ব্যক্তিগত তথ্য | |||
---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | গাব্রিয়েল ফারনান্দো ডি জেসুস | ||
জন্ম | [১] | ৩ এপ্রিল ১৯৯৭||
জন্ম স্থান | সাও পাওলো, ব্রাজিল | ||
উচ্চতা | ১.৭৭ মিটার (৫ ফুট ৯+১⁄২ ইঞ্চি) | ||
মাঠে অবস্থান | ফরোয়ার্ড | ||
ক্লাবের তথ্য | |||
বর্তমান দল | আর্সেনাল | ||
জার্সি নম্বর | ৯ | ||
যুব পর্যায় | |||
২০১০-২০১২ | আনহেনগুয়েরা | ||
২০১৩-২০১৫ | পালমিরাস | ||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | |||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) |
২০১৫-২০১৬ | পালমিরাস | ৪৭ | (১৬) |
২০১৭– | আর্সেনাল | ৫৯ | (২৬) |
জাতীয় দল‡ | |||
২০১৫- | ব্রাজিল অনূর্ধ্ব-২০ | ১০ | (২) |
২০১৫– | ব্রাজিল অনূর্ধ্ব-২৩ | ১১ | (৫) |
২০১৬– | ব্রাজিল | ২২ | (১০) |
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে এবং ১৮:৫০, ১৩ মে ২০১৮ (ইউটিসি) তারিখ অনুযায়ী সকল তথ্য সঠিক। ‡ জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা ২০:০৭, ০৬ জুলাই ২০১৮ (ইউটিসি) তারিখ অনুযায়ী সঠিক। |
গাব্রিয়েল ফারনান্দো ডি জেসুস (জন্ম ৩ এপ্রিল ১৯৯৭) একজন ব্রাজিলিয়ান পেশাদার ফুটবলার যিনি প্রিমিয়ার লিগের দল ম্যানচেস্টার সিটিতে ফরোয়ার্ড হিসেবে খেলেন।[২] জেসুস ব্রাজিলিয়ান লিগের ক্লাব পালমিরাসে তার ক্যারিয়ার শুরু করে। তিনি ২০১৫ সালে ব্রাজিলিয়ান লিগে বর্ষসেরা নবাগত খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেন এবং পালমিরাসকে কোপা ডো ব্রাজিল জেতাতে সহায়তা করেন। ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে খেলবেন। ম্যানচেস্টার সিটি তাকে দলে ভেড়াতে €৩২ মিলিয়ন ইউরো খরচ করে।[৩] আন্তর্জাতিক ফুটবলে ব্রাজিলের হয়ে ২০১৫ ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপে রানার্স-আপ এবং ২০১৬ অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জিতেন।[৪]
২০১৩ সালের ১ জুলাইতে পালমিরাস যুবদলে যোগ দেন। সেই বছর ৪৮ ম্যাচে ৫৪ গোল দিয়ে ক্লাবের সর্বোচ্চ গোলদাতা নির্বাচিত হন।
২০১৪ সালে রাজ্য অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়েন্সিপে পালমিরাসের হয়ে ২২ ম্যাচে ৩৭ টি গোল দেন।[৫] ২০১৪ সালের ২৭ আগস্ট তিনি পালমিরাসের সিনিয়র দলে খেলার সুযোগ পান, বদলি হিসেবে নেমে ক্লাব এথলেটিকো মিনেরিওর বিপক্ষে ঘরের মাঠে ১-০ গোলে পরাজিত হন।[৬]
২০১৫ সালের ৭ মার্চে সিএ ব্রাগান্টিনোর বিপক্ষে ৭৩ মিনিটে লিয়েনার্দো পেরেইরা বদলি হিসেবে নেমে ১-০ গোলে ম্যাচ জিতে।
২৯ এপিল দ্যা ইয়ার কাপে দ্বিতীয় পর্বের সেকেন্ড লেগে সাম্পাইয়োর বিপক্ষে ম্যাচের মাধ্যমে পালমিরাসের হয়ে প্রথমবারের মত একাদশে সুযোগ পায়। ম্যাচটিতে ১-১ গোলে ড্র হয় (৬-২ এগ্রিগেট)। ৯ মে লিগে এথলেটিকোর মিনেরোর বিপক্ষে অভিষেক হয় হয়, মোউসুমের প্রথম ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়।
জেসুস তার প্রথম পেশাদার গোলটি করেন স্পোর্টিভা আরাপিরাকুয়েন্সের বিপক্ষে ১৫ জুলাইয়ে। ৩০ আগস্ট জেসুস নিজের প্রথম লিগ গোল করেন, ম্যাচের পুরো সময় খেলে জয়েনভিল এস্পোর্টের ক্লাবের বিপক্ষে ৩-২ গোলে বিজয়ী হয় পালমিরাস, ম্যাচের প্রথম গোলটি করেন মাত্র ৫২ সেকেন্ডে।
২০ ম্যাচে ৪ গোল এবং শিরোপা জেতার সাথে জেসুস নিজের প্রথম মৌসুম শেষ করেন, তবে কাপ ফাইনালে সান্তোসের কাছে হেরে যায় তার দল পালমিরাস। সেই বছর তিনি লিগের উদীয়মান খেলোয়াড়ের পুরস্কার লাভ করেন।
২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি, জেসুস পোউলিস্টার বিপক্ষে মৌসুমের প্রথম গোল করেন, ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়।[৭] ১২ দিন পর উরুগুয়েতে কন্টিনেন্টাল টুর্নামেন্টে নিজের প্রথম গোল করেন, কোপা রিবার্তোরেসের উদ্বোধনী ম্যাচে রিভার প্লেটের বিপক্ষে ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়।
১৪ মে জাতীয় লিগের ১ম ম্যাচে ক্লাব এথলেটিকো পেরানেন্সের বিপক্ষে জেসুসের দেয়া জোড়া গোলের সুবাদে ৪-০ গোলের বিশাল জয় পায় পালমিরাস।[৮] সেই মৌসুমে জাতীয় লিগে জেসুস ১২ টি গোল দেন এবং মৌসুমের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন। পালমিরাস ১৯৯৪ সালের পর সেবার প্রথম লিগ শিরোপা লাভ করে।[৯]
২০১৬ সালের ৩ আগস্ট, জেসুস প্রিমিয়ার লিগের দল ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দেয়।[১০] চুক্তির মেয়াদ ছিল ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের গ্রীষ্ম পর্যন্ত।[১১] সিটি তাকে দলে ভেড়াতে ২৭ মিলিয়ন ইউএস ডলার খরচ করে। এই দলবদল প্রক্রিয়াটি ২০১৭ সালের ১৯ শে জানুয়ারিতে সমাপ্ত হয়। ২১ জানুয়ারিতে প্রিমিয়ার লিগে তার অভিষেক হয়, ২-২ গোলে ড্র হওয়া টটেনহামের বিপক্ষে ম্যাচের ৮২ মিনিটে রাহিম স্টারলিং এর বদলি হিসেবে নামেন।[১২] এক সপ্তাহ পর প্রথমবারের মত মূল একাদশে জায়গা পান, এফএ কাপে ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে ম্যাচটিতে তার দেয়া একটি এসিস্টের সুবাদে ৩-০ গোলে জয় পায় ম্যানসিটি।[১৩] ১ ফেব্রুয়ারিতে ওয়েস্ট হামের বিপক্ষে প্রিমিয়ার লিগে ১ম বার মূল একাদশে সুযোগ পান, আগুয়েরোর বদলে নেমে ১৭ মিনিটে কেভিন ডি ব্রুইনকে এসিস্ট এবং ৩৯ মিনিটে গোল দেন।[১৪]
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; SW
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি