গালে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম

গালে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম
এসপ্লানাদে
২০১২ সালে গালে স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার সাথে পাকিস্তানের একটি ক্রিকেট খেলার দৃশ্য
স্টেডিয়ামের তথ্যাবলি
অবস্থানগালে, শ্রীলঙ্কা
দেশশ্রীলঙ্কা
প্রতিষ্ঠা১৮৭৬
ধারণক্ষমতা৩৫,০০০
স্বত্ত্বাধিকারীগালে ক্রিকেট ক্লাব
ভাড়াটেশ্রীলঙ্কা ক্রিকেট
গালে ক্রিকেট ক্লাব
প্রান্তসমূহ
সিটি এন্ড
ফোর্ট এন্ড
আন্তর্জাতিক খেলার তথ্য
প্রথম পুরুষ টেস্ট৩ জুন ১৯৯৮:
শ্রীলঙ্কা  বনাম  নিউজিল্যান্ড
সর্বশেষ পুরুষ টেস্ট১৬ জুলাই ২০১৪:
শ্রীলঙ্কা  বনাম  দক্ষিণ আফ্রিকা
প্রথম পুরুষ ওডিআই২৫ জুন ১৯৯৮:
শ্রীলঙ্কা  বনাম  ভারত
সর্বশেষ পুরুষ ওডিআই৬ জুলাই ২০০০:
শ্রীলঙ্কা  বনাম  দক্ষিণ আফ্রিকা
ঘরোয়া দলের তথ্য
গালে ক্রিকেট ক্লাব
১৭ জুলাই ২০১৪ অনুযায়ী
উৎস: Cricinfo

গালে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম (সিংহলি: ගාල්ල ජාත්‍යන්තර ක්‍රිකට් ක්‍රීඩාංගණය, তামিল: காலி பன்னாட்டு அரங்கம்) ভারত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলীয় বন্দর নগরী গালে এলাকায় অবস্থিত একটি আন্তর্জাতিকমানের ক্রিকেট স্টেডিয়ামগালে দূর্গের কাছাকাছি এলাকায় এ স্টেডিয়ামের অবস্থান। এর দুই দিক দিয়ে ভারত মহাসাগর প্রবাহিত হচ্ছে। বিশ্বের সর্বাপেক্ষা দর্শনীয় ক্রিকেট মাঠেগুলোর অন্যতম হিসেবে এ স্টেডিয়ামকে গণ্য করা হয়।[] আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা আয়োজনের উপযোগী করার পূর্বে স্টেডিয়ামটি এসপ্লানাদে নামে পরিচিত ছিল। গালে ক্রিকেট ক্লাবের প্রধান অনুশীলনী মাঠ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও, শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট কর্তৃপক্ষের পরিচালনায় স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের বিপক্ষে সফরকারী দল কিংবা বহুদলভিত্তিক ক্রিকেট প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয় এখানে।

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

১৮৭৬ সালে ঘোড়ার দৌঁড় প্রতিযোগিতা আয়োজনের উদ্দেশ্যে স্টেডিয়ামটি নির্মাণ করা হয়। ১৮৯২ সাল পর্যন্ত সেখানে বসার উপযোগী কোন স্থায়ী প্যাভিলিয়ন ছিল না। গালে মিউনিসিপ্যালিটির তৎকালীন সচিব পি এ টেম্পলারের উদ্যোগে গ্র্যান্ড স্ট্যান্ড নির্মিত হয়। একসময় ঘোড় দৌঁড় বন্ধ হয়ে গেলে মাঠটি ক্রিকেট খেলায় ব্যবহৃত হতে থাকে। ১৯২৭ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে মাঠটিকে ক্রিকেট স্টেডিয়াম হিসেবে ঘোষণা করা হয়। গালে ক্রিকেট মাঠের সচিব ধনপাল লরেন্সো হিউয়া’র নির্দেশনায় ১৯৪৫ সালে টার্ফ উইকেট বিছানো হয়। কলম্বো ক্রিকেট ক্লাবের জন্যও তার নির্দেশিত পন্থা অনুসরণ করা হয়।[] ২৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৪ তারিখে প্রথমবারের মতো প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলা এখানে অনুষ্ঠিত হয়।

২০০৪ সালে ভারত মহাসাগরে উদ্ভূত সুনামিতে মাঠের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়। এরপর তা পুণঃনির্মাণ করে ১৮ ডিসেম্বর, ২০০৭ তারিখে টেস্ট খেলা আয়োজন করা হয়।

২০১০ সালে এই মাঠে মুরালি ক্রিকেট জীবনে অবসর নেন। সেই সঙ্গে প্রথম কোনো বোলার টেস্ট ক্রিকেটে ৮০০ উইকেট শিকার করেন।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Pitching it Up: The Galle International Stadium"। World Cricket Watch। ২০১১। ৩ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০১৪ 
  2. http://www.galleinternationalcricketstadium.lk/groundhistory.htm[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]