গিয়ের্মো দেল তোরো | |
---|---|
Guillermo del Toro | |
জন্ম | গিয়ের্মো দেল তোরো গোমেজ[১] অক্টোবর ৯, ১৯৬৪ |
পেশা | চলচ্চিত্র পরিচালক, , চিত্রনাট্যকার, প্রযোজক ও ঔপন্যাসিক |
কর্মজীবন | ১৯৮৫–বর্তমান |
দাম্পত্য সঙ্গী | লরেঞ্জা নিউটন (বি. ১৯৮৬; বিবাহবিচ্ছেদ ২০১৭) |
সন্তান | ২ |
পুরস্কার | পূর্ণ তালিকা |
স্বাক্ষর | |
গিয়ের্মো দেল তোরো গোমেজ (Guillermo del Toro Gómez (স্পেনীয় উচ্চারণ: [ɡiˈʝeɾmo ðel ˈtoɾo]; জন্ম ৯ই অক্টোবর, ১৯৬৪) হলেন একজন মেক্সিকান চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকার, প্রযোজক ও ঔপন্যাসিক। চলচ্চিত্র নির্মাণ কর্মজীবনে দেল তোরো স্পেনীয় ভাষার ডার্ক ফ্যান্ট্যাসি, যেমন গথিক ভীতিপ্রদ চলচ্চিত্র দ্য ডেভিল্স ব্যাকবোন (২০০১) ও প্যান্স ল্যাবিরিন্থ (২০০৬) এবং মূলধারার মার্কিন মারপিঠধর্মী চলচ্চিত্র, যেমন ভ্যাম্পায়ার সুপারহিরো চলচ্চিত্র ব্লেড টু (২০০২), অতিপ্রাকৃত সুপারহিরো চলচ্চিত্র হেলবয় (২০০৪) ও এর অনুবর্তী পর্ব হেলবয় টু: দ্য গোল্ডেন আর্মি (২০০৮) এবং বিজ্ঞান কল্পকাহিনী চলচ্চিত্র প্যাসিফিক রিম (২০১৩) নির্মাণ করেন।
তার ২০১৭ সালের দ্য শেপ অব ওয়াটার চলচ্চিত্রটি ৭৪তম ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে গোল্ডেন লায়ন এবং শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের জন্য একাডেমি পুরস্কার লাভ করে। এছাড়া তিনি এই চলচ্চিত্র পরিচালনার জন্য একাডেমি পুরস্কার, গোল্ডেন গ্লোব, বাফটা, ক্রিটিকস চয়েস চলচ্চিত্র পুরস্কার ও ডিরেক্টরস গিল্ড অব আমেরিকা পুরস্কার লাভ করেন।
দেল তোরোর কাজের প্রধান বৈশিষ্ট হল রূপকথা ও ভীতিপ্রদ গল্পের সমন্বয়, পাশাপাশি দৃশ্য ও কাব্যিক সৌন্দর্য।[২] দানবের প্রতি তার আজীবন মোহ রয়েছে, তিনি একে বৃহৎ শক্তির প্রতীক বলে মনে করেন।[৩] তিনি এবং তার সমসাময়িক দুই মেক্সিকান চলচ্চিত্র নির্মাতা আলফোনসো কুয়ারোন ও আলেহান্দ্রো গোন্সালেস ইনারিতু ঘনিষ্ঠ বন্ধু, তারা তিনজন একত্রে "চলচ্চিত্রের তিন বন্ধু" নামে পরিচিত।[৪]
দেল তোরো ১৯৬৪ সালের ৯ই অক্টোবর মেক্সিকোর জেলিস্কোর গুদালাজারায় এক ক্যাথলিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।[৫] দেল তোরো গুদালাজারার গুদালাজারা বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত ও চিত্রগ্রহণ বিষয়ে পড়াশুনা করেন।[৬]
যখন দেল তোরোর আট বছর বয়স, তখন তিনি তার পিটার সুপার ৮ ক্যামেরা দিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করতেন। সেসময় তিনি প্ল্যানেট অব দ্য অ্যাপস ফ্যাঞ্চাইজির খেলনা ও অন্যান্য বিষয়াদি নিয়ে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করতেন। তার একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের বিষয়বস্তু ছিল একটি "সিরিয়াল কিলার আলু" বিশ্ব শাসনের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে দেল তোরোর মাতা ও ভাইকে খুন করে এবং বাইরে বের হওয়ার সাথে সাথেই গাড়ি চাপা পড়ে মারা যায়।[৭] দেল তোরো তার প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের পূর্বে প্রায় ১০টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন, যার মধ্যে দোনা লুপে ও জিওমেত্রিয়া দুটি পাওয়া যায়।[৮]
দেল তোরো লরেঞ্জা নিউটনকে বিয়ে করেন। নিউটন মেক্সিকান গায়ক গুদালুপে পিনেদার বোন। দেল তোরো ও নিউটন গুদালাজারার ইনস্তিতিউতো দে সিয়েন্সিয়াসে পড়াকালীন প্রেমের সম্পর্কে জড়ান। তাদের দুই কন্যা রয়েছে, তারা হলেন মারিসা ও মারিয়ানা। দেল তোরো ও নিউটন ২০১৭ সালের শুরুর দিকে আলাদা হয়ে যান এবং একই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়।
টরন্টো ও ক্যালিফোর্নিয়ার আগোরা হিলসে দেল তোরোর বাড়ি রয়েছে, এবং প্রতি ছয় মাস অন্তর অন্তর তিনি তার পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করতে গুদালাজারায় যান।[৯]