ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | গারেথ জেমস হপকিন্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | লোয়ার হাট, ওয়েলিংটন, নিউজিল্যান্ড | ২৪ নভেম্বর ১৯৭৬|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | উইকেট-রক্ষক-ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২৪০) | ৫ জুন ২০০৮ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২০ নভেম্বর ২০১০ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক | ২৯ জুন ২০০৪ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ১ জুলাই ২০০৮ বনাম আয়ারল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই শার্ট নং | ৪৮ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টি২০আই অভিষেক (ক্যাপ ২৭) | ২৩ নভেম্বর ২০০৭ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টি২০আই | ২৩ মে ২০১০ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১ মে ২০২০ |
গারেথ জেমস হপকিন্স (ইংরেজি: Gareth Hopkins; জন্ম: ২৪ নভেম্বর, ১৯৭৬) ওয়েলিংটনের লোয়ার হাট এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০৪ থেকে ২০১০ সময়কালে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে অকল্যান্ড, ক্যান্টারবারি, নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টস, ওতাগো ও সাউথ আইল্যান্ড দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে ব্যাটিং করতেন গারেথ হপকিন্স।[১][২]
১৯৯৭-৯৮ মৌসুম থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত গারেথ হপকিন্সের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল।
জাতীয় পর্যায়ে যুব দলের পক্ষে খেলেছেন তিনি। নর্দার্ন ডিস্টিক্টস থেকে ক্যান্টারবারি ও তারপর ওতাগোয় চলে যান। ঐ দলগুলোয় মূলতঃ উইকেট-রক্ষণে নিয়োজিত থাকতেন। লড়াকু ব্যাটিংশৈলীর কারণে বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী আসরে নিউজিল্যান্ড দলের সদস্য হন। তবে, ঐ প্রতিযোগিতায় তিনি কোন খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাননি।
২০০৭-০৮ মৌসুমে আবারও দল পরিবর্তন করেন। ওতাগো থেকে অকল্যান্ডের দিকে ধাবিত হন। তার পরিবর্তে ক্যান্টারবারি থেকে ব্রেন্ডন ম্যাককুলামকে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। অথচ, ২০০৬-০৭ মৌসুমের গ্রীষ্মকালে ওতাগোর পক্ষে তিনি পাঁচটি প্রথম-শ্রেণীর শতরানের ইনিংস খেলেছিলেন। ২০১০-১১ মৌসুমে অকল্যান্ড দলের একদিনে ও টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতায় শিরোপা বিজয়ে প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে চারটিমাত্র টেস্ট ও পঁচিশটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন গারেথ হপকিন্স। ৫ জুন, ২০০৮ তারিখে নটিংহামে স্বাগতিক ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২০ নভেম্বর, ২০১০ তারিখে নাগপুরে স্বাগতিক ভারত দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
২০০৪ সালে ইংল্যান্ড সফরে ব্রেন্ডন ম্যাককুলামের বিকল্প উইকেট-রক্ষক হিসেবে নিউজিল্যান্ড দলে খেলার জন্যে অন্তর্ভুক্ত হন। ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ন্যাটওয়েস্ট সিরিজ থেকে ব্রেন্ডন ম্যাককুলাম দেশে ফিরে আসলে তিনি পাঁচটি ওডিআইয়ে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। চার বছর পর ব্রেন্ডন ম্যাককুলামের আঘাতপ্রাপ্তির ফলে তাকে পুনরায় দলে ফিরিয়ে আনা হয়। ট্রেন্ট ব্রিজে তার অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ২০০৭ সালের পূর্ব-পর্যন্ত মাঝখানের বছরগুলোয় তাকে মাঠের বাইরে অবস্থান করতে হতো।
চ্যাপেল-হ্যাডলি একদিনের সিরিজের মাধ্যমে পুনরায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফিরে আসেন। এ পর্যায়ে দুইটি খেলায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি। সিরিজের দ্বিতীয় ও হপকিন্সের প্রথম খেলাটি বৃষ্টিবিঘ্নিত ছিল। ৩০/৩ থাকা অবস্থায় খেলাটি পরিত্যক্ত হয়। চূড়ান্ত খেলাটিতে অস্ট্রেলিয়া খুব সহজেই ১১৪ রানের ব্যবধানে জয় তুলে নেয়। হপকিন্স ১৭ বল মোকাবেলা করে ৯ রান তুলেছিলেন।
৫ জুন, ২০০৮ তারিখে ট্রেন্ট ব্রিজ টেস্টে অংশগ্রহণের মাধ্যমে গারেথ হপকিন্সের টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। নিয়মিত উইকেট-রক্ষক ব্রেন্ডন ম্যাককুলাম শুধুই ব্যাটসম্যানের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। খেলায় তিনি ২৭ রান ও ৩ ক্যাচ গ্লাভসবন্দী করেন। তবে, নিউজিল্যান্ড দল ইনিংস ব্যবধানে পরাজয়ের কবলে পড়ে।
ঘরোয়া আসরে চমৎকার খেলা উপহার দেন। ৮৫.৬৬ গড়ে ৫১৪ রান তুলে স্বীয় শক্তিমত্তার পরিচয় দেন। ফলশ্রুতিতে, তাকে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় নিয়ে আসা হয়। ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সাধারণমানের ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করায় এর বিরূপ প্রভাব পড়ে।
২০১১ সালে কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে তাকে বাদ দেয়া হয়। অতঃপর, এপ্রিল, ২০১৪ সালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে নিজের অবসর গ্রহণের কথা ঘোষণা করেন।