকল্প রয়েছে। তবে সবগুলোই বর্তমান গানোম রিলিজের আওতায় আসে নি। কিছু কিছু পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে বা এমন অবস্থায় রয়েছে যেগুলো শিগগিরই গানোমে যুক্ত হবে। কিছু কিছুর উন্নতি করা হচ্ছে।
গানোম ১ ও ২ এ ঐতিহ্যবাহী ডেস্কটপ অলংকারকেই অনুসরণ করতে দেখা যায়। ২০১১ সালে মুক্তি পাওয়া গানোম ৩ গানোম শেলের মাধ্যমে এটাতে পরিবর্তন আনে, যেখানে ভিন্ন ভিন্ন টাস্ক ও ভার্চুয়াল ডেস্কটপের মধ্যে স্থানান্তর ভিন্ন একটা জায়গা 'ওভারভিউ'-তে হয়। আর যেহেতু মাটার উইন্ডো ম্যানেজার মেটাসিটি উইন্ডো ম্যানেজারকে প্রতিস্তাপিত করেছে, মিনিমাইজ এবং ম্যাক্সিমাইজ বাটন ডিফল্টভাবে এখন আর থাকে না, আর ক্লায়েন্ট-সাইড ডেকোরেশন মেকানিজমের মাধ্যমে মেনুবার এবং টুলবার হেডার বার নামে একটি শায়িত বারে সম্মিলিতভাবে উপস্থিত হয়। ক্লিয়ারলুকের বদলে আদওয়াইতা এখন ডিফল্ট থিম।[২৬] অনেক গানোম কোর অ্যাপলিকেশনেও বেশ পরিবর্তন এসেছে।
উইকিমিডিয়া কমন্সে গানোম সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন।
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; gnome1
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি