ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | গারেথ রোহন ব্রিস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | মন্টেগো বে, সেন্ট জেমস পারিশ, জ্যামাইকা | ৯ জানুয়ারি ১৯৭৬|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | ব্রিজি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি (১.৭৩ মিটার) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি অফ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | অল-রাউন্ডার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
একমাত্র টেস্ট (ক্যাপ ২৪৪) | ১৭ অক্টোবর ২০০২ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৬ - ২০০৬ | জ্যামাইকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৪ - ২০১৪ | ডারহাম (জার্সি নং ৭০) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০ |
গারেথ রোহন ব্রিস (ইংরেজি: Gareth Breese; জন্ম: ৯ জানুয়ারি, ১৯৭৬) সেন্ট জেমসের মন্টেগো বে এলাকায় জন্মগ্রহণকারী জ্যামাইকীয় বংশোদ্ভূত সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০০-এর দশকের সূচনালগ্নে অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে জ্যামাইকা ও ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ডারহাম দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে অফ ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন গারেথ ব্রিস।
কিংস্টনের উলমারস বয়েজ স্কুলে অধ্যয়ন করেছেন তিনি।[১] মন্টেগো বে এলাকায় জন্মগ্রহণকারী গারেথ ব্রিস ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে অনূর্ধ্ব-১৯ দলে পক্ষে খেলেন। এরপর, ১৯৯৫-৯৬ মৌসুমের রেড স্ট্রাইপ কাপে জ্যামাইকা দলে তাকে খেলানো হয়। ২০০১-০২ মৌসুমের বুস্টা কাপ প্রতিযোগিতায় বেশ সফল হন। জ্যামাইকার পক্ষ অফ স্পিন বোলিং করে ৪৪ উইকেট দখল করেন। তন্মধ্যে, বার্বাডোসের বিপক্ষে সেমি-ফাইনালে ৭/৬০ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন। ঐ খেলায় তার দল জয়লাভ করেছিল। এছাড়াও, নিচেরসারির মারকূটে ব্যাটসম্যান হিসেবে সাড়ে তিনশতের অধিক রান সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন। এপ্রিলে সফররত ভারতীয় একাদশের বিপক্ষে বুস্টা একাদশের সদস্যরূপে খেলেন ও সফরকারীদেরকে ১৫০ রানে গুটিয়ে দিতে প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন।
১৯৯৫-৯৬ মৌসুম থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত গারেথ ব্রিসের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। জ্যামাইকা দলের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন। ২০০২-০৩ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে টেস্ট ক্যাপ লাভ করেন। অফ স্পিনার, মারকূটে অল-রাউন্ডার হিসেবে ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী ছিলেন। ডারহাম দলের প্রধান আক্রমণ পরিচালনাকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। বিশেষ করে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তিনি অধিক সফল ছিলেন।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন গারেথ ব্রিস। ১৭ অক্টোবর, ২০০২ তারিখে চেন্নাইয়ে স্বাগতিক ভারত দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। এরপর আর তাকে কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি। তাকে কোন ওডিআইয়ে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেয়া হয়নি।
২০০২ সালে একটিমাত্র টেস্টে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। চেন্নাইয়ের এম. এ. চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে স্বাগতিক ভারত দলের বিপক্ষে খেলেন। স্পিন বোলার হিসেবে খেলেন। দুই ইনিংসে সবমিলিয়ে পাঁচ রান ও দুই উইকেট লাভ করেন তিনি। তবে, ৩১ ওভারে তাকে ১৩৫ রান খরচ করতে হয়েছিল।
ঘরোয়া ক্রিকেটে সুন্দর ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ গায়ানায় অনুষ্ঠিত সিরিজের প্রথম টেস্টে তাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সদস্যরূপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তবে, তার টেস্ট অভিষেক পর্ব ছয় মাস পর সম্পন্ন হয়। এ পর্যায়ে অক্টোবর, ২০০২ সালে ভারতে ফিরতি সফরে চেন্নাই টেস্টে অংশ নেন। কিন্তু, তার নিষ্প্রাণ অফ স্পিন বোলিং কেবলমাত্র একদিনের ক্রিকেটের জন্যে উপযোগী ছিল। বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে তাকে পরে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কিন্তু, কোন খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হয়নি।
জ্যামাইকা ও ডারহামের পক্ষে শতাধিক প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নেন। ২০০৪ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ডারহামের প্রতিনিধিত্ব করেন।[২] ব্রিটিশ পাসপোর্ট ধারণ করায় অ-বিদেশী খেলোয়াড় হিসেবে খেলার অধিকার লাভ করেন। ২০০৫ সালে ডারহামের পক্ষে ৩১ উইকেট নিয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীতে পরিণত হন। এরফলে, কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে দ্বিতীয় বিভাগ থেকে তার দলকে উত্তরণ ঘটান।
কার্যকরী ব্যাটসম্যান হিসেবেও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছেন তিনি। সাত ও আট নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে কয়েকটি অর্ধ-শতরানের ইনিংস খেলেন। তন্মধ্যে, টানটনের কাউন্টি গ্রাউন্ডে ২৪৩ রানের জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় নেমে তার দল ৯৮/৪ সংগ্রহ দাঁড় করান। ৭৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে জয় এনে দেন তিনি।
২০০৩ সালের শেষদিকে ডারহাম দলে অ-বিদেশী খেলোয়াড় হিসেবে যুক্ত হন। এরপর থেকে তাকে কাউন্টি দলে নিয়মিতভাবে খেলতে দেখা যেতো। কিন্তু, ২০১১ ও ২০১২ সালের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের খেলায় তাকে অনিয়মিতভাবে দলে রাখা হয়। পরবর্তীতে, ডারহাম দ্বিতীয় একাদশের পরামর্শক হিসেবে পরবর্তী প্রজন্মের খেলোয়াড়দেরকে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করছেন। এছাড়াও, ডারহামের টুয়েন্টি২০ ও ৪০-ওভারের খেলায় গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসেবে অংশ নিতে থাকেন।
বেশ আনন্দঘন পরিবেশে ডারহামের খেলোয়াড়ী জীবনের সমাপ্তি ঘটান।[২][৩] লর্ডসে ২০১৪ সালের রয়্যাল লন্ডন ওয়ান-ডে কাপের চূড়ান্ত খেলায় ওয়ারউইকশায়ারের বিপক্ষে জয়সূচক রান করেন ও টাভার্ন স্ট্যান্ডে স্বীয় পরিবারের সাথে আনন্দে মেতে উঠেন।